হাতিঘিষা গ্রাম পঞ্চায়েত এলাকার সার্বিক উন্নয়নের দাবিতে আন্দোলনে নামল সিপিএম। বুধবার দলের হাতিঘিষা লোকাল কমিটির পক্ষ থেকে শিলিগুড়ি মহকুমা পরিষদে স্মারকলিপি দিয়ে এলাকার উন্নয়নে হস্তক্ষেপ দাবি করা হয়। তাঁদের অভিযোগ, কংগ্রেস এবং আদিবাসী বিকাশ পরিষদ পরিচালিত ওই গ্রাম পঞ্চায়েত এলাকায় উন্নয়ন স্তব্ধ হয়ে গিয়েছে। একশো দিনের কাজে দুঃস্থরা কাজ পাচ্ছেন না। অথচ শাসক দলের সমর্থকরা কাজ না-করেই মজুরি পেয়ে যাচ্ছেন। লোহাসিংহ গ্রামে পানীয় জল সরবরাহ বন্ধ হয়ে গেলেও ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে না। চেঙা নদীর ভাঙন রোধে কংগ্রেস ও তৃণমূল পরিচালিত পঞ্চায়েত সমিতি উদ্যোগী নয়। মেরিভিউ ফুটবল ময়দান থেকে লোহাসিংহ গ্রাম পর্যন্ত রাস্তা তৈরির কাজও পঞ্চায়েত নির্বাচনের পরে থমকে গিয়েছে। লোহাসিংহ থেকে বেলগাছি চা বাগান মেন রোডে যাওয়ার ফুট ব্রিজ তৈরির কাজে হাত দেওয়া হয়নি। মিনগাড়া থেকে চৌপুখুরিয়া যাওয়ার ফুটব্রিজের কাজও শুরু করা হয়নি বলে অভিযোগ সিপিএমের। এদিন মহকুমা পরিষদ কর্তৃপক্ষের কাছে সিপিএমের পক্ষ থেকে মোট ২৭ দফা দাবি পেশ করা হয়। তার মধ্যে চা বাগানের অবসরপ্রাপ্ত কর্মীদের ৮ ডেসিমেল করে জমি বিলি, প্রতিটি চা বাগানে সজলধারা এবং বিপিএল পরিবারগুলিকে লোকদীপের ব্যবস্থা করার দাবি জানানো হয়। দলের লোকাল সম্পাদক মাধব সরকার বলেন, “কংগ্রেস এবং আদিবাসী বিকাশ পরিষদ গ্রাম পঞ্চায়েতের ক্ষমতায় আসার পরে নতুন কাজ তো দূরের কথা, আগের সরকারের আমলে হাতে নেওয়া কাজও শেষ করছে না। নকশালবাড়ি পঞ্চায়েত সমিতিও উন্নয়নের কাজে উদাসীন। এমন চলতে থাকলে রাস্তা নেমে আন্দোলনে নামতে হবে।” নকশালবাড়ি পঞ্চায়েত সমিতির কর্মাধ্যক্ষ সুনীল ঘোষ বলেন, “রাজনীতি করার জন্য সিপিএম এমন ভুয়ো অভিযোগ করছে। গত পাঁচ বছরে বহু কাজ হয়েছে।” |