|
|
|
|
অঙ্গনওয়াড়ি কেন্দ্রের উন্নয়নে জোর মন্ত্রীর |
নিজস্ব সংবাদদাতা • মেদিনীপুর |
আইসিডিএস কেন্দ্র রয়েছে। কিন্তু পর্যাপ্ত পরিকাঠামো নেই। নেই প্রয়োজনীয় কর্মীও। অনেক সময়েই আবার নিম্নমানের খাবার দেওয়ারও অভিযোগ ওঠে। এ বার থেকে এই সমস্যা দূর করতে প্রশাসনকে কঠোর হওয়ার নির্দেশ দিলেন মন্ত্রী। প্রশাসনিক উদাসীনতার ঘটলে দায়িত্বপ্রাপ্ত আধিকারিকের বিরুদ্ধে কড়া পদক্ষেপেরও হুঁশিয়ারি দিয়েছেন মন্ত্রী। বৃহস্পতিবার পূর্ব ও পশ্চিম মেদিনীপুর জেলার প্রশাসনিক কর্তা ও জনপ্রতিনিধিদের সঙ্গে মেদিনীপুরের জেলা পরিকল্পনা ভবনে বৈঠকে নারী, শিশু ও সমাজকল্যাণ দফতরের মন্ত্রী সাবিত্রী মিত্র বলে দেন, “কাজে ঢিলেমি নয়। স্বচ্ছ ভাবে কাজ করতে হবে। কারও বিরুদ্ধে কোনও অভিযোগ উঠলে তদন্ত করে ব্যবস্থা নিতে হবে।” জেলায় বহু স্বেচ্ছাসেবী সংস্থা কাজ করছে। ওই সব সংস্থার বিরুদ্ধে বিভিন্ন সময়ে অভিযোগও ওঠে। মন্ত্রী বলেন, “সমস্ত সংস্থার কাজ খতিয়ে দেখে রিপোর্ট পাঠাতে বলা হয়েছে। অনিয়ম ধরা পড়লেই সেই সংস্থাকে কালো তালিকায় ফেলা হবে।” |
|
জেলা পরিকল্পনা ভবনে বৈঠকে মন্ত্রী সাবিত্রী মিত্র। নিজস্ব চিত্র। |
এ দিন আইসিডিএস, হোম নিয়েই বেশি আলোচনা হয়। আইসিডিএস কেন্দ্রে যাতে দ্রুত কর্মী নিয়োগের ব্যবস্থা করা হয়, মন্ত্রী সেই নির্দেশও দেন বলে প্রশাসন সূত্রে জানা গিয়েছে। সেই সঙ্গে প্রতিটি কেন্দ্রে কর্মীরা নিয়মিত যাচ্ছেন কি না, সরকারি নিয়ম অনুযায়ী খাবার দেওয়া হচ্ছে কি না, যে সংস্থা কাঁচামাল সরবরাহ করে তারা গুণমান বজায় রাখছে কি নাসে সব বিষয়ে নিয়মিত তদারকিরও নির্দেশ দেওয়া হয়। কোনও আধিকারিক ভাল কাজ করলে তাঁকে পুরস্কার, উদাসীন হলে তাঁর ‘সার্ভিস বুকে’ তা লিপিবদ্ধ করারও কথাও বলেন সাবিত্রীদেবী।
বৈঠকে বিভাগীয় সচিব টুকটুক কুমার, কমিশনার মিতা চট্টোপাধ্যায়, পশ্চিম মেদিনীপুরের জেলাশাসক সুরেন্দ্র গুপ্ত, গ্রামোন্নয়ন দফতরের প্রজেক্ট ডিরেক্টর অরিন্দম দত্ত, ঝাড়গ্রামের সাংসদ পুলিনবিহারী বাস্কে, ডেবরার বিধায়ক রাধাকান্ত মাইতি-সহ প্রশাসনের পদস্থ আধিকারিক, জনপ্রতিনিধি বা তাঁদের প্রতিনিধি উপস্থিত ছিলেন। |
|
|
|
|
|