বিপণন নিয়ে আন্তর্জাতিক সম্মেলনের মঞ্চকে কাজে লাগিয়ে ভারতের সঙ্গে বাণিজ্য বাড়াতে চায় বাংলাদেশ। আগামী ১ মার্চ থেকে ঢাকায় ‘ওয়ার্ল্ড মার্কেটিং সামিট’ শুরু হচ্ছে। বিপণন বিশেষজ্ঞ ফিলিপ কোটলার ও বাংলাদেশ সরকারের উদ্যোগে ওই সম্মেলনে ভারত-সহ সারা বিশ্বের শিল্পপতি ও বিপণন বিশেষজ্ঞরা হাজির হবেন। আজ বৃহস্পতিবার দিল্লিতে নিযুক্ত বাংলাদেশের হাই কমিশনার তারিক করিম বলেন, ‘‘বাংলাদেশে ভারতই সব থেকে বেশি পণ্য রফতানি করে। কিন্তু দু’দেশের মধ্যে বাণিজ্যিক লেনদেনে ভারসাম্য নেই। তা ভারতের দিকে ঝুঁকে রয়েছে। এই মঞ্চে সেই ভারসাম্য ফিরিয়ে আনারও চেষ্টা হবে।” বাংলাদেশ চায়, ভারতকে আরও বেশি করে বাংলাদেশি পণ্য আমদানি করতে দেওয়া হোক। হাই কমিশনারের যুক্তি, হাজার হাজার বছর ধরে যে পথে বাণিজ্য হয়েছে, তা ৬৫ বছর আগে বন্ধ হয়ে গিয়েছে। দেশভাগের দিকে ইঙ্গিত করে তিনি বলেন, এই সম্মেলনে ফের সেই পথে বাণিজ্যিক লেনদেন শুরু করার দিশাও খোঁজা হবে।
|
ভারত এবং সংযুক্ত আরব আমিরশাহি ও আফ্রিকার বিভিন্ন দেশের মধ্যে বাণিজ্য বাড়াতে উদ্যোগী সিআইআই। এই লক্ষ্যে সম্প্রতি কলকাতায় আলোচনাসভার আয়োজন করে তারা। সেখানে শারজার হামরিয়া ‘ফ্রি জোন’ (অবাধ বাণিজ্য অঞ্চল)-এ শিল্পের সুবিধা-অসুবিধা নিয়ে কথা হয়। এখানে ব্যবসার জন্যও কর দিতে হবে না সংস্থাকে। রয়েছে দীর্ঘ মেয়াদে জমি, অফিস বা গুদাম লিজ নেওয়ার সুযোগ। হামরিয়া বন্দর, ‘শারজা লিঙ্ক’ বাণিজ্য পথ, বিমানবন্দর বা আরব উপসাগর ও ভারত মহাসাগরের বন্দরগুলির মাধ্যমে পণ্য ওঠানামা করতে পারবে বাণিজ্য অঞ্চল থেকেই। সিআইআই রফতানি কমিটির চেয়ারম্যান সঞ্জয় বুধিয়া জানান, এখানে ভারতীয় পণ্য ও কর্মীর চাহিদা আছে। |