|
|
|
|
ক্রীড়ামন্ত্রী অনড়, পিএলএস করতে অন্য রাজ্যের প্রস্তাব |
নিজস্ব সংবাদদাতা • কলকাতা |
প্রিমিয়ার লিগ সকার নিয়ে রাজ্য সরকারের সঙ্গে কোনও সংঘাতে যেতে চায় না আই এফ এ। আলোচনার ভিত্তিতে জট খোলার পক্ষেই মত উঠে এল সংস্থার গভর্নিং বডির সভায়। তবু দেশের সবথেকে দামি টুর্নামেন্ট করতে গিয়ে পদে পদে বাধা পাওয়ায় বিরক্ত আই এফ এ সচিব উৎপল গঙ্গোপাধ্যায়। যিনি ব্রাজিলের টিম শিল্ডে আনার কথা বলছেন। বললেন, “ফ্র্যাঞ্চাইজি এবং বিপণন সহযোগী সি এম জি-র সঙ্গে আলোচনার পর আমি ক্রীড়ামন্ত্রীর সঙ্গে কথা বলব। তার পরই বলতে পারব ঠিক কবে টুর্নামেন্ট।”
রাজ্যের ক্রীড়ামন্ত্রী মদন মিত্র মহমেডান মাঠ থেকে ফুটবল খেলে ফেরার পথে এ দিন ফের টুর্নামেন্ট নিয়ে নানা প্রশ্ন তুললেন। বলে দিলেন, “১৫০ কোটি টাকার টুর্নামেন্ট থেকে কি ৫০ জন গরিব প্রাক্তন ফুটবলারকে কোনও সাহায্য করা হবে? জেলার ফুটবলের কি কোনও উন্নতি হবে? আমি তো কিছুই জানি না। কেউ আমাকে তো জানায়ওনি। এ সব তো জানতে হবে। তার পর দেখতে হবে মাঠ আছে কি না।”
ক্রীড়ামন্ত্রী প্রশ্ন তুলে যাওয়ার আধ ঘণ্টা পরে আই এফ এ-র গভনিং বডির সভায় এর উত্তর দিয়ে দিলেন অবশ্য ফেডারেশন ভাইস প্রেসিডেন্ট সুব্রত দত্ত এবং আই এফ এ সচিব। সুব্রতবাবু বললেন, “যে মাঠে খেলা হবে তাকে অত্যাধুনিক করে তুলবেন ফ্র্যাঞ্চাইজিরা। এর ফলে জেলার স্টেডিয়ামের পরিকাঠামোর উন্নতি হবে। চার জন বিদেশি বাদে বেশির ভাগ ফুটবলারই বাংলার। সব ভেদাভেদ ভুলে সে জন্যই এই টুর্নামেন্ট করা দরকার।” তারই পাশে বসে উৎপলবাবু যোগ করলেন, “চুক্তিতে আছে, যে-জেলার মাঠে খেলা হবে সেখানে অনূর্ধ্ব ১৭ এবং অনূর্ধ্ব ১৯ দুটো কোচিং ক্যাম্প অথবা অ্যাকাডেমি করতে হবে ফ্রাঞ্চাইজিদের।” পি এল এসের লক্ষ্য শুনে সভায় উপস্থিত মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের ভাই স্বপন বন্দ্যোপাধ্যায় থেকে শুরু করে প্রবীণ সদস্য তুষার মুখোপাধ্যায় সকলেই সভায় একযোগে জানিয়ে দেন, “সবাই মিলে এই টুর্নামেন্ট সফল করা দরকার। রাজ্য সরকারের সঙ্গে কথা বলে এগোক আই এফ এ।”
গভর্নিং বডির পূর্ণ সমর্থন পাওয়া সত্ত্বেও আই এফ এ সচিব নিজে কিন্তু মনে হল বেশ ধোঁয়াশায়। পরিস্থিতি যে ভাবে প্রতিদিন জটিল হচ্ছে তাতে কোনও কিছুই যেন বিশ্বাস হচ্ছে না তাঁর। বললেন, “আমি ফ্র্যাঞ্চাইজি কর্তা হলে টিম তুলে নিতাম। টাকা ঢালব। ঝামেলাও পোহাতে হবে, হয় নাকি?”
লিওনেল মেসি-দিয়েগো মারাদোনাকে কলকাতায় এনে চমকে দেওয়া সি এম জি কর্তারা পুরো ব্যাপারটির উপর নজর রাখছেন। এ ভাবে জট তৈরি হলে টুর্নামেন্ট অন্য রাজ্যে নিয়ে যাওয়ার কথাও ঘুরছে তাঁদের মাথায়। জানা গিয়েছে, মহারাষ্ট্র এবং কেরল থেকে ইতিমধ্যেই পি এল এস করার প্রস্তাব এসেছে তাঁদের কাছে।
|
|
|
|
|
|