সরকারি উদ্যোগে ধান কেনা নিয়ে আবারও সমস্যা হল। চেক বাউন্স করা, টাকা না পাওয়া,সময়ে শিবির না হওয়া ইত্যাদিতে জুড়ল এবার রানাঘাটের নামও।
সোমবার চাকদহে পঞ্চায়েত সমিতির ব্যবস্থাপনায় বিডিও অফিস চত্বরে ধান কেনার জন্য শিবির করা হয়েছিল। কিন্তু ধান কেনার সময় নিয়ে অভিযোগ করলেন চাষীরা। তাঁদের অভিযোগ, ধান কেনা হচ্ছে অনেক দেরীতে। ফলে সমস্যায় পড়ছেন ক্ষুদ্র ও ভাগ চাষীরা। কারণ তাঁরা ধান ধরে রাখতে পারছেন না। দেনা করে চাষ করেছিলেন অনেকেই। ফলে ধার মেটাতে খোলা বাজারে কম দামে বিক্রি করে দিতে হচ্ছে ধান। সমস্যার কথা স্বীকার করে জেলা খাদ্য সরবরাহ নিয়ামক অমিয়প্রসাদ সিংহ রায় বলেন, “জেলার মাত্র ৫টি রাইসমিল ধান কিনছে। ফলে সমস্যা হচ্ছে। এ পর্যন্ত ৮০টি শিবির করা হয়েছে। প্রায় ত্রিশ হাজার মেট্রিক টন ধান বিক্রি হয়েছে। সমস্যা সমাধানে জেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে বর্ধমানের রাইস মিলের সঙ্গে যোগাযোগ করা হচ্ছে। শিবিরে ধান বিক্রি করতে আসা খগেন দাস বলেন, “আমার সাত বস্তা ধান হয়েছিল। ধার মেটাতে দু বস্তা আগেই বিক্রি করেছি। ছোট চাষীদের এতে খুব একটা লাভও হয়না।” কিন্তু আরেক চাষী সুভাষ মুখোপাধ্যায় বলেন, “আমরা দীর্ঘদিন ধরে এ ধরণের শিবিরের অপেক্ষায় ছিলাম। আমি ২০ বস্তা ধান নিয়ে এসেছিলাম।” চাকদহ পঞ্চায়েত সমিতির সভাপতি তৃণমূলের সবিতা মজুমদার অবশ্য বলেন, “দুর্গা পুজোর পর ওই ধান কিনতে পারলে ভালো হতো।” কল্যাণীর মহকুমা শাসক শৈবাল চক্রবর্তী বলেন, “মিল মালিকদর নির্দেশ দিয়েছি ধান কেনার ব্যাপারে কোনও গড়িমসি করা যাবে না।”
|
দলীয় নির্দেশ অমান্য করে সিপিএম’কে অনাস্থা ভোটে সমর্থন করায় উমরাপুর গ্রাম পঞ্চায়েতের কংগ্রেসের সদস্য এক্রামুল শেখের দলীয় সদস্যপদ খারিজ করা হল। ১৪ সদস্যের ওই পঞ্চায়েতে বামেদের দখলে ছিল ৮টি আসন। কংগ্রেসের ৬টি। পরে সিপিএমের তিন জন কংগ্রেসে যোগ দেন। ক্ষমতায় আসে কংগ্রেস। কিন্তু তারপরে সিপিএমের এক দলত্যাগী সদস্য দলে ফিরে যান। কংগ্রেস ও সিপিএম দু’দলেরই দখলে ৭টি করে আসন হয়ে যাওয়ায় কংগ্রেসের প্রধানের বিরুদ্ধে অনাস্থা আনে সিপিএম। সেই ভোটাভুটিতে এক্রামুল শেখ সিপিএমকে সমর্থন করেন। প্রধান নির্বাচনেও তিনি দলের নির্দেশ অমান্য করে সিপিএমকে ভোট দেন। সুতি ২-এর বিডিও সুকুমার বৈদ্য বলেন, “দলের হুইপ অমান্য করলে পঞ্চায়েত বিধি অনুযায়ী তা দলবিরোধী কাজ বলে গণ্য হয়। সেই কারণে সোমবার ওই ব্যক্তির সদস্যপদ খারিজ করা হয়েছে।”
|
একটি সোনার দোকান থেকে কয়েক ভরি সোনা ও নগদ টাকা লুঠ করল দুষ্কৃতীরা। রবিবার রাতে করিমপুরের হাটঘরে চুরিটি হয়। পুলিশ ও স্থানীয়সূত্রে জানা গিয়েছে, সোমবার সকালে দোকান খুলে ওই দোকানের এক কর্মচারী সাহেব বিশ্বাস দেখেন পিছনের জানালা ভাঙা এবং সারা ঘরে জিনিসপত্র ছড়িয়ে আছে। ভাঙা হয়েছে আলমারিও। দোকানের মালিক বিকাশ সরকার বলেন, ‘‘কর্মচারীর মুখে খবর পেয়ে এসে দেখি আলমারির ভিতরে যা ছিল সবই প্রায় ওরা নিয়ে গিয়েছে।’’
|
মাধ্যমিক পরীক্ষার সেন্টার দূরে পড়ায় সড়ক অবরোধ করে বিক্ষোভ দেখাল স্কুলের ছাত্রছাত্রীরা। সোমবার কান্দির আন্দিলাল ছাজের উচ্চ বিদ্যালয়ের ছাত্রছাত্রীরা স্কুলের সামনের কান্দি-সাঁইথিয়া রাজ্য সড়ক অবরোধ করে আধ ঘণ্টা বিক্ষোভ দেখায়। ফলে যানজট হয়। ছাত্রছাত্রীদের অভিযোগ, অন্যান্য বার ৬ কিমি দুরের কুলি উচ্চ বিদ্যালয়ে পরীক্ষা হত। কিন্তু এবার ২০ কিমি দূরে কান্দি রাজ উচ্চ বিদ্যালয়ে পরীক্ষা কেন্দ্র পড়েছে। ফলে যাতায়াতে সমস্যা হবে। ছাত্রদের ওই দাবিকে সমর্থন করে অবরোধে সামিল হয় ছাত্র পরিষদও। ছাত্র পরিষদের জেলা সাধারণ সম্পাদক জয়দেব ঘটক বলেন, “পরীক্ষা কেন্দ্র বদল হলে ভালো না হলে যাতায়াতের ব্যবস্থার দাবি করা হয়েছে।”
|
লরির ধাক্কায় মৃত্যু হয়েছে শম্ভু ভট্টাচার্য (৬০) নামে এক ব্যাক্তির। বাড়ি কল্যাণীর রথতলায়। সোমবার সকালে নদিয়ার কল্যাণী-ব্যারাকপুর এক্সপ্রেসওয়েতে লরিটির সঙ্গে ধাক্কা লাগে শম্ভুবাবুর মোটর বাইকের। ঘটনাস্থলেই মৃত্যু হয় তাঁর। পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, লরি ও চালক কারও খোঁজ মেলেনি। তদন্ত চলছে।
|
অনুষ্ঠিত হল শচীনন্দন কলেজ অফ এডুকেশনের চতুর্থ বার্ষিক পুর্নমিলন উৎসব। চাকদহের শিমুরালিতে রবিবার ওই অনুষ্ঠান হয়। উপস্থিত ছিলেন উৎসব কমিটির সভাপতি শ্যামা প্রসাদ রায়, যুগ্ম সম্পাদক গোপালচন্দ্র স্বর্ণকার, কলেজের অধ্যক্ষ দেবীপ্রসাদ নাগ চৌধুরী-সহ নানা বিশিষ্টজনেরা। এছাড়া কলেজের প্রাক্তন ও বর্তমান শিক্ষক, শিক্ষাকর্মী এবং পড়ুয়ারাও উপস্থিত ছিলেন।
|
প্রায় চার কেজি পোস্তর আঠা-সহ এক ব্যক্তিকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। নাম শফিকুল শেখ। বাড়ি তেহট্টের কুলগাছি গ্রামে। তেহট্টের আইসি দেবপ্রসাদ পৌরাণিক বলেন, ‘‘ওই আঠা হেরোইন তৈরির অন্যতম উপাদান। এই ব্যবসার সঙ্গে আরও বেশ কয়েকজন জড়িত আছে বলে মনে হচ্ছে। তাদের খোঁজেও তল্লাশি চালানো হচ্ছে।”
|
ছ’টি বোমা উদ্ধার করল পুলিশ। শান্তিপুর মিউনিসিপ্যাল স্কুলের পাশে এক আমবাগান থেকে ওই বোমা উদ্ধার করা হয়। |