ডাকঘর
অঞ্জনা খাল পরিষ্কারের দাবি
কৃষ্ণনগর শহরের নিকাশি ব্যবস্থার মূল পথ ‘অঞ্জনা খাল’। অঞ্জনা খালটি কৃষ্ণনগর রাজবাড়ির গড় থেকে বের হয়ে জলঙ্গি নদীতে গিয়ে মিশেছে। অনেক আগে ‘অঞ্জনা খালটি’ অঞ্জনা নদী নামেই পরিচিত ছিল। ওই নদীপথে রাজা কৃষ্ণচন্দ্র নৌকাযোগে বাংলার তৎকালীন রাজধানী মুর্শিদাবাদে যাতায়াত করতেন। আমরা অবশ্য ছোটবেলা থেকেই ওই নদী, বা খালটি কচুরিপানা ও আর্বজনা ইত্যাদিতে পরিপূর্ণ দেখতে অভ্যস্ত। বেশ কিছু দিন আগে ওই খালটি কৃষ্ণনগর পূর্ব বিধানসভার প্রাক্তন বিধায়ক মাননীয় সুবিনয় ঘোষের এলাকা উন্নয়ন তহবিলে টাকা থেকে সংস্কার করা হয়েছে। ওই সংস্কারের সময় খাল থেকে তোলা মাটি দুই পাড়ে জমা করা হয়। দুই পাড়ে জমা করা ওই মাটির কিছুটা স্থানান্তরিত করা হয়েছে। বাকিটা খালপাড়েই রয়ে গিয়েছে। পাড়ে রাখা ওই মাটির অনেকটাই বর্ষার জলে ফের গিয়ে খালে মিশেছে। খফলে খালের অনেকটাই ফের মজে গিয়েছে। বর্তমান বিধায়ক বা, সাংসদ কোটার টাকা থেকে লুপ্তপ্রায় অঞ্জনা নদী সংস্কার করে দু’ পাড় বাঁধিয়ে সবুজায়ন করলে কৃষ্ণনগরের পরিবেশের উন্নয়ন ঘটার সঙ্গে এলার নিকাশি ব্যবস্থারও প্রভূত উন্নতি ঘটবে।


রঘুনাথগঞ্জ-কলকাতা বাস বন্ধ
বিগত বামফ্রন্ট সরকারের আমলে সড়কপথে কলকাতা মহানগরীর সঙ্গে রাজ্যে বিভিন্ন অঞ্চলের, বিশেষ করে পিছিয়ে থাকা এলাকার উন্নত যোগাযোগ ব্যবস্থা গড়ে তোলার প্রয়োজনে পশ্চিমবঙ্গ রাষ্ট্রীয় পরিবহন নিগমের যাত্রীবাহী বাস চালু করা হয়। উন্নত পরিবহণ ব্যবস্থার কথা মাথায় রেখে পরিবহন দফতর থেকে নতুন নতুন বাসরুটও চালু করা হয়। রেলপথে উন্নত যোগাযোগ ব্যবস্থার অভাব থাকায় জঙ্গিপুর মহকুমার সদরশহর রঘুনাথগঞ্জের কেন্দ্রস্থল ডাকবাংলোর মোড় থেকে কলকাতা পর্যন্ত এরকম একটি রুট সেই সময় চালু করা হয়। প্রায় ২৪ বছর আগে রঘুনাথগঞ্জের ওই ডাকবাংলো মোড় থেকে ভোর ৫টায় কলকাতাগামী সি এস টি সি (কলকাতা রাষ্ট্রীয় পরিবহণ নিগম)-এর যাত্রীবাহী বাস ছাড়া হত। সম্প্রতি অদৃশ্য ও অজ্ঞাত কারণে রঘুনাথগঞ্জ-কলকাতা রুটের সি এস টি সি-র সেই বাসটির চলাচল বন্ধ হয়ে যায়। ২০১১ সালের জানুয়ারি মাস থেকে মে মাস পর্যন্ত বাসটি অনিয়মিত চলেছিল। জুন মাসের পর থেকে বাসটির চলাচল পুরোপুরি বন্ধ হয়ে গিয়েছে। রঘুনাথগঞ্জ শহরের মানুষের স্বার্থে বাসটি পুনরায় চালু করার জন্য পরিবহন মন্ত্রীর দৃষ্টি আকর্ষণ করছি।


পুরসভা কবে হবে
বাংলাদেশ লাগোয়া নদিয়া জেলার সীমান্ত শহর করিমপুর নানা কারণে সবিশেষ গুরুত্বপূর্ণ। করিমপুর ১ নম্বর ও করিমপুর ২ নম্বর মিলে দু’টি গ্রাম পঞ্চায়েত এলাকায় জুড়ে পুরসভা করা হবে বলে বিগত বামফ্রন্ট সরকারের শেষ বাজেটের কয়েক মাসে আগে ঘোষণা করা হয়। সরকারি ওই ঘোষণা শুনে ওই এলাকারা আপামর মানুষ আশায় বুক বাঁধেন। পুরসভা হলে নিকাশি, পরিবহণ, পানীয় জল ও বিদ্যুৎ-সহ যাবতীয় নাগরিক পরিষেবা সংক্রান্ত বিষয়ের উন্নতি ঘটবে বলে এ তল্লাটের মানুষের প্রত্যাশা বাড়াতে থাকে। কিন্তু পরিতাপের বিষয়, ওই ঘোষণার পর থেকে এ পর্যন্ত প্রস্তাবিত করিমপুর পুরসভার বিষয়ে সরকারি তরফে আর কোনও উচ্চবাচ্য নেই। ফলে পরিবর্তনের নয়া রাজ্য সরকারারের কাছে আবেদন, করিমপুরকে দ্রুত পুরসভায় উন্নীত করে সরকারি প্রতিশ্রুতি রক্ষার পাশাপাশি মানুষের প্রত্যাশা পূরণ করুন।


কাশিমবাজার রাজবাড়ি ভগ্নপ্রায়
কৃষ্ণকান্ত নন্দী নির্মিত মুর্শিদাবাদ জেলার ঐতিহাসিক কাশিমবাজার রাজবাড়ি আজ ভগ্নপ্রায়। আনুমানিক ২৬৫ বছর আগে নির্মিত ওই অসাধারণ স্থাপত্য কীর্তিতে পাওয়া যায় এলাহাবাদ ঘরণার শৈল্পিক রীতির ছোঁয়া। ইস্ট ইন্ডিয়া কোম্পানির আমল থেকে শুরু করে স্বাধীনতা লাভের আগে পর্যন্ত অবিভক্ত বাংলার শিল্প-সংস্কৃতি চর্চার অন্যতম পীঠস্থান ছিল কাশিমবাজার রাজবাড়ি। স্বয়ং রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের সভাপতিত্বে ইংরেজি ১৯০৭ সালের ১৭-১৮ কার্তিক দু’ দিন ধরে প্রথম বঙ্গীয় সাহিত্য সম্মিলন হয় ওই রাজবাড়িতে। সেখানে অবিভক্ত বাংলা ও লাগোয়া প্রদেশ গুলি থেকে বরেণ্য সাহিত্যিক, শিল্পী ও রাজারাজড়ারা সশরীরে অংশগ্রহণ করেন। বাংলার ও বাংলার বাইরের শিক্ষা-সংস্কৃতি-স্বাস্থ্য পরিষেবা প্রসারে কাশিমবাজারের অকাল প্রয়াত মহারাজা কৃষ্ণনাথ রায়, তাঁর বিধবা স্ত্রী রানি স্বর্ণময়ী ও মণীন্দ্রচন্দ্র নন্দীর অবদানের কথা এখনও শ্রদ্ধার সঙ্গে স্মরণ করা হয়। এমন একটি ঐতিহাসিক রাজবাড়ি যা নানা কারণেই দেশের ও রাজ্যের অমূল্য সম্পদ তা সংরক্ষণের জন্য পুরাতত্ত্ব সর্বেক্ষণ বিভাগ ও রাজ্য সরকার একক ভাবে অথবা যৌথ ভাবে উদ্যোগ গ্রহণ করুক। নইলে ওই ঐতিহ্যের স্মারক অদূর ভবিষ্যতে পুরোপুরি ধ্বংস হয়ে মাটির সঙ্গে মিশে যাবে।


যানজট ক্রমবর্ধমান
বহরমপুর শহরের উত্তরপ্রান্তের এলাকা থেকে বহরমপুর স্টেশনের দূরত্ব ৮-৯ কিলোমিটার। তার উপরে শহরে যানজট লেগেই রয়েছে। সেই যানজট ক্রমবর্ধমান। ফলে উত্তরপ্রান্ত থেকে শহরের দক্ষিণ-পূর্ব প্রান্তে অবস্থিত বহরমপুর স্টেশনে গিয়ে দুরপ্লাল্লার ট্রেনের আসন সংরক্ষণ করা খুব কষ্টসাধ্য হয়ে পড়ে। অথচ বহরমপুর শহরের উত্তরপ্রান্ত থেকে কাশিমবাজার স্টেশনের দূরত্ব অর্ধেকেরও কম। এ কারণে কাশিবাজার স্টেশনে কম্পিউটার চালিত আসন সংরক্ষণের জন্য একটি টিকিট কাউন্টার চালু করা হলে বহু মানুষ উপকৃত হবেন। রেলের কর্তারা কি বিষয়টি ভেবে দেখবেন?



First Page| Calcutta| State| Uttarbanga| Dakshinbanga| Bardhaman| Purulia | Murshidabad| Medinipur
National | Foreign| Business | Sports | Health| Environment | Editorial| Today
Crossword| Comics | Feedback | Archives | About Us | Advertisement Rates | Font Problem

অনুমতি ছাড়া এই ওয়েবসাইটের কোনও অংশ লেখা বা ছবি নকল করা বা অন্য কোথাও প্রকাশ করা বেআইনি
No part or content of this website may be copied or reproduced without permission.