|
|
|
|
কাজের দাবিতে যুব কংগ্রেসের আইন অমান্য |
নিজস্ব সংবাদদাতা • আগরতলা |
বেকারদের কর্মসংস্থানের দাবিতে আজ ত্রিপুরা জুড়ে আইন অমান্য আন্দোলন করল প্রদেশ যুব কংগ্রেস। আগরতলা-সহ রাজ্যের ২১টি জায়গায় ছাত্র, যুব ও কংগ্রেসকর্মীরা এই আন্দোলনে সামিল হয়ে গ্রেফতার বরণ করেছেন বলে দাবি করেছেন প্রদেশ যুব কংগ্রেস সভাপতি সুশান্ত চৌধুরী।
আজ দুপুর বারোটা নাগাদ আগরতলার জগন্নাথ বাড়ি সংলগ্ন এলাকায় কয়েক হাজার যুব কংগ্রেসকর্মী ও সমর্থক জমায়েত হতে শুরু করেন। সেখান থেকে মিছিল বের হয় বেলা পৌনে একটায়। শহর পরিক্রমা করে বিশাল মিছিল পশ্চিম ত্রিপুরা জেলাশাসকের অফিসের সামনে জড়ো হয় দুপুর তিনটে নাগাদ। সেখানেই যুব কংগ্রেস কর্মী-সমর্থকরা আইন অমান্য করে গ্রেফতার বরণ করেন। যুব কংগ্রেস নেতৃত্বের দাবি, শহরে ১৫ হাজার যুব কংগ্রেস কর্মী-সমর্থক গ্রেফতার হয়েছে। কিন্তু পুলিশের দাবি ন’হাজার। জেলা প্রশাসন অফিসের সামনে আজকের জমায়েতে বক্তব্য রাখেন বিরোধী দলনেতা রতনলাল নাথ, কংগ্রেস বিধায়ক সুদীপ রায়বর্মন, যুব কংগ্রেস নেতা সুশান্ত চৌধুরী প্রমুখ। সুশান্ত চৌধুরীর দাবি, রাজ্যে ৪০ হাজার শূন্য সরকারি পদ এখনই পূরণ করতে হবে। রাজ্যে সাড়ে ছয় লক্ষ বেকার। বামফ্রন্ট সরকারের ‘বন্ধ্যা বেকার নীতির’ প্রতিবাদে তাই রাজ্য জুড়ে যুব কংগ্রেসের আজকের আইন অমান্য আন্দোলন।
আগামী বিধানসভা নির্বাচনের আগে যুব কংগ্রেসের এই শক্তি প্রদর্শন নিয়ে পুলিশ প্রশাসন যথেষ্ট চিন্তিত ছিল। এই আন্দোলনের মোকাবিলা করতে রাজ্য পুলিশ প্রশাসন তাই রীতিমতো আগাম প্রস্তুতি নিয়েছিল। পরিস্থিতি যাতে নিয়ন্ত্রণের বাইরে চলে না যায়, তার জন্য পুলিশ সকাল থেকেই সজাগ ছিল। শহরের বিভিন্ন প্রান্তে নিরাপত্তার কারণে আধা-সামারিক বাহিনী-সহ অতিরিক্ত নিরাপত্তাকর্মী মোতায়েন করা হয়। বেলা বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে শহরের যানবাহনও নিয়ন্ত্রণ করা হয়েছে। জেলা স্তরে এসপি ও এসডিপিও-দেরও সতর্ক করা হয়। তবে এই আন্দোলনের কারণে রাজ্যের কোথাও কোনও অপ্রীতিকর ঘটনার খবর নেই। প্রসঙ্গত, মুখ্যমন্ত্রী মানিক সরকার আগেই জানিয়েছেন, কেন্দ্রীয় নীতির ফলেই রাজ্য সরকার ২৬ হাজার শূন্য পদ পূরণ করতে পারছে না। আজ মুখ্যমন্ত্রীর বক্তব্যের জের টেনেই ডিওয়াইএফের রাজ্য সম্পাদক অমল চক্রবর্তী বলেন, প্রদেশ যুব কংগ্রেসের উচিত কেন্দ্রের নীতির বিরুদ্ধে আন্দোলন করা। |
|
|
|
|
|