দক্ষিণ দিনাজপুরের গঙ্গারামপুরে কলেজ ভোটে মনোনয়নপত্র প্রত্যাহারকে কেন্দ্র করে এসএফআই এবং টিএমসিসিপির গোলমালের ঘটনার ২৪ ঘন্টা কেটে গেলেও কেউ গ্রেফতার হয়নি। শহরে চাপা উত্তেজনা রয়েছে। থমথমে কলেজ চত্বর। দু’পক্ষই পরস্পরের বিরুদ্ধে এদিনও অভিযোগ-পাল্টা অভিযোগ জানায়। বৃহস্পতিবার এসএফআইয়ের বিরুদ্ধে সিপিএম পার্টি অফিসে দুই প্রার্থীকে আটকে রেখে হুমকি ও মারধরের অভিযোগে ৫১ জন এসএফআই ও সিপিএম নেতার নামে থানায় অভিযোগ করেছে টিএমসিপি। পার্টি অফিসে হামলা ও ভাঙচুরের ঘটনায় এসএফআই থেকে ২২ জন টিএমসিপি কর্মী ও নেতার নামে পাল্টা অভিযোগ করা হয়েছে। জেলা পুলিশ সুপার চিরন্তন নাগ বলেন, “দু’পক্ষের অভিযোগ পেয়ে তদন্ত শুরু হয়েছে।” |
এদিকে, মনোনয়নপত্র প্রত্যাহারের পরে গঙ্গারামপুর কলেজে ৬টি আসনে বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় জিতে গিয়েছে টিএমসিপি। মোট ৩২ টি আসনের মধ্যে এসএফআই এবং টিএমসিপির প্রার্থীদের মনোনয়নপত্রে ভুল থাকায় ২ টি আসনে ভোট হচ্ছে না। আগামী ২২ তারিখে গঙ্গারামপুর কলেজে মোট ৩০ টি আসনের মধ্যে ৬ টি আসন টিএমসিপি জিতে যাওয়ায় ভোট হচ্ছে ২৪টি আসনে। টিএমসিপি হুমকির ফলে ওই আসনগুলিতে তাদের প্রার্থী দাঁড়াতে পারেনি বলে এসএফআই লোকাল সম্পাদক লক্ষ্মণ ঘোষ অভিযোগ করেন। এদিন তাদের পক্ষ থেকে কলেজের অধ্যক্ষের কাছে ছাত্র সংসদের ভোট স্থগিত রাখার আবেদন জানানো হয়। ওই এসএফআই নেতার অভিযোগ, “গঙ্গারামপুর কলেজে সুষ্ঠুভাবে ভোট করার মতো পরিবেশ নেই। টিএমসিপি ছাত্রদের ভয় দেখাচ্ছে।” টিএমসিপির জেলা সভাপতি অতনু রায় হুমকির অভিযোগ অস্বীকার করে বলেন, “এসএফআই রাতে প্রার্থীদের বাড়ি গিয়ে প্রাণনাশের হুমকি দিচ্ছে। আমরা পুলিশকে সব জানিয়েছি।” তাঁর বক্তব্য, কলা ও বাণিজ্য বিভাগের দ্বিতীয়, তৃতীয় বর্ষের পাঁচটি আসনে এসএফআই প্রার্থী দাঁড় করাতে পারেনি। বিএসসির প্রথম বর্ষের এসএফআইয়ের এক প্রার্থী মনোনয়নপত্র প্রত্যাহার করায় ৬টি আসনে তাঁরা বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় জয়ী হয়েছেন। ছাত্ররা মুখ ফিরিয়ে নেওয়ায় এসএফআই ভোটে লড়তে ভয় পাচ্ছে বলে দাবি করেছেন ওই টিএমসিপি নেতা। জেলায় একই দিনে পাঁচটি কলেজে ভোটের আয়োজন হওয়ায় গোলমাল ঠেকাতে বাইরের জেলা থেকে অফিসার-সহ প্রায় ৮০ জন পুলিশ কর্মীকে আনা হচ্ছে। পুলিশ সুপার বলেন, “বাইরের পুলিশের পাশাপাশি আরও ৩৫০ জন পুলিশ ফোর্স কলেজগুলিতে মোতায়েন থাকবে।” |