স্থানীয় ক্রিকেটে আম্পায়ারিং নিয়ে ঝামেলা অব্যাহত। মহমেডান-ইয়ং বেঙ্গল ম্যাচে পরিস্থিতি সামলাতে মাঠে পুলিশ মোতায়েনও করতে হয়। চা-বিরতির আগে মহমেডানের মনদীপ সিংহকে এলবিডব্লিউ দেন আম্পায়ার রবিশঙ্কর চক্রবর্তী। যা নিয়ে তীব্র ঝামেলাতে মহমেডান সমর্থকরা মাঠে ঢুকে উইকেট ভেঙে দেন। ইয়ং বেঙ্গল ক্রিকেটাররা ভয়ে আর খেলতেই চাইছিলেন না। শেষমেশ পুলিশের সাহায্যে ম্যাচ শেষ হয়। দু’উইকেটে জেতে মহমেডান। পরে মহমেডান ক্রিকেট সচিব মইন বিন মকসুদ বলেন, “আম্পায়ার আউটটা দেওয়ার পরেই আমাকে বলেন, ভুল হয়ে গেল। পুষিয়ে দিচ্ছি। যা শুনে সমর্থকরা মেজাজ ঠিক রাখতে পারেননি। তবে আমরা ম্যাচ বন্ধ করতে চাইনি।”
ডিকেএস-পোর্ট ট্রাস্ট ম্যাচেও আম্পায়ারিং নিয়ে অভিযোগ। ডিকেএসের বিরুদ্ধে কয়েকটি সিদ্ধান্ত যায় বলে অভিযোগ। ক্লাব সচিব হিরন্ময় চট্টোপাধ্যায় বলেন, “এত নিম্নমানের আম্পায়ার দিয়ে স্থানীয় ক্রিকেট চলতে পারে না। আমাদের অন্যায় ভাবে হারানো হল। আরও দুঃখের, অবনমনের ম্যাচ হলেই কিছু ক্লাব আম্পায়ার ম্যানেজ করছে এবং আম্পায়াররা কর্তাদের খুশি করতে যা খুশি সিদ্ধান্ত দিচ্ছেন। এবং সিএবি এই নিয়ে উদাসীন। এটা ক্রিকেট নয়।” পোর্ট ট্রাস্ট ২৪৪ করার পরে ডিকেএস ২০০ রানে অলআউট হয়। সিএবি-র কাছে সরকারি ভাবে অভিযোগ করার কথা ভেবেছে ডিকেএস। টুর্নামেন্ট কমিটির চেয়ারম্যান অমিয় আঢ্য বলেন, “আম্পায়ার রিপোর্ট জমা দিলে আমাদের কিছু করার থাকে। ঘটনাটা আমি শুনেছি। তবে ক্লাবদের অভিযোগ পাইনি।”
এ দিন কালীঘাট ৭৭ রানে জিতেছে পশ্চিমবঙ্গ পুলিশের বিরুদ্ধে। ইরেস সাক্সেনার ৫ উইকেট। পুলিশ এসি-কে মোহনবাগান হারায় ৮৪ রানে। সুলতান আমেদের ৫ উইকেট। জিতেছে ইস্টবেঙ্গল, উয়াড়ি, তপন মেমোরিয়াল, টাউন, শ্যামবাজার। |