টুকরো খবর
চোরাই গাড়ি পাচার চক্রের চার চাঁই গ্রেফতার কাছাড়ে
জাল ছড়ানো উত্তর ভারত থেকে সুদূর উত্তর-পূর্বাঞ্চল। দিল্লি, হরিয়ানা থেকে শিলচর হয়ে মণিপুর, মিজোরাম। এমনকী মায়ানমার ও বাংলাদেশও এই জালের বাইরে নয়। জালটি গাড়ি পাচার চক্রের। এমনই এক চক্রের চার চাঁইকে কাল রাতে ধরে ফেলেছে কাছাড় পুলিশ। তাদের জেরা করেই পুলিশ জেনেছে কত নিপুণ পরিকল্পনায় সারা দেশের ছোট-বড় শহরে সংগঠিত ভাবে গাড়ি চুরি ও তা পাচারের কাজ চালায় এক বা একাধিক চক্র। যেখানে গাড়ি চুরি করা হয়, তা পাচার করে দেওয়া হয় অনেক দূরের রাজ্যে। রীতিমতো রমরমে ব্যবসা। গাড়ি চুরি ও পাচার চক্র কী ভাবে কাজ করে পুলিশি জেরায় তা ফাঁস করেছে ধৃত আব্দুল নূর, মহম্মদ মনোয়ার, আফজল হোসেন লস্কর ও মহম্মদ রহিম। গত সপ্তাহেই দিল্লি থেকে চুরি যাওয়া একটি বিলাসবহুল গাড়ি কাছাড়ে উদ্ধার হয়। গাড়ির সঙ্গে সঙ্গে আটক করা হয় দুই পাচারকারীকেও। তাদের কাছ থেকে পাওয়া সূত্র ধরে কাল রাতে অভিযানে নামে পুলিশ। ধৃতদের মধ্যে মহম্মদ মনোয়ার ও মহম্মদ রহিম মূলত মণিপুরের বাসিন্দা। আব্দুল নূর ও আফজল হোসেন লস্কর কাছাড়েরই স্থায়ী বাসিন্দা। পুলিশ মনোয়ারের ঘরে তল্লাশি চালিয়ে মোটর সাইকেল ও গাড়ির বেশ কিছু তালা-চাবি, তালা খোলার সরঞ্জাম, গাড়ির কাগজপত্র এবং ক্যাটালগ বাজেয়াপ্ত করে। ধৃতরা জানিয়েছে, তারা নিজেরাই গাড়ি ও মোটর সাইকেলের চাবি তৈরি করে। যে-কোনও গাড়ির তালা খোলার জন্য বিভিন্ন ধরনের চাবি সঙ্গে রাখে। বিক্রির প্রক্রিয়াও কম চমকদার নয়। কয়েকটি গাড়ির আসল কাগজপত্র তাদের সঙ্গে রয়েছে। আগ্রহী ক্রেতার সঙ্গে কথা বলার সময় তারা সেজেগুজে ক্যাটালগ নিয়ে হাজির হয়। ‘কোম্পানির লোক’ পরিচয় দিয়ে অর্ডার সংগ্রহ করে। পরে গাড়ি তুলে দেওয়ার সময় সবই ঠিকঠাক থাকে, শুধু কাগজপত্র দেওয়া হয় জাল। শিলচর শহরের এক প্রতিষ্ঠিত গাড়ি ব্যবসায়ীর সঙ্গেও যোগাযোগের কথা পুলিশকে জানিয়েছে তারা।

তুষারধসে আটকে পড়া ন’জনকে উদ্ধার সেনার
মৃত্যুপুরী লাগাতার তুষারধস চলছে কাশ্মীরে। মৃত অন্তত ১৮ জওয়ান।
সোনমার্গে বরফচাপা তেমনই এক সেনা-শিবির। ছবি: পি টি আই
তুষারধসে সোনমার্গে আটকে পড়া ন’জনকে আজ সকালে উদ্ধার করেছে সেনাবাহিনীর একটি দল। প্রাকৃতিক বিপর্যয় মোকাবিলা দফতরের তরফ থেকে জানানো হয়েছে, গত বুধবার সোনমার্গ থেকে তিন জন সরকারি কর্মী গান্ডেরবালের দিকে যাত্রা শুরু করেন। কিন্তু প্রচণ্ড তুষারপাতের ফলে রাস্তাতেই নিখোঁজ হয়ে যান দু’জন। তৃতীয় জন কোনও মতে গান্ডেরবাল পৌঁছে স্থানীয় প্রশাসনকে নিখোঁজ দু’জনের খবর জানান। তবে তার মধ্যেই, ওই দু’জন আবার ফোন করে কতৃপক্ষকে বলেন, যে তাঁরা শিতকারি সেতুতে আশ্রয় নিয়েছেন। খবর পেয়ে উদ্ধারকারী দল পাঠানো হলে তাঁরা ওই তিন জন-সহ মোট ন’জনকে উদ্ধার করেন। গত কয়েক দিনের তুষারধসে মোট ১৬ জন জওয়ানের মৃত্যু হয়েছে বলে গত কালই জানিয়েছিলেন এক সেনাকর্তা। আজ, সেনা, পুলিশ এবং অসামরিক প্রশাসনের একটি যৌথ দল ওই ন’জনকে উদ্ধার করার পাশাপাশি গুরেজের সেনা-শিবিরের নিখোঁজ ৪ জন জওয়ানের মধ্যে ২ জনের মৃতদেহ উদ্ধার করে। তবে আরও দু’জন এখনও নিখোঁজ বলে একটি সূত্রের খবর। গান্ডেরবালের পুলিশ সুপার শাহিদ মেরাজ জানান, ওই দুই কর্মী এবং বাকি সাত জন একটি কুঁড়ে ঘরে আশ্রয় নেন। তাঁদের প্রথমে সোনমার্গে উড়িয়ে আনা হয়। এক জন অসুস্থ হয়ে পড়ায় তাঁকে বাড়িও পাঠিয়ে দেওয়া হয়। সেনা সূত্রে জানা গিয়েছে, ওই এলাকা এখনও ১৮ ফুট বরফের নীচে। এ ছাড়াও প্রতিকূল আবহাওয়ার কারণে উদ্ধারকাজ ব্যাহত হচ্ছে।

কুড়ানকুলাম আন্দোলন নিয়ে বিতর্ক বাড়ছে
কুড়ানকুলাম নিয়ে আন্দোলনের জেরে বাতিল হয়ে গেল তিনটি স্বেচ্ছাসেবী সংস্থার অনুমোদন। প্রধানমন্ত্রীর দফতরের প্রতিমন্ত্রী ভি নারায়ণস্বামী বলেছেন, ওই তিনটি সংস্থা সামাজিক কাজের জন্য আসা বিদেশি অনুদানের টাকা কুড়ানকুলাম পরমাণু বিদ্যুৎকেন্দ্রের বিরুদ্ধে আন্দোলনে ব্যবহার করছিল। তাই তাদের অনুমোদন বাতিল করা হয়েছে। স্থানীয় বাসিন্দাদের আন্দোলনের জেরে রুশ সাহায্যপ্রাপ্ত কুড়ানকুলাম পরমাণু বিদ্যুৎ কেন্দ্র চালু করা যায়নি। গত কালই ‘সায়েন্স’ পত্রিকাকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে প্রধানমন্ত্রী মনমোহন সিংহ বলেন, “সম্প্রতি এ দেশের পরমাণু শক্তি প্রকল্পগুলিকে নানা সমস্যার মুখোমুখি হতে হয়েছে। আমার ধারণা, কিছু মার্কিন স্বেচ্ছাসেবী সংগঠন এর পিছনে রয়েছে। কারণ ভারতে পরমাণু শক্তি উৎপাদন বৃদ্ধি পাক, এটা তারা চায় না।” প্রধানমন্ত্রীর এই মন্তব্য ঘিরে শুরু হয় বিতর্ক। ভারতের স্বেচ্ছাসেবী সংগঠনগুলি প্রধানমন্ত্রীর বক্তব্যের তীব্র সমালোচনা করে জানিয়েছে, ‘হয় তিনি অভিযোগের সত্যতা প্রমাণ করুন, নয়তো ইস্তফা দিন।’ স্বেচ্ছাসেবী সংগঠনগুলির পক্ষে এস পি উদয়কুমার বলেছেন, “কোনও প্রমাণ ছাড়াই প্রধানমন্ত্রীর এই অভিযোগ দুর্ভাগ্যজনক। আমরা সব অভিযোগ অস্বীকার করছি।” কংগ্রেসের তরফে রশিদ আলভি নয়াদিল্লিতে পাল্টা বলেছেন, “গোয়েন্দা সংস্থাগুলো থেকে পাওয়া তথ্যের ভিত্তিতেই ওই মন্তব্য করেছেন প্রধানমন্ত্রী।” বিরোধী দল বিজেপির দাবি, প্রধানমন্ত্রী কী বলতে চেয়েছেন, তা সবিস্তারে জানান।

জাহ্নবীকে নিয়ে কুৎসা, অভিযোগ আলফার
আলফায় যোগ দিতে চেয়ে ঘর ছাড়া শিক্ষিকা জাহ্নবী মহন্ত রাজকোঁয়রের চরিত্র নিয়ে ‘কটূক্তি’ করার অভিযোগ আনল পরেশপন্থী গোষ্ঠী। এই গোষ্ঠীর সভাপতি স্বয়ং বিবৃতি পাঠিয়ে জাহ্নবী দেবী সম্পর্কে ‘কুৎসা’ রটনার জন্য দায়ী করে তীব্র নিন্দা করেছেন অসমের প্রাক্তন ডিজি তথা বর্তমান নিরাপত্তা উপদেষ্টা ঘনশ্যাম মুরারী শ্রীবাস্তবের। শ্রীবাস্তব বলেছিলেন, “আলফার সংগ্রামপন্থী গোষ্ঠীর সভাপতি ডঃ অভিজিৎ বর্মণের সঙ্গে প্রণয়ের সম্পর্কে জড়িয়ে পড়েছিলেন জাহ্নবী দেবী। তার পরেই, স্বামী-পুত্রদের ছাড়ার সিদ্ধান্ত নেন। তিনি ও তাঁর স্বামী বেশ কয়েক বছর পৃথকভাবে বসবাস করতেন। বিবাহ বিচ্ছেদের নোটিসও দেওয়া হয়েছে। জাহ্নবী দেবী বড় ছেলেকে নিয়ে থাকতেন। ছোট ছেলে স্বামীর কাছ থাকত।” আলফার আলোচনাপন্থী নেতা জিতেন দত্তর অবশ্য অভিমত, আলফার শীর্ষ স্তরে কোনও ডাক্তার বা ডক্টরেট নেই। সম্ভবত, অভিজিৎ বর্মণ একটি ছদ্ম পরিচয়। তবে আজ সভাপতি অভিজিৎ বর্মণের স্বাক্ষর-সহ একটি বিবৃতি পাঠানো হয়েছে। সেই বিবৃতিতে কড়া ভাষায় শ্রীবাস্তবের মন্তব্যের নিন্দা করা হয়েছে। বর্মণ ওই বিবৃতিতে অভিযোগ করেছেন, অসমের শিক্ষিত, প্রতিভাবান এক নারীর আলফায় যোগদানের মতো গুরুত্বপূর্ণ ঘটনাকে তিনি ছোট করছেন। তাই নোংরামোর মোড়ক দিয়ে এই হেয় করার প্রচেষ্টা শ্রীবাস্তবের। শ্রীবাস্তবকে ‘গুপ্তহত্যার নায়ক ও অসমিয়া নিধনের পাণ্ডা’ বলে উল্লেখ করে আলফার কার্যনির্বাহী সভাপতি বলেন, “যদি ন্যূনতম লজ্জা থাকে, তবে এই ধরনের কুৎসা রটানোর জন্য, শ্রীবাস্তবের প্রকাশ্যে ক্ষমা চাওয়া উচিত।”

দমকলের মহড়ায় দড়ি ছিঁড়ে মৃত্যু
কর্তৃপক্ষ চেয়েছিলেন আগুন লাগলে প্রাণ বাঁচানোয় কর্মীরা কতটা তৎপর তা পরীক্ষা করতে। বিপদের সময় কী ভাবে প্রাণ বাঁচানো যাবে সেটাই শিখছিলেন তিনি। চার তলায় তাঁদের অফিসে আগুন লাগলে কী ভাবে জানলা দিয়ে বেরিয়ে দড়ি বেয়ে নীচে নামা যায়। দমকল কর্মীরাও ছিলেন। কিন্তু বিপদ এল অন্য পথে। প্রাণ বাঁচানো শিখতে গিয়ে চার তলা থেকে দড়ি ছিঁড়ে নীচে পড়ে প্রাণ হারালেন ২৫ বছরের সি আর নলিনা। যশবন্তপুরের একটি পোশাক তৈরির কারখানার কর্মী তিনি। দমকলের উদ্যোগেই এ দিন সেখানে ছিল আগুন লাগলে কী ভাবে প্রাণ বাঁচাতে হবে তার মহড়া। জানলা দিয়ে দড়ি বেয়ে নীচে নামার সময়ে হঠাৎই ছিড়ে যায় দড়ি। নীচে পড়ে মাথায় গুরুতর আঘাত পান নলিনা। হাসপাতালে নিয়ে যাওয়ার পথেই মারা যান তিনি। যদিও প্রত্যক্ষদর্শী সূত্রে দাবি করা হয়েছে, এক দমকলকর্মীর হাত ধরে থেকে নলিনা দড়িতে ঝোলার চেষ্টা করছিলেন। সেই সময় তাঁর হাত পিছলে যায়। নলিনার মৃত্যুর পর আপাতত প্রশ্ন উঠেছে দমকলের ভূমিকা নিয়ে।

চেন্নাইয়ে হত ‘ডাকাতের’ হদিস বিহারে
চেন্নাই পুলিশের রিপোর্ট অনুযায়ী ব্যাঙ্ক ডাকাতির ঘটনায় বিহারের যে চার জন সন্দেহভাজনের মৃত্যু হয়েছে তা নিয়ে পটনা পুলিশ সংশয়ে। চেন্নাই পুলিশের রিপোর্টের ভিত্তিতে তদন্ত করে দেখা গিয়েছে চার ‘নিহত’-দের মধ্যে একজন ‘জীবিত’। অন্য এক ব্যক্তির ক্ষেত্রে, ওই নামে কেউ সংশ্লিষ্ট ঠিকানায় কোনও দিনই ছিল না। পটনার সিনিয়র পুলিশ সুপার অলোক কুমার জানিয়েছেন, “চেন্নাই পুলিশের পাঠানো নিহতদের নাম-ধাম দেখে তদন্ত করতে গিয়ে আমরা ধন্দে পড়েছি।” জাতীয় মানবাধিকার কমিশন এই ঘটনা নিয়ে তদন্তের নির্দেশ দিয়েছে।

নীতীশের বিহারে কৃষি ক্ষেত্রে বৃদ্ধির হার নগণ্য
উন্নয়নের ক্ষেত্রে এক বড় চ্যালেঞ্জের মুখে পড়তে চলেছে বিহার। আগামী পরিকল্পনায় রাজ্যের ‘অর্থনৈতিক সমীক্ষা’-য় (ইকোনমিক সার্ভে) যে উন্নয়নের ছবি বুধবার তুলে ধরা হল তাতে স্পষ্ট, কৃষি ক্ষেত্রে উৎপাদন বৃদ্ধি বাড়াতে না পারলে অদূর ভবিষ্যতে সমস্যায় পড়বে রাজ্যের অর্থনীতি। যে রাজ্যের ৮০% মানুষই কৃষি নির্ভর, সেখানে কৃষি ক্ষেত্রে উৎপাদন বৃদ্ধির হার মাত্র ৩%। যদিও সরকারের দাবি, সব্জি উৎপাদনে এই রাজ্য দেশের মধ্যে প্রথম। গড়ে উঠেছে কয়েকটি খাদ্য প্রক্রিয়াকরণ শিল্প। কৃষির উন্নয়নকে এগিয়ে নিয়ে যেতে রাজ্য একটি ‘কৃষি রোডম্যাপ’ তৈরি করতে চলেছে। মুখ্যমন্ত্রী নীতীশ কুমারকে চেয়ারম্যান করে একটি মন্ত্রিগোষ্ঠীও তৈরি করা হয়েছে। এই কাজে সামিল হয়েছে ১৮টি দফতর। ২০২২ পর্যন্ত এই প্রকল্প কাজ করবে। তবে কৃষি বিশেষজ্ঞদের কথায়, “কৃষি ক্ষেত্রে যা উন্নয়ন হয়েছে তা নগন্য। রাজ্যের ৮০% মানুষ এর উপর নির্ভরশীল। অথচ কৃষি ও কৃষিজ ক্ষেত্রে বিনিয়োগ নেই।” এরই মধ্যে সরকার অর্থনৈতিক সমীক্ষায় দাবি করেছে, রাজ্য এখন দুর্নীতি ঠেকাতে অনেকটাই সক্ষম। যদিও তা নিয়ে বিতর্ক রয়েছে। সম্প্রতি কেন্দ্রীয় গ্রামোন্নয়ন মন্ত্রী জয়রাম রমেশ মুখ্যমন্ত্রীর উপস্থিতিতে জানিয়ে গিয়েছিলেন, ১০০ দিনের কাজের প্রকল্পে দুর্নীতি হয়েছে। মুখ্যমন্ত্রীও মেনে নিয়েছেন এই দুর্নীতির কথা।

৩ মাসের শিশুকে বিক্রির চেষ্টা দম্পতির
শিশুকে বিক্রির চেষ্টার অভিযোগ উঠল অন্ধ্রপ্রদেশের এক দম্পতির বিরুদ্ধে। পুলিশ সূত্রে খবর, আদিলাবাদ জেলার মাঞ্চেরিয়াল শহরের দম্পতি আতরাম আকবর এবং তাঁর স্ত্রী মাহেশ্বরী গত কাল তাঁদের তিন মাসের শিশুকন্যাকে দেড় লাখ টাকার বিনিময়ে বিক্রির চেষ্টা করেন। কিন্তু স্থানীয় বাসিন্দাদের সন্দেহ হয় এবং তাতে ভেস্তে যায় তাঁদের পরিকল্পনা। তবে, তাঁদের বিরুদ্ধে কোনও মামলা রুজু করা হয়নি বলে জানিয়েছেন ডিএসপি ওয়াই বিজয়। তিনি আরও জানান, যদি ওই দম্পতি সত্যিই বাচ্চাটিকে না চান, তা হলে তাকে অঙ্গনওয়াড়ি কেন্দ্রে পাঠিয়ে দেওয়া হবে।

২ শিক্ষক অপহৃত
বন্দুক দেখিয়ে দুই শিক্ষককে অপহরণ করে নিয়ে গেল জঙ্গিরা। কাল রাতে অসমে কোকরাঝাড় জেলার আমগুড়ি এলাকায় ঘটেছে এই ঘটনা। পুলিশ জানায়, কোকরাঝাড়ের ডন বসকো স্কুলের দুই শিক্ষক নিতু কলিতা ও দেবকুমার দত্ত একটি প্রশিক্ষণ শিবির শেষ করে বাড়ি ফিরছিলেন। পথে হঠাৎই দু’টি মোটরবাইকে চেপে হাজির হয় কয়েকজন সশস্ত্র জঙ্গি। মাথায় আগ্নেয়াস্ত্র ঠেকিয়ে দুইজনকে বাইকে তুলে অজ্ঞাত স্থানে নিয়ে যায় তারা। অপহৃতদের সন্ধানে তদন্তে নেমেছে পুলিশ।

মাওবাদী বন্ধ
এ বার ছোটনাগপুর টেনেন্সি (সিএনটি) আইন কার্যকর করার দাবি তুলল মাওবাদীরা। কোনও রকম সংশোধন না করে বর্তমান সিএনটি আইন কার্যকর করার দাবিতে তারা আগামী ২৭ ফেব্রুয়ারি ২৪ ঘণ্টার ঝড়খণ্ড বন্ধের ডাক দিয়েছে। মাওবাদীদের এই বন্ধ ঘোষণা আদিবাসী অধ্যুষিত ঝাড়খণ্ডের রাজনীতিতে নতুন মাত্রা যোগ করতে পারে বলে মনে করা হচ্ছে।
বৃদ্ধাশ্রমের শিলান্যাস
জীবনের শেষ প্রান্তে একাকী, অসহায় হয়ে পড়া বৃদ্ধবৃদ্ধাদের পাশে দাঁড়াতে এগিয়ে এল শিলচরের ক্রীড়া, সামাজিক ও সাংস্কৃতিক সংগঠন ‘রূপম’। সংগঠনের সুবর্ণ জয়ন্তী বর্ষ উদযাপনের সূত্রে আজ শিলচরে শিলান্যাস হল এক বৃদ্ধাশ্রমের। অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন শিলচর রামকৃষ্ণ মিশন সেবাশ্রমের সচিব স্বামী সত্যাস্থানন্দ, ভারত সেবাশ্রম সঙ্ঘের শিলচর শাখার প্রধান স্বামী মৃন্ময়ানন্দ, হোলি ক্রস ক্যাথলিক চার্চের ফাদার রয়্যার এবং বিশিষ্ট অভিনেতা দেবরাজ রায়। সংগঠনের সাধারণ সম্পাদক নিখিল পাল জানান, এ জন্য জমি দিয়েছেন দত্তরায় পরিবার।
কয়লামন্ত্রীকে নোটিস কমিশনের
কেন্দ্রীয় কয়লামন্ত্রী শ্রীপ্রকাশ জয়সওয়ালকে কারণ দর্শানোর নোটিস দিল নির্বাচন কমিশন। কংগ্রেস উত্তরপ্রদেশে সংখ্যাগরিষ্ঠতা না পেলে রাষ্ট্রপতির শাসন জারি ছাড়া কোনও পথ খোলা থাকবে না বলে মন্তব্য করেন জয়সওয়াল। এই মন্তব্য নিয়ে কমিশনে অভিযোগ করে বিজেপি। আদর্শ আচরণবিধি ভঙ্গের দায়ে কেন কয়লামন্ত্রীর বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হবে না, জানতে চেয়েছে কমিশন।

প্রশ্নের মুখে মোদী সরকার
পুলিশের সঙ্গে সংঘর্ষে মৃত্যুর তদন্ত নিয়ে সুপ্রিম কোর্টে প্রশ্নের মুখে পড়ল মোদী সরকার। এই তদন্তে নজরদারি কমিটির এক নতুন চেয়ারম্যান নিয়োগ করেছে তারা। কিন্তু নিয়োগের আগে শীর্ষ আদালতকে জানানো উচিত ছিল বলে মন্তব্য করেছে বিচারপতি আফতাব আলম ও বিচারপতি রঞ্জনা প্রকাশ দেশাইয়ের বেঞ্চ। কারণ, আদালতের নির্দেশেই ওই কমিটি গঠন করা হয়েছিল। ২০০২-২০০৬ সালের মধ্যে গুজরাতে পুলিশের সঙ্গে সংঘর্ষে ২২টি মৃত্যুর ঘটনার নিরপেক্ষ তদন্ত চেয়ে সুপ্রিম কোর্টের দ্বারস্থ হয়েছিলেন সাংবাদিক বি জি ভার্গিজ ও কবি জাভেদ আখতার।

ইস্তফা দিলেন মহাকাশ বিজ্ঞানী
মহাকাশ কমিশন থেকে ইস্তফা দিয়েছেন বিজ্ঞানী রোডাম নরসিংহ। ইসরোর প্রাক্তন প্রধান জি মাধবন নায়ার সহ চার বিজ্ঞানীর প্রতি কেন্দ্রের আচরণের প্রতিবাদেই তিনি এই পদক্ষেপ করেছেন বলে জানিয়েছেন নরসিংহ। অ্যানট্রিক্স-ডেভাস চুক্তি নিয়ে বিতর্কে জড়িয়ে পড়েন ওই চার বিজ্ঞানী। ভবিষ্যতে তাঁদের কোনও সরকারি কাজের দায়িত্ব না দেওয়ার সিদ্ধান্ত নেয় কেন্দ্র। নরসিংহের ইস্তফা দুর্ভাগ্যজনক বলে মন্তব্য করেছেন মাধবন। তাঁর মতে, মহাকাশ কমিশনে নরসিংহই ছিলেন একমাত্র উপযুক্ত ব্যক্তি।

ভেঙে পড়ল মিরাজ ২০০০
ছবি: পি টি আই
মধ্যপ্রদেশের ভিন্দের কাছে ভেঙে পড়ল ভারতীয় বায়ুসেনার যুদ্ধ বিমান মিরাজ ২০০০। আকাশে ওড়ার কিছু ক্ষণ পরে ইঞ্জিনে যান্ত্রিক ত্রুটি দেখা দেওয়ায় ভেঙে পড়ে সেটি। শুক্রবার বিমানটি চালাচ্ছিলেন এয়ার মার্শাল অনিল চোপড়া। তবে ভেঙে পড়ার আগে বিমানের চালক ও সহকারী চালক বেরিয়ে এসেছিলেন। তাঁরা এখন হাসপাতালে চিকিৎসাধীন।


First Page| Calcutta| State| Uttarbanga| Dakshinbanga| Bardhaman| Purulia | Murshidabad| Medinipur
National | Foreign| Business | Sports | Health| Environment | Editorial| Today
Crossword| Comics | Feedback | Archives | About Us | Advertisement Rates | Font Problem

অনুমতি ছাড়া এই ওয়েবসাইটের কোনও অংশ লেখা বা ছবি নকল করা বা অন্য কোথাও প্রকাশ করা বেআইনি
No part or content of this website may be copied or reproduced without permission.