ভর্তুকির অর্থ পুরোটাই গরিব মানুষের হাতে পৌঁছে দিতে আধার-সংখ্যার ভিত্তিতে ভর্তুকির অর্থ সরাসরি বিলির ব্যবস্থা দ্রুত চালু করতে চাইছেন কেন্দ্রীয় অর্থমন্ত্রী প্রণব মুখোপাধ্যায়। এ বিষয়ে প্রয়োজনীয় পরিকাঠামো গড়ে তোলার জন্য নন্দন নিলেকানির নেতৃত্বে গঠিত টাস্ক ফোর্স আজ চূড়ান্ত রিপোর্ট পেশ করেছে। নিলেকানির দাওয়াই, আধার-সংখ্যার ভিত্তিতে গরিব মানুষদের জন্য ব্যাঙ্ক বা পোস্ট অফিসে অ্যাকাউন্ট খুলে দেওয়া হোক। তার পরে সরকারি কোষাগার থেকে ই-পেমেন্টের মাধ্যমে ওই অ্যাকাউন্টে সরাসরি অর্থ চলে যাবে। এমনকী একশো দিনের কাজের ভাতা, অঙ্গনওয়াড়ি কর্মীদের ভাতাও এই ভাবে দেওয়ার কথা বলেছেন নিলেকানি।
কেন্দ্রীয় অর্থমন্ত্রী ক’দিন আগেই জানিয়েছিলেন, ভর্তুকির বিরাট বহরে নয়, প্রশাসনিক গাফিলতির ফাঁক দিয়ে গলে যাওয়া ভর্তুকির পরিমাণই তাঁর দুশ্চিন্তার কারণ। মনমোহন সরকারের লক্ষ্য, রান্নার গ্যাস, সার বা খাদ্যশস্যে ভর্তুকি তুলে দিয়ে দারিদ্রসীমার নিচে বসবাসকারী মানুষের হাতে সরাসরি ভর্তুকির অর্থ তুলে দেওয়া। এতে যাঁদের সত্যিই প্রয়োজন, তাঁদের হাতেই ভর্তুকি পৌঁছবে। আবার সরকারের ভর্তুকির বোঝাও কমবে। নিয়ন্ত্রণে থাকবে দুর্নীতিও।
ইতিমধ্যেই ঝাড়খণ্ডে একশো দিনের কাজের ভাতা, কর্নাটকে রান্নার গ্যাসের দামে ভর্তুকি দেওয়ার জন্য ‘পাইলট প্রোজেক্ট’ হিসেবে এই ব্যবস্থা চালু হয়েছে। গ্রামের মানুষের জন্য ব্যাঙ্ক বা পোস্ট অফিসে অ্যাকাউন্ট খোলা ও অন্যান্য কাজে সাহায্য করার জন্য গোটা দেশে ১০ লক্ষ কর্মী নিয়োগেরও সুপারিশ করেছেন নিলেকানি। যে হেতু দেশের সমস্ত গ্রামে ব্যাঙ্ক বা পোস্ট অফিসের শাখা নেই, তাই দশ লক্ষ মাইক্রো-এটিএম খোলারও সুপারিশ করেছেন তিনি। আজ নিলেকানির রিপোর্ট পাওয়ার পর প্রণব বলেন, “আরও বেশি এলাকায়, আরও বেশি সংখ্যক রাজ্যে পাইলট প্রোজেক্ট চালু করা হোক।” অর্থ মন্ত্রকের বক্তব্য, নিলেকানির রিপোর্ট নীতিগত ভাবে গ্রহণ করা হয়েছে। এ বার তা কার্যকর করার জন্য প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ করা হবে।
|
লৌহ আকরিক নীতির দাবিতে আর্জি মমতার |
নিজস্ব সংবাদদাতা • কলকাতা |
জাতীয় লৌহ আকরিক নীতির দাবিতে প্রধানমন্ত্রী মনমোহন সিংহকে চিঠি দিলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। জাতীয় কয়লা নীতির ধাঁচেই লৌহ আকরিক নিয়ে নয়া নীতি প্রয়োজন বলে রাজ্য মনে করছে। যা রূপায়িত হলে ইস্পাত শিল্পের ওই খনিজ সম্পদটির উপর সব রাজ্যেরই সমানাধিকার তৈরি হবে, দাবি শিল্পমন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের। বৃহস্পতিবার মহাকরণে পার্থবাবু জানান, আকরিক নিয়ে জাতীয় নীতি না-থাকায় একচেটিয়া ভাবে কয়েকটি রাজ্য ওই খনিজ সম্পদ নিয়ন্ত্রণ করছে। একই যুক্তিতে জাতীয় আকরিক লোহা নীতি রূপায়ণের দাবি তুলেছিল বাম সরকারও। কিন্তু কেন্দ্রের পক্ষ থেকে সাড়া মেলেনি। পাশাপাশি, রাজ্য যাতে আরও ৯টি কয়লা খনি পায়, সে জন্য কেন্দ্রকে চিঠি লিখবেন পার্থবাবু। |