বাঘে টেনে নিয়ে গেল এক মৎস্যজীবীকে |
নদীতে মাছ ধরতে যাওয়া এক মৎস্যজীবীকে বাঘে টেনে নিয়ে গেল। ঘটনাটি ঘটেছে মঙ্গলবারদক্ষিণ ২৪ পরগনার গোসাবার পঞ্চমুখানি-৫ জঙ্গলের কাছে গাঁড়াল নদীতে। নিখোঁজ মৎস্যজীবীর নাম গৌতম মৃধা। বছর পঁয়তাল্লিশের ওই ব্যক্তির বাড়ি গোসাবারই লাহিড়ীপুরে। পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, দিন তিনেক আগে লাহিড়ীপুরের অনিল মণ্ডল, উত্তম মণ্ডল, উৎপল মণ্ডলের সঙ্গে মাছ ধরতে যান গৌতম। অনিল ও উত্তমবাবু বলেন, “মঙ্গলবার সকালে গাঁড়াল নদীতে জঙ্গলের ধারে মাছ ধরার সময় আচমকা একটি বাঘ গৌতমের উপরে ঝাঁপিয়ে পড়ে। ওকে টেনে নিয়ে জঙ্গলে ঢুকে যায়। আমরা চেষ্টা করেও ওঁকে বাঁচাতে পারিনি। গোসাবার বিধায়ক জয়ন্ত নস্কর বলেন, “চারজনের একটি দল নদীতে মাছ ধরতে গিয়েছিল। মঙ্গলবার ওই দলের সদস্য গৌতমবাবুকে বাঘে টেনে নিয়ে যায় বলে তাঁর সঙ্গীরা জানিয়েছেন। ওই এলাকায় নদীতে মাছ ধরার জন্য তিন জনের কাছে অনুমতিপত্র থাকলেও গৌতমবাবুর কাছে ছিল না। অন্য মৎস্যজীবীরা ফিরে এসে আমাকে ঘটনার কথা জানান। গৌতমবাবুকে উদ্ধারের ব্যাপারে আমি ব্যঘ্র প্রকল্পের কর্তাদের সঙ্গে কথা বলেছি।” ব্যাঘ্র প্রকল্পের ফিল্ড ডিরেক্টর প্রশান্ত কুমার পণ্ডিত বলেন, “এ রকম একটা ঘটনার কথা শুনেছি। তবে কোনও লিখিত অভিযোগ পাইনি। সম্ভবত ওদের কাছে অনুমতি ছিল না।”
|
বায়ুদূষণ নিয়ন্ত্রণে যানবাহনের উপরে যে নজরদারি থাকা দরকার, তা নেই এ শহরে। গাড়ির ধোঁয়ার দূষণ মাপতে আদালত ২০০৮ সালে তিনটি দূর-নিয়ন্ত্রিত স্বয়ংক্রিয় দূষণ মাপার যন্ত্র কিনতে বলে। এখনও পর্যন্ত একটিমাত্র মোবাইল রিমোট সেন্সিং ডিভাইস কিনেছে পরিবহণ দফতর। বুধবার কলকাতা হাইকোর্টের বিচারপতি পিনাকীচন্দ্র ঘোষ ও বিচারপতি মৃণালকান্তি চৌধুরীর ডিভিশন বেঞ্চ নির্দেশ দেয়, কলকাতা ছাড়াও প্রত্যেক জেলার জন্য একটি করে ধোঁয়ার দূষণ মাপার যন্ত্র কিনতে হবে। এ ব্যাপারে আদালত আর দেরি করতে রাজি নয়। দু’সপ্তাহের মধ্যে এ ব্যাপারে রিপোর্ট পেশের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।
|
দুই দশক পরে পবিতরা অভয়ারণ্যে পাখি সুমারি হল। মিলল ২৬টি প্রজাতির ১২ হাজার পাখির সন্ধান। গণনায় পরিযায়ী ও স্থানীয় দুই ধরনের পাখিরই হিসাব নেওয়া হয়েছে। সব থেকে বেশি দেখা গিয়েছে ‘লেসার হুইলসিং ডাক’। তাদের সংখ্যা প্রায় ৭ হাজার। প্রচুর কমন টিল, সাদা আইবিস, বৈকাল টিল, ‘গ্রে ল্যাগ গুজ’, বার হেডেড হাঁসের দেখা মিলেছে পবিতরায়। ৩৮.১৯ বর্গ কিলোমিটারের এই অভয়ারণ্যে ৮২টি গন্ডারের বাস। রেঞ্জার মুকুল তামুলি জানান, অভয়ারণ্যের তামুলিডোবা, পাগলাডোবা, লম্বাডোবা, হাসচরা, নলতলি ও যোগদল জলাশয়ে সমীক্ষার কাজ হয়েছে। বছর দুই আগে বিলগুলিতে ড্রেজিং-এর কাজ শুরু হয়। তামুলির মতে, জলাশয়ের গভীরতা বৃদ্ধির ফলে পবিতরায় পাখির সংখ্যা বেড়েছে। শেষ বার ১৯৯৩-৯৪ সালে পাখি সুমারি হয়েছিল। এ বারের সুমারির কাজে বনকর্মীরা ছাড়াও স্বেচ্ছাসেবী সংগঠন ‘আরণ্যক’ ও স্থানীয় স্কুলের ছাত্রছাত্রীরা অংশ নেয়। |