বন্যপ্রাণ বাঁচাতে প্রথা ভেঙ্গে গরুমারা উদ্যানের বুক চিরে চলে যাওয়া ৩১ সি জাতীয় সড়কে গতিরোধক বসানোর সিদ্ধান্ত নিল পূর্ত দফতর। মেটেলি থানার চালসা মোড় থেকে ৩১সি জাতীয় সড়ক গরুমারা জাতীয় উদ্যানের ভিতর দিয়ে ময়নাগুড়িতে গিয়ে মিলেছে। প্রায় ৬ কিমি রাস্তা রয়েছে গরুমারা জাতীয় উদ্যানে। জাতীয় উদ্যানের ভিতরে ঘণ্টায় ৪০ কিলোমিটার গতিতে গাড়ি চলাচলের নিয়ম থাকলেও তা কার্যকর করা যাচ্ছে না। ফলে ফি বছর দ্রুত গতির যানের ধাক্কায় বাইসন, চিতাবাঘ মারা যাচ্ছে। বন্যপ্রাণের মৃত্যু ঠেকাতে এ বছর জানুয়ারি মাসে জলপাইগুড়ির জেলাশাসক এবং পূর্ত দফতরকে (জাতীয় সড়ক শাখা) ব্যবস্থা নেওয়ার আর্জি জানায় বন দফতর। তার পরেই পূর্ত দফতর থেকে বিশেষ গতিরোধক বসানোর পরিকল্পনা নেওয়া হয়। পূর্ত দফতরের জাতীয় সড়ক শাখার নির্বাহী বাস্তুকার নির্মল মন্ডল জানান, জাতীয় সড়কে সাধারণ সড়কের মতো গতিরোধক বসানো যায় না। গরুমারায় বন্যপ্রাণের মৃত্যু ঠেকাতে বিশেষ ব্যবস্থা হিসাবে এ পরিকল্পনা হয়েছে। তিনি বলেন, “গরুমারায় একাধিক বাঁক রয়েছে। এই সমস্ত বাঁকে গাড়ি ঘোরাবার সময় অনেক সময়ই বন্যপ্রাণ চলে আসলে দুর্ঘটনার সম্ভাবনা তৈরি হয়। বনকর্তারা বাঁকগুলি চিহ্নিত করে দিলে সেখানে গতিরোধক বসানো হবে।” জলপাইগুড়ি বনবিভাগের ডিএফও কল্যাণ দাস বলেন, “বন্যপ্রাণ বাঁচাতে আমাদের আর্জি মেনেই জাতীয় সড়ক কর্তৃপক্ষ ওই বিশেষ স্পিড ব্রেকার বসাতে উদ্যোগী হয়েছে।” ২৬শে ডিসেম্বর গরুমারার বাসের ধাক্কায় বাইসন মারা যাওয়ার পর মন্ত্রী হিতেন বর্মন বন কর্তাদের জাতীয় সড়কে গতিরোধক বসাতে নির্দেশ দেন। ৮ ফেব্রুয়ারি পূর্ত দফতর কোথায় গতিরোধক বসাতে হবে তার জন্য তালিকা চেয়ে বন দফতরে চিঠি পাঠায়।
|
প্রায় ৮ কুইন্টাল কাওলা গাছের ছাল আটক করল আরপিএফ। শুক্রবার সন্ধ্যায় নিউ জলপাইগুড়ি স্টেশনে হাওড়াগামী কামরূপ এক্সপ্রেস থেকে তা উদ্ধার করা হয়। বৈকুন্ঠপুরের ডিএফও ধর্মদেব রাই বলেন, “কাওলার ছাল কোথা থেকে সংগ্রহ করা হয়েছিল তা জানার চেষ্টা হচ্ছে। এই ঘটনায় জড়িতদের খোঁজে তদন্ত চলছে।” |