|
|
|
|
প্রকল্পের সূচনা ঘিরে ব্যস্ততা চরমে |
নিজস্ব সংবাদদাতা • এগরা |
আজ, শুক্রবার পূর্ব মেদিনীপুরের ভগবানপুর-১ ব্লকের মহম্মদপুর-১ পঞ্চায়েতের জয়চন্দ্রবাড় মৌজায় (কাঁটাখালি এলাকা) কেলেঘাই-কপালেশ্বরী-বাগুই নদী সংস্কার প্রকল্পের (বেসিন ড্রেনেজ স্কিম) আনুষ্ঠানিক সূচনা করতে চলেছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ও কেন্দ্রীয় অর্থমন্ত্রী প্রণব মুখোপাধ্যায়।
দুই মেদিনীপুরের বেশ কিছু ব্লকের মানুষের কাছে দীর্ঘ-প্রতীক্ষিত এই প্রকল্পের সূচনা ঘিরে ব্যাপক আগ্রহ তৈরি হয়েছে। সে কারণে উদ্বোধন অনুষ্ঠানে জনজোয়ার ঘটতে চলেছে বলেও মনে করছে প্রশাসন। সেই সঙ্গে উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে জনসমাবেশ ঘটাতে তৎপর জোট-শরিক তৃণমূল ও কংগ্রেসের নেতারাও। দীর্ঘ দিন ধরেই এই প্রকল্পের জন্য সওয়াল করে এসেছেন কংগ্রেস নেতা তথা অধুনা সেচমন্ত্রী মানস ভুঁইয়া। তাঁর দফতরই শুক্রবারের অনুষ্ঠানের আয়োজক। উদ্বোধনস্থলটিও মানসবাবুর নির্বাচনী কেন্দ্র সবং লাগোয়া। মানসবাবু তথা কংগ্রেস নেতারা স্বভাবতই জনসমাবেশ ঘটাতে তৎপর। পাশাপাশি ‘কৃতিত্বের দাবিদার’ পূর্ব মেদিনীপুরের তৃণমূল-শিবিরও এ ব্যাপারে সমান ‘সক্রিয়’। এই অবস্থায় ভিড় সামলানোর জন্য নানাবিধ পরিকল্পনা নিয়েছে প্রশাসন।
শীত-শেষে কেলেঘাই নদীতে এখন যৎসামান্যই জল। ভগবানপুরের জয়চন্দ্রবাড় থেকে নদীর ওপারে সবংয়ের কাঁটাখালি পর্যন্ত যে বাঁশের সেতুটি এত দিন পারাপারে ব্যবহৃত হয়ে এসেছে, সেটি যথেষ্টই নড়বড়ে। ভিড়ের চাপ সামলানোর ক্ষেত্রে সেতুটির উপযুক্ততা নিয়ে সংশয় খোদ প্রশাসনেরই। তাই সেতুটির পাশাপাশি সমান্তরাল ভাবে একটি বাঁধ তৈরি করেছে সেচ দফতর। |
|
কেলেঘাইয়ের বুকে তৈরি করা হয়েছে সেতু। প্রকল্প সূচনার অনুষ্ঠানে
দুই মেদিনীপুরের মানুষের যাতায়াত অবাধ করতে। ছবি: কৌশিক মিশ্র। |
উদ্বোধন-অনুষ্ঠানের জায়গা পর্যন্ত পূর্ব ও পশ্চিম মেদিনীপুরের বিভিন্ন ব্লকের (নারায়ণগড়, সবং, পটাশপুর, ভগবানপুর, ভূপতিনগর, ময়না, চণ্ডীপুর) বাসিন্দাদের আসা-যাওয়ার সুবিধার জন্যই তড়িঘড়ি এই বাঁধ-নির্মাণ। সেই সঙ্গেই রাজনৈতিক নেতৃত্বকেও প্রশাসনিক সূত্রে অনুরোধ করা হয়েছে, জনতার একাংশকে যাতে নদীর পাড়েই রাখা হয়। সবাইকেই অনুষ্ঠানস্থলে যেন না আনা হয়। আনলে ভিড় সামলাতে সমস্যা হতে পারে। একেই প্রণববাবু-মমতাদেবীরা কপ্টারে নামবেন। সেই কপ্টার দেখতেও যে লোক ভিড় করবেনতা-ও এক রকম পরিষ্কার প্রশাসনের কাছে। জয়চন্দ্রবাড় থেকে মুখ্যমন্ত্রী আবার সড়কপথে ২৫ কিলোমিটার দূরের বাজকুলে যাবেন একাধিক ট্রেনের আনুষ্ঠানিক যাত্রা-শুরুর সংকেত দিতে। ফলে সে রাস্তার লোকজনকেও সামলাতে হবে প্রশাসনকেই। এ দিকে, বুধবার বৃষ্টি হওয়ায় কাঁটাখালি-জয়চন্দ্রবাড় সংলগ্ন এলাকার হেলিপ্যাডের মাটি কিছুটা নরম হয়েছে। বৃহস্পতিবার পূর্ত-দফতরের কর্তারা জায়গাটি পরিদর্শন করেন। হেলিকপ্টারের ট্রায়াল-ল্যান্ডিংও হয় সফল ভাবেই। যদিও, শুক্রবার ফের বৃষ্টির পূর্বাভাস চিন্তায় রেখেছে প্রশাসনিক কর্তাদের। তবে, প্রায় সাড়ে ছ’শো কোটি টাকার এই নদী সংস্কার-প্রকল্প ঘিরে আশায় বুক বেঁধেছেন দুই মেদিনীপুরের কয়েক লক্ষ বাসিন্দা। ফি-বছর বানভাসি হওয়া থেকে পরিত্রাণের সুযোগ হিসাবেই প্রকল্পটিকে দেখছেন তাঁরা। |
|
|
|
|
|