|
|
|
|
|
|
পূর্ব কলকাতা |
বিধাননগর |
পরিষেবা কার |
কাজল গুপ্ত |
রাস্তার বেহাল দশা। সাফ হচ্ছে না আবর্জনা। কয়েকটি জায়গায় সাফ হলেও তা নিয়মিত নয়। বিধাননগর পুরসভার কাছে এমনই অভিযোগ বাসিন্দাদের। ব্যবস্থা নেওয়ার আশ্বাস দেওয়ার পাশাপাশি বিধাননগর পুরকর্তৃপক্ষের দাবি, বিধাননগরের সর্বত্র তাঁদের এক্তিয়ারভুক্ত নয়। বেশ কয়েকটি জায়গা নানা সরকারি দফতরের আওতায় পড়ে। তা ছাড়া অর্থাভাবও রয়েছে। যদিও পুর ও নগরোন্নয়নমন্ত্রী ফিরহাদ হাকিম জানিয়েছেন, পুরসভাই আবর্জনা সাফ করবে। আর্থিক বা অন্য সমস্যা থাকলে রাজ্য সরকার সহযোগিতা করবে।
পুরসভা সূত্রে খবর, বিধাননগর পুরসভার সূচনা থেকেই এই সমস্যা রয়েছে। কেষ্টপুর ও ইস্টার্ন ড্রেনেজ চ্যানেলের পাড় সেচ দফতরের এক্তিয়ারভুক্ত। বিধাননগরের ফাঁকা প্লট নগরোন্নয়ন দফতরের আওতাধীন। সেখানে সংশ্লিষ্ট দফতরেরই আবর্জনা সাফ করার কথা বলে দাবি করেছেন পুরকর্তৃপক্ষ।
|
|
এ দিকে, বেশ কয়েকটি রাস্তার মেরামতির দায়িত্ব কেএমডিএ এবং নগরোন্নয়ন দফতরের। যেমন, ইস্টার্ন ড্রেনেজ খাল বরাবর জে কে সাহা সেতু থেকে বাইপাস পর্যন্ত রাস্তা নগরোন্নয়ন দফতরের আওতায়। এখানে রাস্তার একটি অংশ দীর্ঘ কয়েক বছর ধরে বেহাল অবস্থায় পড়ে আছে। রাস্তার অবস্থা নিয়ে বাসিন্দারা পুরসভার কাছে অভিযোগ করছেন।
কর্মসূত্রে ইস্টার্ন ড্রেনেজ চ্যানেলের পাশের রাস্তা দিয়ে রোজ গাড়ি নিয়ে যাতায়াত করেন মধ্য কলকাতার বাসিন্দা শুভাশিস রায়। তিনি বলেন, “ওই রাস্তা দিয়ে গেলে তাড়াতাড়ি অফিস যাওয়া যায়। কিন্তু গত তিন-চার বছর ধরে রাস্তা বেহাল অবস্থায় পড়ে আছে। রাস্তা জুড়ে ছোট-বড় গর্ত তৈরি হয়েছে। রাতের অবস্থা আরও ভয়াবহ। যে কোনও দিন দুর্ঘটনা ঘটে যেতে পারে। যারই আওতায় থাক না কেন, কাজ হচ্ছে না।” বিধাননগরের জিডি ব্লক কমিটির সদস্য কুমারশঙ্কর সাধু বলেন, “এটি পুরসভার পক্ষে সমস্যার। কারণ, তাদের আর্থিক সীমাবদ্ধতা আছে। আবার কাজ না হলে আমরা অভিযোগ করছি। বিধাননগরের সব জায়গার পুর-পরিষেবার কাজ পুরকর্তৃপক্ষকেই দিলে ভাল হয়।”
এ বার বিষয়টি নিয়ে পুর ও নগরোন্নয়ন দফতরের দ্বারস্থ হচ্ছে বিধাননগর পুরসভা। পুরসভার চেয়ারপার্সন কৃষ্ণা চক্রবর্তী বলেন, “বিধাননগরের আবর্জনা জমলে, রাস্তা খারাপ হলে বাসিন্দারা আমাদেরই বলবেন। জায়গা যারই হোক, পরিষেবা দিতে হবে। এই বিষয় পুরমন্ত্রীর সঙ্গে আলোচনা হবে।”
|
|
নগরোন্নয়ন দফতরের আধিকারিকদের একাংশ জানান, নগরোন্নয়ন দফতরের অধীন সামগ্রিক এলাকার উন্নয়নের জন্য বাজেট বরাদ্দ হয়। অনেক সময় কোনও প্রকল্পের জন্য বাজেটে বরাদ্দ হলেও কাজ চলার সময় দেখা যায়, খরচ বেড়ে গিয়েছে। তখন সমস্যা হয়। বিধাননগরের ক্ষেত্রেও এমন ঘটেছে বলে তাঁদের ধারণা।
সেচ দফতরের আধিকারিকেরা জানান, খালপাড় এলাকার অনেকটাই কাঁটাতার দিয়ে ঘেরা। কিছুটা বাকি আছে। সেখানে অনেকেই ময়লা ফেলে যান। নিয়মিত সাফ করার তাঁদের কোনও ব্যবস্থা নেই। সর্বত্রই স্থানীয় পুরসভার কর্মীরাই তা সাফ করেন। বিধাননগর পুরসভার চেয়ারম্যান পারিষদ (পূর্ত) অনুপম দত্ত বলেন, “নগরোন্নয়ন দফতর অর্থ বরাদ্দ করলে আমরাই ওই রাস্তা মেরামত করব। প্রয়োজনীয় পরিকাঠামো থাকলেও আর্থিক সমস্যা আছে।” পাশাপাশি, পুর ও নগরোন্নয়নমন্ত্রী ফিরহাদ হাকিম বলেন, “আবর্জনা সাফ পুরসভাই করে। আবর্জনা সাফাইয়ের জন্য নগরোন্নয়ন দফতরের নিজস্ব পরিকাঠামো নেই। আর্থিক বা অন্য কোনও সমস্যা হলে রাজ্য সরকার সব রকম সাহায্য করবে।”
|
ছবি: শুভাশিস ভট্টাচার্য |
|
|
|
|
|