শব্দ দূষণের প্রতিবাদ করায় এ বার প্রহৃত হল এক মাধ্যমিক পরীক্ষার্থী। রবিবার রাতে দক্ষিণ ২৪ পরগনার রামনগরের সিমলা গ্রামের বাসিন্দা তাহিরা ইয়াসমিন নামে ওই পরীক্ষার্থী পড়াশোনা করছিল। পাশের বাড়িতে জোরে সাউন্ড বক্স বাজানোয় ব্যাঘাত ঘটছিল পড়ায়। তাহিরা গিয়ে প্রতিবাদ করে। তাতেই ওই বাড়ির এক জন তাকে এলোপাথাড়ি কিল-চড় মারেন এবং রাস্তায় টেনে এনে মাথা ঠুকে দেন বলে তাহিরা পুলিশকে জানিয়েছে। সংজ্ঞাহীন অবস্থায় ওই গ্রামের কয়েক জন বাসিন্দা ওই রাতে রাস্তা থেকে তুলে তাহিরাকে ডায়মন্ড হারবার হাসপাতালে ভর্তি করান। তাহিরার মাথায় গুরুতর চোট রয়েছে। সোমবার রাত পর্যন্ত থানায় লিখিত অভিযোগ দায়ের হয়নি। |
হাসপাতালে তাহিরা। — নিজস্ব চিত্র |
শব্দ দূষণের প্রতিবাদ করায় এর আগে মৃত্যুও দেখেছে এ রাজ্য। সপ্তাহ খানেক আগে উত্তর ২৪ পরগনার ভাটপাড়ায় জোরে সাউন্ড বক্স বাজানোর প্রতিবাদ করায় এক মানবাধিকার কর্মীকে মারধর করা হয়েছিল বলে অভিযোগ ওঠে। সোমবার ডায়মন্ড হারবার হাসপাতালে তাহিরা বলে, “ওরা এত জোরে বক্স বাজাচ্ছিল যে আমার পড়তে অসুবিধা হচ্ছিল। সে কথাই বলতে যাই। ওরা গালিগালাজ করে। তার পরে আচমকা মারধর শুরু করে। বাড়ির বাইরে টেনে এনে বিদ্যুৎস্তম্ভে মাথা ঠুকে দেয়। তার পরে আমি জ্ঞান হারিয়ে ফেলি।”
পুলিশ জানায়, ওই পরিবারের তরফে থানায় একটি সাধারণ ডায়েরি করা হয়েছে। এর ভিত্তিতেই তদন্ত শুরু হয়েছে।
|
বিদ্যুৎস্পৃষ্ট হয়ে মৃত চিতাবাঘটি, গুয়াহাটি চিড়িয়াখানায়। ছবি: উজ্জ্বল দেব |
পার্শ্ববর্তী পাহাড় থেকে ফের গুয়াহাটি শহরে নেমে এল একটি স্ত্রী-চিতাবাঘ। তবে এ বার আর তার জঙ্গলে ফেরা হল না। বিদ্যুৎস্পৃষ্ট হয়ে মারা যায় সে। ঘটনাটি গুয়াহাটির পাণ্ডু এলাকার। গুয়াহাটির চাঁদমারি এলাকায়ও আজ স্থানীয় বাসিন্দারা চিতাবাঘের মতো দেখতে একটি জন্তুকে দৌড়ে যেতে দেখেন বলে দাবি। পুলিশ ও স্থানীয় বাসিন্দাদের সূত্রে খবর, গত কয়েকদিন ধরেই পাণ্ডুতে একটি চিতাবাঘকে দেখা যাচ্ছিল। গত মাসে চিতাবাঘের হানায় এখানকার তিন বাসিন্দা জখমও হন। তবে সে সময় বাঘটি জঙ্গলে পালায়। আজ সকালে বনকর্মীরা মৃত চিতাবাঘটির দেহ চিড়িয়াখানায় নিয়ে যায়। পরে দেহটি ময়নাতদন্তের জন্য পাঠানো হয়। চিড়িয়াখানার ডিএফও উৎপল বরা জানান, চিতাবাঘটির বয়স বছর চারেক। |