|
|
|
|
|
|
|
পুস্তক পরিচয় ৩... |
|
নচেৎ বিভ্রান্তি হইবে |
বইপোকা |
সার্ধশতবর্ষের ঢাকঢোল সহযোগে নহে, নিতান্ত চুপিচুপি আর পাঁচটি দিনের ন্যায় আসিয়াছে আজিকার দিনটি, জীবনানন্দ দাশের জন্মদিন। বাংলা সাহিত্যে রবীন্দ্রনাথের পরেই তাঁহার স্থান, তিনিই বাংলার প্রথম আধুনিক কবি এমন কথা বলিয়া থাকেন অনেকে। কিন্তু তাঁহার কবিতা কতটুকু অনুবাদের মাধ্যমে পৌঁছানো গিয়াছে? ইংরাজিতে কিছু অনুবাদ হইয়াছে বটে, কিন্তু তাহা নিতান্ত অপ্রতুল। অন্য বিদেশি ভাষায় অনুবাদ তো দূরস্থান। এই প্রেক্ষিতে একটি সুসংবাদ ক্যারোলা এরিকা লরেয়া-র অনুবাদে ফিরে দেখা বনলতা সেন (এন ই পাবলিশার্স)। বাংলা এবং ইতালীয় দুই ভাষার এই সংস্করণে বনলতা সেন কাব্যগ্রন্থের কবিতাগুলির অনুবাদ। সৌরীশ মিত্রের প্রচ্ছদটিও আকর্ষণীয়। সাধু উদ্যোগ, কিন্তু বাংলা কবিতাগুলি মুদ্রণের ক্ষেত্রে আরও যত্নবান হওয়া দরকার। অযত্নের ফলে কী হয়, একটি নমুনা দিই। ‘অন্ধকার’ কবিতার প্রথম পংক্তিতেই ‘শব্দে’ শব্দটি বাদ পড়িয়া গিয়াছে। যতিচিহ্ন, শব্দাবলি, কবিতায় আবশ্যক শূন্যস্থান ইত্যাদি বিষয়েও এই দ্বিভাষিক সংস্করণে বিস্তর প্রমাদ। বনলতা সেন-এর কোন সংস্করণটিকে অবলম্বন করিয়া কবিতাগুলি অনূদিত, তাহা উল্লেখ করিতে হইবে, নচেৎ কবিতাসংখ্যায় বিভ্রান্তির সৃষ্টি হইবে, কারণ কাব্যগ্রন্থটির সংস্করণ হইতে সংস্করণে নূতন কবিতা সংযোজিত হইয়া চলিয়াছে। পরবর্তী সংস্করণে এই সকল গলদ সংশোধিত হইবে, আশা করা যায়। অন্তত পশ্চাৎপ্রচ্ছদে দুদণ্ড বানানটি সংশোধন না করিলে জীবনানন্দকে এই বনলতা সেন বুঝি শান্তি দিতে পারিবে না। |
|
|
|
|
|