প্রকৃতি বীক্ষন শিবির শুরু করল ন্যাফ |
গরুমারা জাতীয় উদ্যান লাগোয়া নেওড়া জঙ্গল ক্যাম্পে দৃষ্টিহীন প্রতিবন্ধীদের নিয়ে প্রকৃতি বীক্ষন শিবির শুরু করল পরিবেশপ্রেমী সংগঠন ন্যাফ। বৃহস্পতিবার ক্যাম্প শুরু হয়। ন্যাফের মুখপাত্র অনিমেষ বসু জানান, প্রত্যন্ত গ্রাম, চা বাগান থেকে ৪১ জন দৃষ্টিহীন শিশু কিশোরদের নিয়ে ওই শিবির করা হয়েছে। কলকাতার একটি স্বেচ্ছাসেবী সংস্থার থেকে ৪ জন দৃষ্টিহীন প্রশিক্ষক ওই শিবিরে যোগ দিয়েছেন। স্পর্শ, শোনা, মিউজিক থেরাপি এসবের মাধ্যমে প্রকৃতিকে দৃষ্টিহীনদের সামনে ধরা হবে বলে তিনি জানান। জলপাইগুড়ি বন বিভাগের বনপাল মনীন্দ্র বিশ্বাস এবং ডি.এফ.ও কল্যান দাস এদিন এই শিবির দেখতে যান। শিবির চলবে ১৯ ফেব্রয়ারি পর্যন্ত। এদিকে, এই শিবির যেখানে বসেছে সেখানে বিরল প্রজাতির হিমালয়ান গ্রিফন শকুনের দেখা পাওয়া যায়। অনিমেষবাবু জানান, এদিন তাঁরা মোট ২২টি এই প্রজাতির শকুন দেখতে পেয়েছেন। এই শকুন শীতকালে সমতলে নেমে আসে গরম পড়তেই ফের তারা হিমালয়ে চলে যায়।
|
রাজ্যের তিনটি অভয়ারণ্যে আগামী মাস থেকে গন্ডার-শুমারি শুরু হতে চলেছে। কাজিরাঙা, ওরাং জাতীয় উদ্যান ও পবিতরা অভয়ারণ্যে ২০০৯ সালের হিসাব অনুযায়ী গন্ডারের সংখ্যা যথাক্রমে ২০৪৮, ৮৪ ও ৬৪টি। বনকর্তাদের আশা, তিন বছরে বেশ কিছু গন্ডার স্বাভাবিক ভাবে বা শিকারিদের হাতে মারা গেলেও, গন্ডারের সংখ্যা অনেকটাই বেড়েছে। ‘রাইনো ভিশন-২০২০’ প্রকল্পের অধীনে আগামী ৮ বছরের মধ্যে রাজ্যে গন্ডারের সংখ্যা ৩০০০ হওয়ার কথা। কাজিরাঙা, পবিতরা এবং ওরাং ছাড়া মানসেও গন্ডারের নতুন আবাস গড়ার কাজ চলছে। ইতিমধ্যে পবিতরা থেকে ১০টি ও কাজিরাঙা থেকে ৩টি গন্ডার মানসে ছাড়া হয়েছে। বনবিভাগ ও ডব্লিউটিআই কাজিরাঙা থেকে মানসে আরও ১০টি গন্ডারকে নিয়ে যাওয়ার পরিকল্পনা করেছে।
|
এলাকায় একটি উটের মৃতদেহ পড়ে থাকতে দেখে জলপাইগুড়ি শহর লাগোয়া ঝা বাড়ি মোড়ে চাঞ্চল্য ছড়ায়। বৃহস্পতিবার বাসিন্দারা দেখেন রাস্তায় উটের মৃতদেহ পড়ে রয়েছে। দীর্ঘক্ষণ পড়ে থাকলেও কেউ উটটিকে সরানোর ব্যবস্থা-না করায় বাসিন্দারা সরব হন। |