পরীক্ষার এক দিন আগেও তারা অ্যাডমিট কার্ড হাতে পায়নি। ফলে দুঃশ্চিন্তায় শেষ মুহূর্তের প্রস্তুতি ঠিক মতো নিতে পারেনি ৩৫ জন ছাত্রছাত্রী। শুক্রবার পরীক্ষা শুরু হওয়ার আগে তাদের মধ্যে অনেকে অ্যাডমিট কার্ড হাতে পায়, আবার কেউ পর্ষদের বিশেষ অনুমতিপত্র নিয়ে পরীক্ষা দেয়। সমস্যাটি ময়ূরেশ্বরের লোকপাড়া উচ্চ বিদ্যালয় ও সাঁইথিয়ার সিউর রামেশ্বরী যাত্রা উচ্চ বিদ্যালয়ের। অবশ্য মধ্যশিক্ষা পর্ষদ তাদের গাফিলতির কথা স্বীকার করে নিয়েছে। |
স্কুল ও স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, এ বছর ময়ূরেশ্বরের লোকপাড়া উচ্চ বিদ্যালয় থেকে ২৩১ জন পরীক্ষা দিচ্ছে। ১৪ ফেব্রুয়ারি ২০০ জন অ্যাডমিট কার্ড পেলেও শুক্রবার সকাল পর্যন্ত বাকি ৩১ জন অ্যাডমিট কার্ড হাতে পায়নি। কোটাসুর পরীক্ষাকেন্দ্র থেকে ১৯ জন অ্যাডমিট কার্ড পায়। বাকিদের পরীক্ষা দিতে হয় পর্ষদ প্রদত্ত বিকল্প অ্যাডমিট কার্ড বা অনুমতি পত্রে। একই ঘটনা ঘটেছে সাঁইথিয়ার সিউর রামেশ্বরী মাতা উচ্চ বিদ্যালয়েও। ওই স্কুল থেকে এ বার ৮৪ জন পরীক্ষা দিচ্ছে। ১২ ফেব্রুয়ারি অন্যরা অ্যাডমিট পেলেও ওই দিন ৬ জন পড়ুয়া পায়নি। চার জন অবশ্য বৃহস্পতিবার অ্যাডমিট কার্ড পেয়ে যায়। কিন্তু দু’জনকে পর্ষদের বিশেষ অনুমতি পত্রে তাদের পরীক্ষাকেন্দ্র আমোদপুর জয়দুর্গা গার্লস হাইস্কুলে পরীক্ষা দিতে হয়েছে।
স্বভাবতই ক্ষুব্ধ পরীক্ষার্থীরা। ছাত্রছাত্রীদের ক্ষোভ, “কার গাফিলতি জানি না। অ্যাডমিট কার্ড হাতে না দেওয়া পর্যন্ত আমাদের দুঃশ্চিন্তায় কেটেছে। পরীক্ষা দিতে পারব কি না এই অনিশ্চিয়তায় শেষ মুহূর্তের প্রস্তুতিও নিতে পারিনি।” একই অভিমত অভিভাবকদের। লোকপাড়া স্কুলের প্রধান শিক্ষক অভিজিৎ দে, সিউর স্কুলের প্রধান শিক্ষক হরিসাধন মণ্ডল বলেন, “শুধুমাত্র পরীক্ষার্থীরা বা অভিভাবকেরা নয়, আমরাও দুঃশ্চিন্তায় ছিলাম। বৃহস্পতিবার রাত পর্যন্ত বর্ধমান আঞ্চলিক দফতরে অ্যাডমিট কার্ড কিংবা বিশেষ অনুমতিপত্র সংগ্রহ করতে হয়েছে। আমরা সব পড়ুয়ার প্রয়োজনীয় নথি ঠিক সময়ে জমা দিয়েছিলাম। পর্ষদের গাফিলতির জন্য এমনটা হয়েছে।” পর্ষদ সূত্রে জানা গিয়েছে, বহু পরীক্ষার্থীর বাবার নাম ভুল কিংবা ছবিহীন অ্যাডমিট কার্ডও বিভিন্ন স্কুলে পৌঁছয়। ওই সব ত্রুটি সংশোধনের জন্য বৃহস্পতিবার রাত পর্যন্ত শিক্ষকদের বর্ধমান অফিসে কার্যত ধর্না দিয়ে পড়ে থাকতে হয় বলে অভিযোগ। পর্ষদের জেলা প্রতিনিধি মহম্মদ নুরুজ্জামান বলেন, “পর্ষদের কিছু ত্রুটির জন্য এমনটা হয়েছে। জেলার দু’টি স্কুলের পরীক্ষার্থীরা শেষ পর্যন্ত অ্যাডমিট কার্ড পেয়েছে। রেজাল্ট যাতে ত্রুটিপূর্ণ হয় তার জন্য যথাযথ ব্যবস্থা নেওয়া হবে।” |