দু’টি চুরির ঘটনায় গ্রেফতার চার
নিজস্ব সংবাদদাতা |
পৃথক দু’টি চুরির ঘটনায় চার জনকে বৃহস্পতিবার গ্রেফতার করেছে কলকাতার গোয়েন্দা পুলিশ।পুলিশ জানায়, ২৬ জানুয়ারি রাতে ফুলবাগান থানা এলাকার একটি বৈদ্যুতিন জিনিসপত্রের দোকানের ক্যাশ বাক্স থেকে ১৬ লক্ষ টাকা চুরি যায়। তদন্তে জানা যায়, সঞ্জীব দে নামে দোকানের এক কর্মচারী ওই ঘটনায় যুক্ত। দিন কয়েক আগে সঞ্জীবকে গ্রেফতার করে পুলিশ। তার বাড়ি পূর্ব মেদিনীপুরের এগরায়। পুলিশের দাবি, জেরায় সঞ্জীব জানায়, কানাই বারিক নামে এগরারই এক যুবককে ২৬ তারিখ সন্ধ্যায় সে দোকানে ঢুকিয়ে রেখেছিল। কানাই ক্যাশ বাক্স ভেঙে টাকা সরায় এবং দোকানে লুকিয়ে থাকে। ২৭ তারিখ দোকান খোলার পরে বিষয়টি জানাজানি হয়। কিন্তু পুলিশ ও দোকানের অন্য কর্মীদের নজর এড়িয়ে কানাই পালিয়ে যায়। কানাইকে বৃহস্পতিবার ধরা হয়। তার কাছ থেকে ৬ লক্ষ টাকা উদ্ধার করেছে পুলিশ। অন্য দিকে, পোস্তা থানা এলাকার একটি সোনার দোকান থেকে গত ৩ ফেব্রুয়ারি বেশ কিছু গয়না চুরি গিয়েছিল। এ ক্ষেত্রেও ওই দোকানের এক কর্মী গণেশ জৈনের উপরে সন্দেহ হয় গোয়েন্দাদের। পুলিশের দাবি, জেরায় গণেশ স্বীকার করে, রাজু সিংহ নামে এক সঙ্গীর সাহায্যে সে দোকান থেকে ওই গয়না সরিয়েছে। গণেশ ও রাজুকে বৃহস্পতিবার গ্রেফতার করা হয়েছে। তাদের কাছ থেকে ৩০০ গ্রাম সোনার গয়নাও উদ্ধার হয়েছে। |
অটো-পাইলট বিগড়ে যাওয়ায় ফিরল বিমান |
মাঝ আকাশে বিগড়ে গেল বিমানের ‘অটো-পাইলট’ ব্যবস্থা। ফলে বেঙ্গালুরুমুখী ওই বিমানকে কলকাতায় ফিরে আসতে হল। যাত্রীরা নিরাপদেই আছেন। ‘অটো-পাইলট’ ব্যবস্থায় কম্পিউটার মারফত স্বয়ংক্রিয় ভাবে ঠিক করে দেওয়া গতিপথে উড়ে যায় বিমান। পাইলটের কাজ শুধু আসনে বসে নজর রাখা। ‘অটো-পাইলট’ ব্যবস্থা চালু হওয়ার পরে পাইলটদের কাজ অনেকটাই কমে গিয়েছে। শুক্রবার সকাল ৭টা ১০ মিনিটে কলকাতা থেকে ৮৯ জন যাত্রী নিয়ে বেঙ্গালুরুর উদ্দেশে রওনা হয়েছিল স্পাইসজেটের উড়ান। কিন্তু ভুবনেশ্বরের ১০ মাইল দক্ষিণ থেকে পাইলট কলকাতার এয়ার ট্রাফিক কন্ট্রোল (এটিসি)-এ বার্তা পাঠিয়ে জানান, ‘অটো-পাইলট’ ব্যবস্থা বিগড়ে গিয়েছে। তিনি ফিরতে চান। সকাল ৮টা ৪০ মিনিটে তিনি কলকাতায় নামেন। মেরামতির পরে বিমানটি ১২টায় ৭২ জন যাত্রী নিয়ে বেঙ্গালুরু উড়ে যায়। বাকি যাত্রীদের মধ্যে কেউ যাত্রা বাতিল করেন, কেউ অন্য সংস্থার বিমানে উড়ে যান। |
অজ্ঞাতপরিচয় এক যুবকের দেহ উদ্ধার হল। শুক্রবার, দমদমের বিধানপল্লির রেল লাইনের কাছে। স্থানীয় বাসিন্দারাই দেহটি দেখে পুলিশে খবর দেন। প্রাথমিক তদন্তের পরে পুলিশ জানিয়েছে, ওই যুবকের মাথা ও শরীরের কিছু অংশে ভারী কিছু দিয়ে আঘাতের চিহ্ন রয়েছে। তাঁর পকেটে মানিব্যাগ ছাড়া আর কিছু মেলেনি। ট্রেনের ধাক্কায় না অন্য কোনও কারণে ওই ব্যক্তির মৃত্যু হয়েছে, তা খতিয়ে দেখছে পুলিশ। দেহটি ময়না-তদন্তের জন্য পাঠানো হয়েছে। |
নির্মীয়মাণ ইস্ট-ওয়েস্ট মেট্রো প্রকল্পের সুড়ঙ্গ তৈরির জন্য জার্মানি থেকে নিয়ে আসা হয়েছে অত্যাধুনিক এমনই দু’টি যন্ত্র। এক-একটির দাম প্রায় ১৪০ কোটি টাকা। রাস্তা থেকে প্রায় ৪০ মিটার নীচে নামিয়ে দেওয়া হবে এই যন্ত্র দু’টিকে। তার পরে মাটি খুঁড়ে সুড়ঙ্গ তৈরি করতে করতে এগিয়ে যাবে তারা। আজ, শনিবার সুভাষ সরোবরের সামনে মেট্রোর সুড়ঙ্গ তৈরির কাজের আনুষ্ঠানিক সূচনা করবেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। প্রকল্পের চিফ ইঞ্জিনিয়ার দুলালচন্দ্র মিত্রের আশা, ২০১৪ সালের ডিসেম্বরের মধ্যে বিধাননগর থেকে শিয়ালদহ পর্যন্ত মেট্রোপথ তৈরি হয়ে যাবে। |