চৌত্রিশ বৎসর পরে আজই সেই দিন। সহস্র বৎসর অপেক্ষার পর রামচন্দ্রের স্পর্শে অহল্যার শাপমুক্তি হইয়াছিল। তুলনায় কলিকাতার ব্রিগেড প্যারেড গ্রাউন্ডকে অনেক কম অপেক্ষা করিতে হইল। আজ ব্রিগেডে বামফ্রন্টের সভা। বস্তুত, ‘বিরোধী’ বামফ্রন্টের সভা। চৌত্রিশ বৎসর পরে, এই প্রথম বার। বামপন্থীরা চরিত্রগত ভাবেই বিরোধী। রাজ্যের মানুষ তাঁহাদের শাসনক্ষমতায় রাখিয়া এক অর্থে তাঁহাদের উপর অবিচার করিয়াছিলেন শাসকচর্মাবৃত বিরোধী হইয়া থাকিবার বাধ্যতামূলক উভ-জীবন যাপন করিতে বামপন্থীদের বাধ্য করিয়াছিলেন। আজ তাঁহারা মুক্ত। ব্রিগেড এত দিন এই বিরোধী বামপন্থীদের পথ চাহিয়া ছিল। আজ ব্রিগেডে যে শব্দগুলি উচ্চারিত হইবে, তাহার বিরোধী চরিত্র নিষ্কলুষ তাহাতে শাসকের ভার থাকিবে না। আজ সভার পরে যে চায়ের ভাড়গুলি ছড়াইয়া থাকিবে, তাহাও বিরোধীদেরই। আজ ব্রিগেডে মিশেলহীন বিরোধী, নিরঙ্কুশ বিরোধী বামপন্থীদের সভা। গত চৌত্রিশ বৎসর ব্রিগেড শুনিয়াছে, কী ভাবে এই রাজ্যের শাসকরা সাম্রাজ্যবাদী আগ্রাসন ঠেকাইয়া রাখিয়াছে। আজ ব্রিগেড সাম্রাজ্যবাদের হাতে এই রাজ্যের শাসকদের পরাভবের কথা শুনিবে। বিরোধী কণ্ঠে। |