টুকরো খবর
ত্রিপুরায় ১৩০০ কোটি টাকা অনিয়মের অভিযোগ সিএজি-র
১৩০০ কোটি টাকার কোনও হিসেবই নেই। গত দশ বছর ধরে জমে ওঠা এই আর্থিক অনিয়মের অভিযোগ উঠেছে দেশের একমাত্র বামশাসিত রাজ্য, ত্রিপুরার বামফ্রন্ট সরকারের বিরুদ্ধে। অভিযোগকারী কোনও রাজনৈতিক দল নয়, খোদ কন্ট্রোলার অ্যান্ড অডিটর জেনারেল (সিএজি)। সিএজি-র ২০১০ সালের সর্বশেষ প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, গত দশ বছরে রাজ্য সরকার বিধানসভার অনুমোদন না নিয়ে ১৩১০ কোটি ৫৩ লক্ষ টাকা খরচ করেছে। ২০০০-২০০১ আর্থিক বছর থেকে ২০০৯-২০১০, এই দশ বছরে রাজ্য সরকার বিধানসভাকে এড়িয়ে এই অর্থ বাজেট বহির্ভূতভাবে খরচ করেছে। এই অতিরিক্ত অর্থ ব্যয় করা হয়েছে রাজ্য সকারের বিভিন্ন দফতরের মাধ্যমে। গত দশ বছর ধরে এই বিশাল পরিমাণ টাকা খরচ করার পর রাজ্য সরকার বিধানসভাকে সে সম্পর্কে অবহিতই করেনি, হিসেব দেওয়া তো দূরের কথা। স্বভাবতই প্রশ্ন উঠেছে, কী কারণে বিধানসভাকে অন্ধকারে রেখে রাজ্য সরকার এই বিপুল পরিমাণ অর্থ খরচ করল? কী ভাবেই বা টাকাটা খরচ হল, তার হিসেবই বা কোথায়? স্বাভাবিক ভাবেই বিরোধী দলনেতা রতনলাল নাথ সিএজি রিপোর্টকে সামনে রেখে মানিক সরকারের নেতৃত্বাধীন বামফ্রন্ট সরকারের বিরুদ্ধে দুর্নীতির অভিযোগ তুলেছেন। আর যিনি এর উত্তর জানেন, সেই অর্থমন্ত্রী বাদল চৌধুরী আপাতত প্রসঙ্গটি এড়িয়ে যেতে চেয়েছেন। তাঁর বক্তব্য, ‘‘রাজ্যে কিছু কিছু আর্থিক খরচের বিষয়ে সব সময়ে বিধানসভার অনুমতি নেওয়ার প্রয়োজন হয় না।” বিরোধী দলনেতার বক্তব্য: সংবিধানের ২০৫ নম্বর অনুচ্ছেদে বলা হয়েছে, দেশের কোনও অঙ্গ রাজ্য বা কেন্দ্রীয় সরকারের যে কোনও ধরনের আর্থিক খরচের ক্ষেত্রে বিধানসভা বা লোকসভা থেকে আগাম অনুমোদন নেওয়া বাধ্যতামূলক। জরুরি পরিস্থিতিতে এই ধরনের অনুমোদন না হয়ে থাকলে পরে বিশদ হিসেব-সহ বাড়তি খরচের অনুমোদন বিধানসভার কাছ থেকে নিতে হবে। রতনবাবুর বক্তব্য, দশ বছরে সরকার তা নিতে পারেনি।

আগরতলায় ধৃত কট্টর মণিপুরী জঙ্গি
আগরতলা বিমানবন্দর সংলগ্ন উষাবাজার এলাকা থেকে ধরা পড়ল মণিপুরের নিষিদ্ধ জঙ্গি সংগঠন, পিপলস লিবারেশন আর্মির (পিএলএ) সদস্য কুঞ্জজম শরৎ মানগাং। নির্দিষ্ট খবরের ভিত্তিতে বৃহষ্পতিবার গভীর রাতে এয়ারপোর্ট থানার পুলিশ উষাবাজারের একটি বাড়িতে হানা দিয়ে গ্রেফতার করে কট্টর ওই জঙ্গিকে। ধৃত জঙ্গি পিএলএ-র স্বঘোষিত সহ-অর্থসচিব। একটি বাড়ি ভাড়া নিয়ে গত এক বছর ধরে তিনি ঊষাবাজার অঞ্চলে বসবাস করছেন বলে পুলিশ জানিয়েছে। পুলিশ তাঁর কাছ থেকে কয়েকটি ডায়েরি, চারটে সিম কার্ড, দু’টি মোবাইল ফোন উদ্ধার করেছে। কুঞ্জজম জানিয়েছেন, পিএলএ ‘স্বাধীন মণিপুরের’ জন্য আন্দোলন চালিয়ে যাচ্ছে। ১৯৯১ সাল থেকে সে এই সংগঠনের হয়ে কাজ করছে। রাজ্য পুলিশের স্পেশাল ব্রাঞ্চের কর্মীরা এখন তাকে জিজ্ঞাসাবাদ করছে। ধৃতের দাবি, ভারতের উত্তর-পূর্বাঞ্চল সহ বাংলাদেশে ঘাঁটি গেড়ে থাকা বিভিন্ন জঙ্গি সংগঠনের সঙ্গেও তার যোগাযোগ রয়েছে।

অসমের দাবি নিয়ে তরুণ গগৈ রেলমন্ত্রীর কাছে
রেল বাজেটে অসমের বিভিন্ন প্রকল্পে অন্তর্ভূক্তির দাবি নিয়ে রেলমন্ত্রী দীনেশ ত্রিবেদীর কাছে দরবার করলেন মুখ্যমন্ত্রী তরুণ গগৈ। সম্প্রতি দিল্লির রেল ভবনে ত্রিবেদীর সঙ্গে তিনি দেখা করেন। অসমের সঙ্গে বাকি দেশের যোগাযোগ বৃদ্ধির জন্য ২০১২-১৩ সালের রেল বাজেটে বেশ কিছু নতুন ট্রেনের পাশাপাশি গগৈ কেন্দ্রীয় রেলমন্ত্রীর কাছে দাবি করেছেন, উত্তর-পূর্ব সীমান্ত রেলকে উত্তর-পূর্বের জন্যই বিশেষ ভাবে নির্দিষ্ট করে দেওয়া হোক। প্রতিদিন গুয়াহাটি-চেন্নাই ভায়া কলকাতা দুরন্ত এক্সপ্রেস, গুয়াহাটি-মুম্বই এক্সপ্রেস ও যোরহাট-শিবসাগর-মোরান-ডিব্রুগড় স্টেশন হয়ে বিশেষ সুপার ফাস্ট এক্সপ্রেস চালু করার আর্জি জানান গগৈ। তাঁর বাকি দাবিগুলির মধ্যে রয়েছে: নিউ বঙাইগাঁও থেকে গুয়াহাটি হয়ে কামাখ্যা-রঙিয়া রেলপথ, গুয়াহাটি-তিনসুকিয়া ভায়া লামডিং রেলপথে ডবল লাইন, কাটিহার থেকে গুয়াহাটি অবধি রেলপথের বৈদ্যুতিকরণ, সালোনা-খুমটাই, যোরহাট-শিবসাগর নতুন রেলপথ, অরুণাচলের তিরাপ থেকে অসমের লেখাপানি অবধি রেলপথ। ২০১০ সালের রেল বাজেটে আমিনগাঁওয়ে ওয়াগন কারখানা গড়ার কথা ঘোষণা করা হলেও কোনও কাজই শুরু হয়নি। গগৈ বলেন, “রেলমন্ত্রী প্রস্তাবগুলি বিবেচনা করার আশ্বাস দিয়েছেন। প্রস্তাবগুলি জানিয়ে প্রধানমন্ত্রীকেও একটি চিঠি পাঠানো হয়েছে।”

১০ মাসে বাজেটের ৩০ শতাংশ খরচ হয়নি
চলতি আর্থিক বছরের প্রথম ১০ মাসে বাজেট বরাদ্দের ৩০% টাকাও খরচ করতে পারেনি ঝাড়খণ্ড সরকার। দু’দিন ধরে ঝাড়খণ্ড সচিবালয়ে রাজ্যের বিভিন্ন দফতরের কাজের মূল্যায়নে বসেছিল বিশেষ বৈঠক। সেই বৈঠকেই সামনে এসেছে এই তথ্য। অর্থ দফতরের হিসেব অনুযায়ী চলতি আর্থিক বছরের বাজেটে ১৫ হাজার ৩২২ কোটি টাকা রাখা হয়েছিল। কাজ হয়েছে ৩ হাজার ৯২৬ কোটি টাকার। সরকারের কিছু দফতরের কাজে ‘গয়ংগচ্ছভাব’ লক্ষ্য করা গিয়েছে বলে বৈঠকে ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন মুখ্যমন্ত্রী অর্জুন মুন্ডা। বিশেষ ভাবে সড়ক, নগর এবং গ্রামোন্নয়ন, পঞ্চায়েতরাজ এবং বিদ্যুৎ দফতরের কাজ নিয়ে ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন অনেকেই। রাজ্যের ২৫টি দফতরের কাজ নিয়ে পর্যালোচনা হয়েছে। করুণ অবস্থা কেন্দ্র-রাজ্যের উন্নয়ন প্রকল্পগুলির। প্রকল্প রূপায়ণের বেশির ভাগ অর্থ কেন্দ্র দেয়। শর্ত অনুযায়ী প্রকল্পের মোট খরচের একটা অংশ রাজ্যকেও দিতে হয়। রাজ্যের দেয় টাকা না-মেটানোয় অনেক ক্ষেত্রে কেন্দ্র পরবর্তী কিস্তির টাকাও আটকে দিয়েছে। ঝুলে আছে প্রকল্পের কাজ। এই পরিস্থিতিতে আগামী মাস দেড়েক প্রতিটি দফতরে কাজের গতি বাড়ানোর নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। প্রয়োজনে বাজেট বরাদ্দের পরিমাণে কিছু কাটছাঁট হতে পারে বলেও ইঙ্গিত মিলেছে।

মহারাষ্ট্রের ফলে শক্তিশালী গডকড়ী, ধারণা বিজেপির
দু’বছর পর নাগপুর আসন থেকে লোকসভা ভোটে প্রার্থী হতে চান তিনি। তার আগে নাগপুরে ও মুম্বইতে তাঁর নিজের ‘গড়ে’ দলের সাফল্য নিতিন গডকড়ীর পায়ের তলার জমি আরও শক্ত করল বলেই মনে করছেন বিজেপি নেতৃত্বের একাংশ। মহারাষ্ট্রের ভোট ফলাফলে বিজেপি স্বাভাবিক ভাবেই আজ খুশি। দলের এক শীর্ষ স্তরের নেতার কথায়, এই ফলাফল দলীয় সভাপতি নিতিন গডকড়ীর রাজনৈতিক ভবিষ্যতের জন্যও গুরুত্বপূর্ণ। উত্তরপ্রদেশে বিজেপি-র প্রার্থী মনোনয়ন নিয়ে প্রচার কৌশল নির্ধারণ পর্যন্ত বিভিন্ন বিষয়ে দলের অনেকেই তাঁর ওপর খুশি নন। গুজরাতের মুখ্যমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীও এখনও উত্তরপ্রদেশ প্রচারে যাননি। ফলে উত্তরপ্রদেশে ভোট নিয়ে দলের মধ্যেই তাঁর ইজ্জতের লড়াই লড়ছেন গডকড়ী। সেই অবস্থায় মুম্বই ও নাগপুরের ফলাফল তাঁর মনোবল বাড়াবে বলেই মনে করা হচ্ছে। বিশেষ করে তাঁর কর্মভূমি যখন নাগপুর। নাগপুরে বিজেপি-র বর্তমান মেয়র ও শিবসেনার ডেপুটি মেয়র কংগ্রেসের কাছে পরাস্ত হয়েছেন। কিন্তু পুরবোর্ড ভালোমতোই দখল রেখেছে সেনা-বিজেপি জোট। তবে গডকড়ী আজই এ ব্যাপারে খুব উচ্ছ্বাস প্রকাশ করেননি। তাঁর কথায়, “মহারাষ্ট্রে সেনা-বিজেপি-র ভালো ফল খুশির খবর। তাতে এও প্রমাণিত যে মানুষ কংগ্রেসের প্রতি আস্থা হারাচ্ছে।”

মাওবাদী বন্ধে ঝাড়খণ্ডে আজ মিশ্র প্রতিক্রিয়া
ঝাড়খণ্ডে আজ মাওবাদীদের ডাকা বন্ধে মিশ্র প্রতিক্রিয়ার খবর মিলেছে। রাজ্যের প্রত্যন্ত গ্রামীণ এলাকায় বন্ধ হয়েছে সর্বাত্মক। গ্রামীণ এলাকায় অধিকাংশ দোকানপাট খোলেনি। সেখানকার পথঘাটও ছিল জনশূন্য। তবে শহরাঞ্চলে ছবিটা ছিল ভিন্ন। পুলিশের দাবি, রাজধানী রাঁচি-সহ জেলা সদর এবং মহকুমা শহরের জনজীবন স্বাভাবিক ছিল। শহরে দোকান বাজার, বাণিজ্যিক প্রতিষ্ঠান এবং শিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলি খোলা ছিল। সড়ক পরিবহণও ছিল স্বাভাবিক। পুলিশের মুখপাত্র, আইজি রাজকুমার মল্লিক জানিয়েছেন, বন্ধকে ঘিরে সন্ধ্যা পর্যন্ত কোনও রকম অপ্রীতিকর ঘটনার খবর মেলেনি। প্রশাসনিক সূত্রের খবর, বন্ধে শান্তিশৃঙ্খলা রক্ষায় রাজের সর্বত্র অতিরিক্ত সতর্কতামূলক ব্যবস্থা নেওয়া হয়। বিশেষ নজরদারি জারি আছে মাওবাদীদের শক্তঘাঁটি লাতেহার, গঢ়বা, পলামু, গুমলা, খুঁটি, চাইবাসা, পূর্ব এবং পশ্চিম সিংভূম জেলার বিভিন্ন অংশে।

অলিম্পিকের সুরক্ষায় পরামর্শ ভারতের
লন্ডন অলিম্পিকের নিরাপত্তা নিশ্ছিদ্র করতে ভারতের কমনওয়েলথ গেমস আয়োজনের অভিজ্ঞতাকে কাজে লাগাতে চায় ব্রিটেন। ইতিমধ্যেই ডিআরডিও-র বিজ্ঞানীদের সঙ্গে কয়েক দফা বৈঠক করেছেন ব্রিটেনের ‘অফিস অফ সিকিওরিটি অ্যান্ড কাউন্টার টেররিজম’-এর ডেপুটি ডিরেক্টর সিমাস টাকার। ডিআরডিও-র শীর্ষ কর্তা ডব্লিউ সেলভামূর্তি বলেন, “ব্রিটেনের চ্যালেঞ্জটা অনেক বড়। সেখানে ৩০০ থেকে ৫০০ কিলোমিটার জুড়ে বিভিন্ন স্টেডিয়াম। দিল্লিতে গোটা ব্যাপারটাই ঘটছিল ১৫ কিলোমিটারের মধ্যে।” তা সত্ত্বেও ডিআরডিও-র নানা পরিকল্পনাকে ব্রিটিশ কর্তৃপক্ষ স্বাগত জানিয়েছেন বলে তিনি জানান। গুরুত্বপূর্ণ পরামর্শ দেওয়ার জন্য ভারতীয় সংস্থাটিকে কৃতজ্ঞতাও জানিয়েছে ব্রিটেন।

লরির ধাক্কায় ছাত্রীর মৃত্যু
সড়ক দুর্ঘটনায় মারা গেল এক স্কুল ছাত্রী। পশ্চিম ত্রিপুরার সোনামুড়া থেকে বেজিমারার দিকে আসছিল মালবোঝাই একটি লরি। গত কাল সকালে অষ্টম শ্রেণির ছাত্রী সালমা আখতার (১৪) প্রাইভেট টিউশন পড়ে বাড়ি ফিরছিল। সেই সময়, বেজিমারা হাইস্কুল সংলগ্ন এলাকায় লরিটি পিছন দিক থেকে এসে তাকে ধাক্কা মারে। রাস্তার উপর ছিটকে পড়ে তার মাথায় গুরুতর আঘাত লাগে। ঘটনাস্থলেই সালমার মৃত্যু হয়। পুলিশ লরিটিকে আটক করেছে। চালক সাদ্দাম হোসেনকেও গ্রেফতার করেছে পুলিশ।

তুষারধসে মৃত ৩
তুষারধসে মৃত্যু হল আট মাসের একটি শিশু-সহ একই পরিবারের তিন জনের। ধসের সময়ে শিশুটির বাবা মাটির বাড়ি ছেড়ে ছুটে পালান। কিন্তু তার মা ও দাদা পালাতে পারেননি। এঁরা কিস্তওয়ার জেলার বাসিন্দা। পুলিশ সূত্রে খবর, জম্মু-কাশ্মীরে বিভিন্ন জেলায় দফায় দফায় বৃষ্টিপাত ও তুষারধস হচ্ছে।


First Page| Calcutta| State| Uttarbanga| Dakshinbanga| Bardhaman| Purulia | Murshidabad| Medinipur
National | Foreign| Business | Sports | Health| Environment | Editorial| Today
Crossword| Comics | Feedback | Archives | About Us | Advertisement Rates | Font Problem

অনুমতি ছাড়া এই ওয়েবসাইটের কোনও অংশ লেখা বা ছবি নকল করা বা অন্য কোথাও প্রকাশ করা বেআইনি
No part or content of this website may be copied or reproduced without permission.