|
বাবু সাধুখাঁ |
স্থানীয় এক যুবকের সাহস এবং উপস্থিত বুদ্ধির জোরে বড় অগ্নিকাণ্ডের হাত থেকে রক্ষা পেল দক্ষিণ কলকাতার একটি বস্তি এলাকা। পুলিশ ও দমকল জানিয়েছে, বৃহস্পতিবার দুপুরে টালিগঞ্জ থানার শ্রীমোহন লেনে একটি বস্তিতে রান্না করছিলেন রমা ইন্দু নামে এক গৃহবধূ। আচমকা গ্যাস সিলিন্ডারে আগুন ধরে যায়। বস্তির অন্য লোকজন এসে দেখেন, সিলিন্ডারের ভাল্ভের মুখে দাউদাউ করে আগুন জ্বলছে। আগুন ছড়িয়ে পড়ার আশঙ্কায় ঘর থেকে সবাইকে বার করে আনা হয়। খবর যায় দমকলে। দমকল পৌঁছনোর আগেই অবশ্য এগিয়ে আসেন বাবু সাধুখাঁ নামে স্থানীয় ওই যুবক। তিনিই ঘরে ঢুকে জ্বলন্ত সিলিন্ডারটি বার করে নিয়ে আসেন। অন্য লোকেরা বালি দিয়ে সিলিন্ডারটি ঘিরে বালতি করে জল ঢালতে থাকেন। কিছুক্ষণের মধ্যে দমকল পৌঁছে আগুন নেভায়। বাবু পরে বলেন, “সিলিন্ডার ফেটে গেলে আরও বড় বিপদ হত। তাই কিছু না ভেবেই দৌড়ে ঘরে ঢুকে জ্বলন্ত সিলিন্ডার বার করে আনি। বড় কিছু যে হয়নি, এটাই অনেক।” ওই বস্তিবাসীদের অভিযোগ, অধিকাংশ ক্ষেত্রেই গ্যাস সিলিন্ডারের ওয়াশার থাকে না এবং সিলিন্ডার দেওয়ার সময়ে পরীক্ষা করে দেওয়া হয় না। এ দিন যে সিলিন্ডারে আগুন লাগে, সেটিরও ওয়াশার খোলা ছিল বলে জানান তাঁরা। তাঁদের অভিযোগ, গ্যাস সরবরাহকারী সংস্থাকে এ বিষয়ে জানানো হলেও তারা ব্যবস্থা নেয়নি।
|
বিকেল সাড়ে ৫টা। ঘণ্টার আওয়াজ করতে করতে দমকলের তিনটি গাড়ি এসে দাঁড়াল মহাকরণের সামনে। গাড়ি থেকে নেমে প্রায় দৌড়ে তেতলায় উঠে গেলেন দমদলকর্মীরা। তত ক্ষণে খবর পৌঁছে গিয়েছে মহাকরণের প্রেস কর্নারেও। জানা গেল, ডিজি-র ঘর থেকে ধোঁয়া বেরোচ্ছে। আতঙ্কে আশপাশের ঘর থেকে কর্মীরা বেরিয়ে এসেছেন। দু’তিন মিনিট পরে দমকলকর্মীরা ডিজি-র ঘর থেকে বেরিয়ে এসে বললেন, বিদ্যুৎ-বিভ্রাটের জেরে টিউবলাইট থেকে ধোঁয়া বেরোচ্ছিল।” কর্মীরাই ধোঁয়া নিয়ন্ত্রণ করে ফেলেন। ইতিমধ্যে চলে এসেছেন দমকলমন্ত্রী জাভেদ খানও। তিনি বলেন, “মহাকরণে আধুনিক অগ্নি নির্বাপণ ব্যবস্থা গড়ে তোলার জন্য সাড়ে তিন কোটি টাকার প্রস্তাব পাঠানো হয়েছে। তাতে পর্যাপ্ত জল, সিসি টিভি, আগুন ও ধোঁয়া ঘন্টি-সহ সব কিছুর কথাই আছে।”
|
বেশ কিছু শিশু শিক্ষা কেন্দ্র ও মাধ্যমিক শিক্ষা কেন্দ্র চালায় রাজ্যের সংখ্যালঘু দফতর। কিন্তু সরকার পরিচালিত সেই সব শিক্ষা কেন্দ্রের শিক্ষক ও শিক্ষাকর্মীদের নিয়োগপত্র দেওয়া হচ্ছে না বলে অভিযোগ। নিয়মমাফিক নিয়োগপত্র দেওয়ার দাবি তুলে বৃহস্পতিবার খাস মহাকরণের কেন্দ্রীয় গেটেই অবস্থান-বিক্ষোভ করলেন ওই সব শিক্ষা কেন্দ্রের এক দল শিক্ষক-শিক্ষাকর্মী। মুখ্যমন্ত্রীর সঙ্গে দেখা করতে চেয়েছিলেন তাঁরা। ওই শিক্ষক ও শিক্ষাকর্মীদের অভিযোগ, ১৩৮টি শিশু শিক্ষা কেন্দ্র ও মাধ্যমিক শিক্ষা কেন্দ্রের শিক্ষক-শিক্ষাকর্মীদের নিয়োগপত্র দেওয়া হচ্ছে না। বই, পোশাক, মিড-ডে মিল দেওয়া হচ্ছে না ছাত্রছাত্রীদের। সংখ্যালঘু উন্নয়ন দফতরের সঙ্গে যোগাযোগ করেও কোনও লাভ হয়নি। বিক্ষোভকারীদের তিন প্রতিনিধি মহাকরণে মুখ্যমন্ত্রীর অফিসে গিয়ে দাবিপত্র জমা দেন। পরে মহাকরণের উল্টো দিকের রাস্তায় বিক্ষোভ-অবস্থানে বসে দলটি। পুলিশ গিয়ে তাদের তুলে দেয়।
|
বিশিষ্ট সঙ্গীতশিল্পী নিদানবন্ধু বন্দ্যোপাধ্যায় প্রয়াত হলেন। বুধবার শেষ রাতে ভবানীপুরের বাসভবনে মৃত্যু হয় তাঁর। বয়স হয়েছিল ৮৯। তাঁর চার কন্যা রয়েছেন। একাধারে গায়ক, গীত রচয়িতা এবং সঙ্গীত-শিক্ষক হিসেবে পরিচিত ছিলেন নিদানবন্ধু। ‘রসরাজ’ ছদ্মনামে বহু ধ্রুপদ, খেয়াল ও ঠুংরি রচনা করেছেন তিনি। উত্তমকুমার এক সময়ে তাঁর কাছে গান শিখতেন। এই বিশিষ্ট শিল্পীর বহু ছাত্রছাত্রী এখন প্রতিষ্ঠিত শিল্পী।
|
ট্যাক্সিচালকের সততায় মূল্যবান জিনিস ও গয়না ফিরে পেলেন এক ব্যক্তি। পুলিশ জানায়, বৃহস্পতিবার বিকেলে সত্যনারায়ণ পার্ক থেকে পবনকুমার পরশুরামপুরিয়া নামে এক ব্যক্তি গয়না-সহ মূল্যবান জিনিস ভর্তি একাধিক স্যুটকেস নিয়ে ট্যাক্সিতে ওঠেন। ডি এল খান রোডের একটি বিয়েবাড়িতে নেমে যান তিনি। ডিকিতেই রয়ে যায় একটি স্যুটকেস। পরে বিষয়টি নজরে পড়তেই তিনি থানায় অভিযোগ করেন। যোগাযোগ করেন ট্যাক্সি সংগঠনের সঙ্গে। পুলিশ সূত্রের খবর, শশাঙ্কশেখর ওঝা নামে ওই চালকই স্যুটকেসটি বিয়েবাড়িতে পৌঁছে দেন।
|
সল্টলেক ও দমদমের রাস্তায় একই কায়দায় গয়না গায়েব। বুধবার দমদমে মধ্যবয়স্ক এক মহিলা ব্যাঙ্ক থেকে গয়না তুলে বাড়ি ফিরছিলেন। পুলিশ বলে পরিচয় দিয়ে তাঁর সেই গয়না হাতিয়ে নিয়ে পালিয়ে যায় দুই যুবক। একই দিনে বিধাননগর উত্তর থানা এলাকার ‘এ’ ব্লকেও ব্যাঙ্ক থেকে বাড়ি ফেরার পথে এক বৃদ্ধার গয়না হাতিয়ে পালিয়ে গিয়েছিল তিন দুষ্কৃতী। তারাও নিজেদের পুলিশ বলে পরিচয় দিয়েছিল। একই দল দু’টি ঘটনায় জড়িত কি না, তদন্ত চলছে। একই পদ্ধতিতে কেপমারির অভিযোগ উঠেছে লেক টাউন, শ্যামপুকুর, বিধাননগর দক্ষিণ থানা এলাকায়। কোনও ঘটনারই কিনারা হয়নি।
|
এক বৃদ্ধের অস্বাভাবিক মৃত্যু হয়েছে। বৃহস্পতিবার, বড়তলা থানা এলাকায়। মৃতের নাম ভরত ঝা (৭০)। বাড়ি এপিসি রোডের কাছে ছানাগলিতে। পুলিশ জানায়, ভোরে গায়ে কেরোসিন ঢেলে আগুন লাগিয়ে দেন ওই বৃদ্ধ। আরজিকরে তাঁকে মৃত ঘোষণা করা হয়। তদন্তকারীরা জানান, সম্প্রতি মানসিক ভারসাম্য হারিয়ে ফেলেছিলেন ওই বৃদ্ধ। |