লড়াইয়ে এসএফআই কার্যত ছিলই না। বিধাননগর সরকারি কলেজে বুধবার ছাত্র সংসদের ভোটে লড়াই হল তৃণমূলের দুই শিবিরের মধ্যেই! এক গোষ্ঠীর মদতদাতা ছিলেন নিউ টাউনের তৃণমূল বিধায়ক সব্যসাচী দত্ত। অন্য গোষ্ঠীর পিছনে বিধাননগরের বিধায়ক সুজিত বসুর সমর্থন ছিল বলে দলীয় সূত্রের খবর। ফল প্রকাশের পরে দেখা যায়, সুজিতবাবুর অনুগামীরা পরাজিত।
উত্তর কলকাতার মহারাজা শ্রীশচন্দ্র কলেজের মতোই বিধাননগরেও ছাত্র সংসদের ভোট নিয়ে প্রথম থেকেই দুই গোষ্ঠীতে ভাগ হয়ে যায় তৃণমূল ছাত্র পরিষদ (টিএমসিপি)। বিধানগরের সরকারি কলেজের ছাত্র সংসদের ২৮টি আসনের মধ্যে ২৭ টিতে জয়ী হয়েছে তৃণমূলের ছাত্ররা। একটি আসনে জয়ী সায়ন চক্রবর্তী নিজেকে এসএফআই প্রার্থী বলে দাবি করেছেন। তবে এসএফআইয়ের পক্ষ থেকে তাঁকে সংগঠনের সদস্য বলে স্বীকৃতি দেওয়া হয়নি। অভিযোগ, ওই ছাত্রও সব্যসাচী-গোষ্ঠীর সমর্থক। ২৭টি আসনের মধ্যে সুজিতবাবুর অনুগামী প্রার্থী ছিলেন ১০টি আসনে। ১৭টি আসনে ছিলেন সব্যসাচীবাবুর অনুগামী প্রার্থীরা। টিএমসিপি-র উত্তর ২৪ পরগনার জেলার সভাপতি সঞ্জয় রাহা সেই প্যানেলে সই করেছিলেন। সংগঠনের একাংশের অভিযোগ, সুজিতবাবুর মনোনীত প্যানেলেও ৯ জন প্রার্থী দাঁড় করিয়ে দেন সব্যসাচীবাবুর অনুগামীরা। এ নিয়ে বিধাননগরের চেয়ারপার্সন কৃষ্ণা চক্রবর্তীর কাছে এ দিন অভিযোগ জানান সুজিতবাবুর অনুগামীরা।
সব্যসাচীবাবু এই গোষ্ঠী-রাজনীতির কথা অস্বীকার করেছেন। তাঁর দাবি, “ছাত্রছাত্রীরা যাঁকে চাইবেন, তাঁকেই নির্বাচিত করবেন।” সুজিতবাবু বলেন, “ছাত্রেরা ফোনে বিষয়টি জানিয়েছে। আমি ওদের সংগঠনের শীর্ষ নেতাদের সঙ্গে কথা বলতে বলেছি।” |