বাংলা চলচ্চিত্রের শিল্পী-কলাকুশলীদের জন্য রাজ্য এ বার ‘মহানায়ক উত্তমকুমার’ পুরস্কার চালু করছে। উত্তমকুমারের নামে পুরস্কার দেওয়া হবে বলে প্রয়াত মহানায়কের জন্মদিনেই প্রাথমিক ভাবে ঘোষণা করেছিলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। এ বার তারই প্রাতিষ্ঠানিক চেহারা দেওয়া হচ্ছে। চলচ্চিত্র, নাটক, সংগীত, চারুকলা-সহ শিল্পের সমস্ত শাখায় গঠিত রাজ্য সরকারের কমিটির চেয়ারম্যান এবং তথ্য ও সংস্কৃতি দফতরের সচিব, আধিকারিকদের সঙ্গে মঙ্গলবার কলকাতা তথ্য কেন্দ্রের বৈঠকে এই পুরস্কারের কথা ঘোষণা করেছেন মুখ্যমন্ত্রী। বৈঠকে অংশগ্রহণকারী এক চলচ্চিত্রকার জানান, টালিগঞ্জের চলচ্চিত্র শিল্পে ‘উৎকর্ষ বৃদ্ধিতে উৎসাহ’ দিতেই আগামী আর্থিক বছর থেকেই এই পুরস্কার চালু করছে রাজ্য।
সংস্কৃতির অঙ্গনেও ‘কাজে গতি’ চান মুখ্যমন্ত্রী। অর্থনৈতিক দিক থেকে পিছিয়ে-পড়া রাজ্যে উন্নয়নের কাজে গতি আনার জন্য মুখ্যমন্ত্রী তথা তথ্য ও সংস্কৃতি মন্ত্রী মমতা শিল্পী-কলাকুশলীদের সঙ্গে বিভিন্ন দফতরের মন্ত্রী, সচিব, আমলাদের নিয়ে বৈঠক করছেন। সংস্কৃতি ক্ষেত্রেও ‘উন্নয়নের ধারা’ বজায় রাখতে এ দিন বৈঠকে উপস্থিত কমিটির চেয়ারম্যানদের ‘আহ্বান’ জানিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী। বৈঠকের পরে অভিনেতা রঞ্জিত মল্লিক, শিল্পী সমীর আইচ ও নাট্য-ব্যক্তিত্ব অর্পিতা ঘোষ জানান, আগামী আর্থিক বছরে তাঁদের বিভিন্ন কমিটির পরিকল্পনা নিয়ে আলোচনা হয়েছে। প্রত্যেক কমিটির চেয়ারম্যানের কাছে তাঁদের পরিকল্পনার কথা জানতে চান মুখ্যমন্ত্রী। |
নতুন ‘সংগীত প্রতিভা সন্ধানে’র উপরে আলোচনা করেন গায়িকা সন্ধ্যা মুখোপাধ্যায়। টালিগঞ্জের রাধা স্টুডিওতে ‘চলচ্চিত্র শতবর্ষ ভবনে’ পুরোনো দিনে চলচ্চিত্র শিল্পে ব্যবহৃত যন্ত্রপাতি নিয়ে সংগ্রহশালা গড়ার প্রস্তাব দেন চলচ্চিত্রকার হরনাথ চক্রবর্তী। বিভাগীয় আধিকারিকদের ব্যবস্থা নিতে নির্দেশ দেন মুখ্যমন্ত্রী। বৈঠকে ছিলেন সন্দীপ রায়, শাঁওলি মিত্র, সুমিত্রা সেন, জয় গোস্বামী, শিল্পী শুভাপ্রসন্ন, মেয়র শোভন চট্টোপাধ্যায়, লোক ও আদিবাসী সংস্কৃতি কমিটির চেয়ারম্যান বিধায়ক স্বপন দেবনাথ, যাত্রা অ্যাকাডেমির চেয়ারম্যান শশী পাঁজা প্রমুখ।
|
ওদলাবাড়ি নাট্য উৎসব কমিটির উদ্যোগে হয়ে গেল ষষ্ঠ ডুয়ার্স নাট্য উৎসব। ৭-১২ ফেব্রুয়ারি ৭টি নাটক মঞ্চস্থ হয়েছে ওই উৎসবে। নাট্য উৎসবের উদ্বোধন করেন রুদ্রপ্রসাদ সেনগুপ্ত। প্রথম দিন নান্দিকারের নাটক ‘নানা রঙের দিন’ এবং ডামডিম যুবনাট্য সংস্থার ‘দুই বিঘা জমি’ মঞ্চস্থ হয়। অন্যান্য দিনগুলিতে কলকাতার সমীক্ষণ থিয়েটার প্লাটফর্ম, নটসেনার মতো দলগুলি নাটক মঞ্চস্থ করে। হেলমেট, মানভঞ্জন, বিচিত্রানুষ্ঠান, ধ্রুবা নাটকগুলি মঞ্চস্থ হয়। শেষ দিন ১২ ফেব্রুয়ারি ডুয়ার্সের তিন নাট্য ব্যক্তিত্ব অমলেন্দু বিশ্বাস, প্রলয় বন্দ্যোপাধ্যায়, বকুল চট্টোপাধ্যাকে সংবর্ধনা জানানো হয়েছে। সমাপ্তি অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন শিলিগুড়ি জলপাইগুড়ি উন্নয়ন কর্তৃপক্ষের চেয়ারম্যান তথা শিলিগুড়ির বিধায়ক রুদ্রনাথ ভট্টাচার্য। এসজেডিএ’র উদ্যোগে ওদলাবাড়ি এলাকায় উন্নয়ন কাজ করতে বাসিন্দাদের মতামত নিতে তিনি তাঁদের সঙ্গে আলোচনায় বসার আগ্রহ প্রকাশ করেন। ওদলাবাড়ি ইউনিয়ন ক্লাব মঞ্চ গড়তে সাহায্যের আশ্বাসও দেন রুদ্রবাবু। |
অ্যাডভেঞ্চার ফিল্ম উৎসব নৈহাটিতে |
নৈহাটি পুরসভার ঐকতান মঞ্চে অনুষ্ঠিত হল পঞ্চদশ বার্ষিক অ্যাডভেঞ্চার ফিল্ম উৎসব। উদ্যোক্তা মিত্রপাড়া ইউথ মাউন্টেনিয়ার্স অ্যান্ড কালচার অ্যসোসিয়েশন। রবিবার বর্ষীয়ান পর্বতপ্রেমী গোষ্ঠবিহারী দে এই উৎসবের আনুষ্ঠানিক উদ্বোধন করেন। দেখানো হয় বাঙালি পর্বতারোহীদের সফল এভারেস্ট ও কাঞ্চনজঙ্ঘা অভিযানের রোমহর্ষক ছবি। পাশাপাশি, সংবর্ধনা জানানো হয় এভারেস্টজয়ী দীপঙ্কর ঘোষ ও এভারেস্ট ও কাঞ্চনজঙ্ঘাজয়ী বসন্ত সিংহরায়কে। নতুন প্রজন্মকে পাহাড়কে ভালবাসার আহ্বান জানান সংস্থার সম্পাদক করুণাপ্রসাদ মিত্র। |