এ বার এক দৃষ্টি প্রতিবন্ধী ছাত্রকে মারধর করার অভিযোগ উঠল মানভূম দৃষ্টি প্রতিবন্ধী শিক্ষায়তনে। ওই ঘটনার প্রতিবাদে প্রহৃত পড়ুয়ার সহপাঠীরা বুধবার ফের অনশন শুরু করেছে। এর আগে পাঠ্যক্রম শুরু করতে দেরি, ‘ব্রেল’ পদ্ধতিতে পড়ার সরঞ্জাম না পাওয়া-সহ একাধিক অভিযোগে গত শনিবার থেকে স্কুলে তালা দিয়েছিল ছাত্রছাত্রীরা। এ বার ওই সব অভিযোগের পাশাপাশি এক ছাত্রকে মারধর করার অভিযোগ তুলে এ দিন থেকে অনশন শুরু করেছে পড়ুয়ারা। তবে প্রশাসনের বক্তব্য, স্কুলে তালা দিতে যেমন ছাত্রদের প্ররোচিত করা হয়েছিল, অনশনের ক্ষেত্রেও একই ঘটনা ঘটেছে। |
পুরুলিয়া ১ ব্লকের বোঙ্গাবাড়িতে দৃষ্টি প্রতিবন্ধীদের ওই স্কুলে সমস্যা দীর্ঘদিনের। এর আগেও বহু বার তালা দেওয়ার ঘটনা ওই স্কুলে ঘটেছে। এই বার ছাত্র-ছাত্রীদের অভিযোগ, জানুয়ারি মাসে শিক্ষাবর্ষ শুরু হলেও ওই মাসে ক্লাস কার্যত হয়নি। ফেব্রুয়ারি থেকে ক্লাস শুরু হয়েছে। কিন্তু মেলেনি ব্রেইল পদ্ধতিতে পড়ার সরঞ্জাম। বস্তুত ওই পদ্ধতির পাঠ্য সরঞ্জাম না পাওয়ায় পড়াশোনা শুরু করাই সম্ভব নয়। স্কুলের ছাত্রছাত্রীদের অভিযোগ, স্কুলের টিচার ইনচার্জ রিনা নাথ প্রথম শ্রেণির ছাত্র যোগ্যমান কৈবর্ত্যকে শনিবার লোহার স্কেল দিয়ে কপালে ও মাথায় মেরেছেন। এর প্রতিবাদে এ দিন ৪২ জন ছাত্রের মধ্যে এক জন বাদ দিয়ে কেউই দুপুরের খাবার খায়নি।
অভিযোগ অবশ্য অস্বীকার করেছেন রিনাদেবী। তাঁর দাবি, “দৃষ্টিহীন ছাত্রদের মারার মতো অমানবিক কাজ করতে পারি না। চক্রান্ত করে ছাত্রদের প্ররোচিত করা হচ্ছে।” দৃষ্টি প্রতিবন্ধীদের ওই স্কুলের পরিচালন সমিতির সভাপতি তথা পুরুলিয়ার(সদর) মহকুমাশাসক সুদীপ্ত ভট্টাচার্য জানান, এ দিন তিনি স্কুলে গিয়ে ছাত্রছাত্রীদের সঙ্গে কথা বলেছেন। ওরা প্রথমে স্কুলের পরিকাঠামো গত সমস্যার অভিযোগ তুললেও এখন টিচার ইন চার্জের অপসারণ চাইছে।
মহকুমাশাসকও বলেন, “পুরো ঘটনার পেছনে স্কুলের সঙ্গে যুক্ত একটি গোষ্ঠীর প্ররোচনা রয়েছে। যারা নিজেদের স্বার্থ চরিতার্থ করার জন্য এই ঘটনা ঘটাচ্ছে।” আজ বৃহস্পতিবার স্কুলের পরিচালন সমিতির বৈঠকে সমস্ত সমস্যা নিয়ে আলোচনা হবে বলে তিনি জানান। |