সোমবার রাতে অসুস্থ হয়ে গোয়ালবাটি দক্ষিণপাড়ার বাসিন্দা শৈলেন্দ্রনাথবাবুর স্ত্রী আরতিরানির মুখ থেকে রক্ত বেরোয়। স্ত্রী-র চিকিৎসা করান শৈলেন্দ্রনাথ। পর দিন বাড়ির উঠোনে এক জোড়া শালিককে মরে পড়ে থাকতে দেখে গ্রামবাসীর একাংশ বলেছিলেন, ‘কেউ বাণ মেরেছে’।
এই ‘কুসংস্কার’ মানতে না পারায় মঙ্গলবারই হাবরা থানায় মৃত পাখি দু’টির ময়না-তদন্ত করাতে চেয়ে ডায়েরি করেন শৈলেন্দ্রনাথ। যান প্রাণিসম্পদ বিকাশ দফতরে। তাঁর দাবি, সেখান থেকে তাঁকে যেতে বলা হয়, বেলগাছিয়ায় ফরেন্সিক ল্যাবরেটরিতে। দু’-দু’বার সেখানে গিয়েছেন। বুধবার সেখান থেকেই জানিয়ে দেওয়া হয়, যা করার, থানার মাধ্যমেই করতে হবে। পেশায় নিরাপত্তা রক্ষী শৈলেন্দ্রনাথবাবু জানান, হাবরা থানায় গেলে পুলিশকর্মীরা তাঁকে বন দফতরের সঙ্গে যোগাযোগ করতে বলেন। এ দিন বিকেলে মরা শালিখ দু’টি প্লাস্টিকে জড়িয়ে থানা-লাগোয়া একটি দোকানের পাঁচিলে রেখে আসেন শৈলেন্দ্রনাথ। তাঁর বক্তব্য, “শালিক দু’টির মৃত্যুর প্রকৃত কারণ এলাকাবাসীদের জানাতে না পেরে খারাপ লাগছে। কুসংস্কার দূর করা গেল না।” হাবরা থানার বক্তব্য, সেখানে করা ডায়েরিতে বন দফতরের মাধ্যমে ময়না-তদন্ত চান বলে উল্লেখ করেছেন শৈলেন্দ্রনাথ। সে জন্যই ওই দফতরের সঙ্গে যোগাযোগ করতে পরামর্শ দেওয়া হয়েছে তাঁকে। |