রাজ্যে লগ্নি সহায়ক পরিবেশ তৈরির দায় সরকারের। লগ্নিকারীদের সঙ্গে আলোচনা করে তাদের সমস্যা দূর করার জন্য প্রয়োজনীয় নীতিও তৈরি করতে হবে রাজ্যকেই। শুক্রবার বেঙ্গল চেম্বার আয়োজিত সভার ফাঁকে এ কথা বলেন কলকাতায় মার্কিন কনসাল জেনারেল ডিন আর থমসন।
একই সঙ্গে সম্প্রতি পশ্চিমবঙ্গে আয়োজিত শিল্প সম্মেলন ‘বেঙ্গল লিডস’ -এরও প্রশংসা করেন থমসন। তাঁর মতে, লগ্নিকারীদের সঙ্গে আলাপ-চারিতার যথেষ্ট সুযোগ হয় সেখানে। দু’পক্ষের আলোচনার মঞ্চটা সেখানেই তৈরি হয়েছিল এবং আগামী দিনে তা আরও প্রসারিত হবে বলেই তাঁর আশা।
বন্দর ও সেই সংক্রান্ত প্রযুক্তি ও পরিকাঠামো ক্ষেত্রে রাজ্যে ব্যবসার লক্ষ্য নিয়ে শহরে এসেছে একটি মার্কিন বাণিজ্য প্রতিনিধিদল। এ দিন বেঙ্গল চেম্বারের সভায় দলটি শিল্পমহলের মুখোমুখি হয়। সেখানে কলকাতা বন্দরের চেয়ারম্যান এম এল মীনাও ছিলেন।
সিঙ্গুর কাণ্ডের প্রায় সাড়ে তিন বছর পর এই প্রথম রাজ্যে এল মার্কিন বাণিজ্য দল। সে সময়ে লগ্নির ক্ষেত্রে ‘রাজনৈতিক হস্তক্ষেপ’-এর আশঙ্কায় মার্কিন শিল্প-মহলের কাছে ব্রাত্য হয়ে পড়ে রাজ্য। কলকাতায় তৎকালীন মার্কিন কনসাল জেনারেল বেথ পেনও একই ইঙ্গিত দেন। এ দিন অবশ্য রাজ্যের পরিস্থিতি নিয়ে মন্তব্য করেননি থমসন। তাঁর মতে, যাঁরা এখানে ব্যবসা করতে চান তাঁরা নিজেরাই এসে সব কিছু দেখবেন। পূর্ব ও উত্তর-পূর্বাঞ্চলের বিপুল সম্ভাবনা রয়েছে।
তবে শিল্পমহল যাতে সহজে এখানে আসতে পারে সেই ভিত গড়ার দায় রাজ্যের। এ কথা জানিয়ে তিনি বলেন, “নীতি ও সুযোগ-সুবিধা রাজ্যকেই স্থির করতে হবে। প্রতিযোগিতার বাজারে নিজের রাজ্যে লগ্নি টানতে হলে আলাদা জায়গা করে নিতে হবে।”
ড্রেজিং ও অন্যান্য পরিকাঠামো ক্ষেত্রে ভবিষ্যতে ব্যবসার বিপুল সম্ভাবনা বাণিজ্যদলটির সামনে তুলে ধরেন মীনা। তিনি আরও জানান, সাগরের প্রস্তাবিত গভীর সমুদ্র বন্দরের সম্ভাব্যতা-সমীক্ষা রিপোর্ট এ মাসেই দেবে রাইটস।
|
নগদের অভাবে ধুঁকতে থাকা এয়ার ইন্ডিয়াকে বাঁচাতে সংস্থার জন্য ১৮ হাজার কোটি টাকার ঋণ পুনর্গঠন পরিকল্পনায় সায় দিল বিভিন্ন ঋণদাতা ব্যাঙ্ক। এর মধ্যে সরকারি গ্যারান্টি-যুক্ত ৭৪০০ কোটির ঋণপত্র এখনই ইস্যু করা হবে বলে ব্যাঙ্কশিল্প সূত্রে খবর। এ ছাড়া নগদে ঋণ দেওয়া হবে আরও ২২০০ কোটি। |