নরওয়ের প্রবাসী দম্পতি অনুরূপ এবং সাগরিকা ভট্টাচার্যের সন্তানদের ফেরাতে ধর্নার সিদ্ধান্ত নিলেন সাগরিকার বাবা-মা মনোতোষ ও শিখা চক্রবর্তী। ২৭ ফেব্রুয়ারি থেকে ১ মার্চ পর্যন্ত নয়াদিল্লিতে নরওয়ের দূতাবাসের সামনে তাঁরা ধর্নায় বসবেন বলে জানান মনোতোষবাবু। সাধারণত, দূতাবাস এলাকায় ধর্নার অনুমতি দেয় না দিল্লি পুলিশ। তবে, এ ক্ষেত্রে মানবিক কারণে অনুমতি মিলেছে।
ভারত সরকারের চাপে তিন মাস পরে গত কাল তিন বছরের অভিজ্ঞান ও এক বছরের ঐশ্বর্যাকে সাগরিকা-অনুরূপের সঙ্গে দেখা করার অনুমতি দেয় নরওয়ে সরকার। সেই সাক্ষাৎ অবশ্য খুব সুখকর হয়নি ওই দম্পতির কাছে। আনন্দবাজারকে এক ই-মেল সাক্ষাৎকারে সাগরিকা বলেন, “অভি আমাদের জড়িয়ে ধরেছিল। কিন্তু দেখলাম আমাদের ছোট্ট মেয়েটা ওর নতুন বাবা-মাকেই বেশি চেনে। ওদের ভাষা, হাবভাব কেমন পাল্টে গিয়েছে। শিগগিরই ওদের দেশে ফেরানো না হলে ওরা ভারতীয় রীতিনীতি সব ভুলে যাবে বলে আমাদের আশঙ্কা।”
শিশু দু’টিকে কাকা অরুণাভাসের হাতে তুলে দিতে রাজিও হয়েছিল নরওয়ে। কিন্তু কবে তাদের কাকার হাতে তুলে দেওয়া হবে তা নিয়ে টালবাহানা শুরু করেছে তারা। ৮ মার্চ ভিসার মেয়াদ শেষ হচ্ছে শিশু দু’টির। কিন্তু নরওয়ে সরকার জানিয়েছে, সমস্ত আইনি প্রক্রিয়া শেষ হতে এপ্রিল মাস হয়ে যেতে পারে। সে ক্ষেত্রে তারাই শিশু দু’টির ভিসার মেয়াদ বাড়িয়ে দেবে। এই প্রস্তাবের বিরুদ্ধেই ধর্নায় বসার সিদ্ধান্ত নিয়েছেন মনোতোষবাবু-শিখাদেবী। মনোতোষবাবুর কথায়, “নরওয়ে সরকার যা করছে তা লজ্জার ব্যাপার। ভারতের নাগরিকদের কাছে অনুরোধ, আমাদের সঙ্গে যোগ দিন।” |