টুকরো খবর
স্কুলে বৃষ্টির জল সংরক্ষণের প্রকল্প
স্কুলের ছাত্রছাত্রীদের পানীয় এবং মিড-ডে মিলের রান্নার জলের চাহিদা পূরণে বৃষ্টির জল সংরক্ষণের প্রকল্প চালু হল পূর্ব মেদিনীপুরের রামনগর-২ ব্লকের বটতলা আনন্দময়ী হাইস্কুলে। সম্প্রতি স্কুলের বার্ষিক অনুষ্ঠানে ওই প্রকল্পের সূচনা করেন স্থানীয় বিধায়ক অখিল গিরি। স্কুলের প্রধানশিক্ষক হৃষীকেশ দাস জানান, প্রাক্তন ছাত্র তুলসী দাসমহাপাত্রই বৃষ্টির জল সংরক্ষণ প্রকল্প তৈরিতে প্রধান উদ্যোগ নিয়েছেন। প্রকল্প চালুতে বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি দফতর থেকে ১ লক্ষ ৯৭ হাজার টাকা আর্থিক সহায়তাও পাওয়া গিয়েছে। স্কুলের পরিচালন সমিতির সহসভাপতি পুলক বড়পণ্ডা বলেন, “গরমকালে এই এলাকায় প্রায় মাস তিনেক ভূগর্ভস্থ পানীয়জলের স্তর এতো নীচে নেমে যায় যে পানীয়জল থেকে মিড-ডে মিলের রান্নার জলসবেতেই সঙ্কট তৈরি হয়। বৃষ্টির জল সংরক্ষণের মাধ্যমে সেই সঙ্কট মোকাবিলা সম্ভব হবে।” দু’দিনের বার্ষিক অনুষ্ঠানে বিদ্যালয়ের ছাত্রছাত্রীরা মনোজ্ঞ সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান পরিবেশন করে। অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন প্রাক্তন প্রধানশিক্ষক বিষ্ণুপদ জানা, সমাজসেবী দয়ালচাঁদ সাউ, মৈতনা পঞ্চায়েতের উপপ্রধান তমালতরু দাস মহাপাত্র প্রমুখ।

জখম শামুকখোলটিকে রবিবার সন্ধ্যায় বসিরহাটের চৌরচর থেকে উদ্ধার করে
কয়েক জন কিশোর। গ্রামের সবিতা মণ্ডলের বাড়িতে নিয়ে এসে পাখিটির পরিচর্যা
করেন গ্রামবাসীরা। সকালে খবর পায় একটি স্বেচ্ছাসেবী সংগঠন। পরে বন
দফতরের কর্মীরা এসে পাখিটিকে উদ্ধার করেন। ছবি: নির্মল বসু

পোস্ত চাষ বন্ধে অভিযান
নিজস্ব চিত্র।
বিশেষ অভিযান চালিয়ে গোঘাটের মুল্লুক গ্রামের একটি জমিতে বেআইনি ভাবে চাষ করা ৩২০টি পোস্ত গাছ কেটে দিল প্রশাসন। সোমবার সকালে গোঘাট-২ বিডিও অনির্বাণ সোমের নেতৃত্বে আবগারি দফতর এবং ব্লক ভূমি ও ভূমি সংস্কার দফতরের আধিকারিকেরা পুলিশকে নিয়ে ওই অভিযান চালান। বিডিও বলেন, “জানা গিয়েছে জমিটি স্থানীয় বাসিন্দা সুজিত হাজরার। ১৮৬ বর্গফুট এলাকায় পোস্ত চাষ হয়েছিল। ৩২০টি গাছ নষ্ট করা হয়েছে। জমিটির মালিকানা যাচাই করবে ব্লক ভূমি ও ভূমি সংস্কার দফতর। তার পরেই ব্যবস্থা নেওয়া হবে।” সুজিতবাবু অবশ্য দাবি করেন, “ফুলের বাগান করতে চেয়েছিলাম। পোস্ত চাষ নিয়ে এত কড়াকড়ি আছে জানতাম না।” জেলা আবগারি দফতরের কমিশনার প্রবীর তলাপাত্র বলেন, “এ অঞ্চলে পোস্ত চাষের অনুমতি দেওয়া হয় না। বাড়িতে পোস্ত গাছ লাগানোও বেআইনি।”

বাঘের হানা আটকাতে জাল গোসাবায়
গোসাবার বিদ্যা জঙ্গলের ধার বরাবর এভাবেই লাগানো হয়েছে জাল। --নিজস্ব চিত্র।
লোকালয়ে বাঘের হানা ঠেকাতে দক্ষিণ ২৪ পরগনার সুন্দরবন এলাকা গোসাবা ব্লকের বিদ্যা এবং বাগনা জঙ্গলের ধারে জাল লাগানোর কাজ শুরু করেছে বন দফতর। দিনের পর দিন যে ভাবে সুন্দরবনের জঙ্গল লাগোয়া গ্রামগুলিতে বাঘের হানা বাড়ছে তাতে চিন্তিত বন দফতর। ইতিমধ্যেই বেশ কিছু এলাকায় জঙ্গলের ধার বরাবর জাল দিয়ে ঘিরে দেওয়া হয়েছে। সম্প্রতি রাজ্যের বনমন্ত্রী হিতেন বর্মন ক্যানিংয়ে এসেছিলেন। সেই সময় তাঁকে এ ব্যাপারে জানান বন দফতরের কর্তারা। ব্যাঘ্র প্রকল্পের ফিল্ড ডিরেক্টর সুব্রত মুকোপাধ্যায় বলেন, “এমনিতে প্রতিদিনই আমাদের কর্মীরা যে সব এলাকা জাল দিয়ে ঘেরা আছে সেখানে তার রক্ষণাবেক্ষণ করেন। তা ছাড়া প্রতিবছরই নতুন করে কিছু এলাকায় জাল দিয়ে ঘিরে ফেলা হয়।” তিনি জানানা, এ বছর বিদ্যা জঙ্গলে গ্রামের দিকে প্রায় ৪ কিলোমিটার এবং বাগনা জঙ্গলে গ্রামের দিকে প্রায় ৮ কিলোমিটার এলাকা জাল দিয়ে ঘিরে ফেলার কাজ চলছে। এর জন্য প্রায় ২ লক্ষ টাকা খরচ হবে।

ঝরাপাতায় অতীত ছেড়ে নতুন বসন্তেরই আবাহন। ছবি: দেবরাজ ঘোষ।



First Page| Calcutta| State| Uttarbanga| Dakshinbanga| Bardhaman| Purulia | Murshidabad| Medinipur
National | Foreign| Business | Sports | Health| Environment | Editorial| Today
Crossword| Comics | Feedback | Archives | About Us | Advertisement Rates | Font Problem

অনুমতি ছাড়া এই ওয়েবসাইটের কোনও অংশ লেখা বা ছবি নকল করা বা অন্য কোথাও প্রকাশ করা বেআইনি
No part or content of this website may be copied or reproduced without permission.