পুরসভার এক প্রাক্তন কাউন্সিলারের বিরুদ্ধে জলাভূমি ভরাটের অভিযোগ উঠল আলিপুরদুয়ার শহরে। ওই ঘটনা নিয়ে বিভিন্ন মহলে ক্ষোভের সৃষ্টি হয়েছে। পরিবেশপ্রেমী মহলের অভিযোগ, শহর এলাকায় একের পর এক জলাভূমি ভরাট হয়ে গেলেও পুরসভা ও প্রশাসনের কর্তারা ব্যবস্থা নিচ্ছেন না। যদিও আলিপুরদুয়ার পুরসভার চেয়ারম্যান দীপ্ত চট্টোপাধ্যায় বলেন, “জলাভূমি ভরাটের অভিযোগ পেয়ে মহকুমাশাসক এবং ভূমি রাজস্ব দফতরের কর্তাকে জানানো হয়েছে।” আলিপুরদুয়ারের ভূমি ও রাজস্ব আধিকারিক রোল্যান্ড সুব্বা বলেন, “অভিযোগের তদন্ত চলছে। জল ও কচুরিপানার মধ্যে বাঁশ দিয়ে এলাকা চিহ্নিত করে রাস্তা তৈরি করা হয়েছে। ভূমির মানচিত্রে সেটা জলাভূমি হলে কড়া ব্যবস্থা নেওয়া হবে।” পুরসভার ১৩ নম্বর ওয়ার্ডের বাসিন্দাদের একাংশের অভিযোগ, এলাকার নির্দল কাউন্সিলার মায়া মজুমদারের স্বামী প্রাক্তন কাউন্সিলর স্বপন মজুমদারের মদতে জলাভূমির ভরাট করে রাস্তা তৈরির কাজ চলছে। পুরসভা কর্তৃপক্ষকে ওই অভিযোগ জানানো হয়েছে। কিন্তু কোনও ব্যবস্থা নেওয়া হয়নি। স্বপনবাবু অবশ্য জলাভূমি ভরাটের অভিযোগ অস্বীকার করেছেন। তিনি বলেন, “জলাভূমি নয়। এলাকাটি দহলা জোত জমি। সেটাই ভরাট করে রাস্তা তৈরি করছি।” স্বপনবাবুর দাবি, তিনি নিজেও জলাভূমি ভরাটের বিরুদ্ধে। ২০১১ সালের ডিসেম্বর মাসে জলাভূমি ভরাট নিয়ে মহকুমাশাসক এবং অতিরিক্ত পুলিশ সুপারের কাছে লিখিত অভিযোগ জানান। তাঁর কথায়, “যে এলাকা নিয়ে বিতর্ক শুরু হয়েছে সেটা আসলে জোত জমি ও দহলা। কিছু মানুষ সেটাকে জলাভূমি বলার চেষ্টা করছে। ওই নীচু এলাকায় আগে রাস্তা ছিল। সেখানে মাটি ফেলে রাস্তা তৈরি করা হচ্ছে।” যদিও পরিবেশপ্রেমীরা প্রাক্তন কাউন্সিলারের ওই দাবি মানছেন না। আলিপুরদুয়ার নেচার ক্লাবের চেয়ারম্যান অমল দত্ত বলেন, “এলাকাটি জলাভূমি। সেখানে মাটি ফেলে রাস্তা তৈরির ঘটনা দুষণ নিয়ন্ত্রণ পর্ষদের কর্তাদের জানাব।” স্বপনবাবুর স্ত্রী তথা এলাকার কাউন্সিলার মায়া দেবী কলকাতায় আছেন। স্বপনবাবু বলেন, “তাঁর সঙ্গে কথা বলে যাবে না।” |