টুকরো খবর
রেললাইনের ধারে যুবক উদ্ধার
বোলপুর থানা এলাকার রজতপুর নারকেল বাগানের কাছে রেললাইনের ধারে জখম অবস্থায় পড়ে থাকা এক যুবককে উদ্ধার করল রেল পুলিশ। সোমবার সকালে অজ্ঞাত পরিচয়ের ওই যুবককে বোলপুর মহকুমা হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। হাসপাতাল সূত্রে জানা গিয়েছে, ওই যুবকের অবস্থা এখনও সঙ্কটজনক। রেল পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রের খবর, রাইপুর-সুপুর পঞ্চায়েতের রজতপুর নারকেল বাগানের ধারে স্থানীয় মাদ্রাসার পড়ুয়ারা এক যুবককে রক্তাক্ত অবস্থায় পড়ে থাকতে দেখে। তারা সঙ্গে-সঙ্গে গ্রামে খবর দেয়। এলাকার বাসিন্দা মুজিবর রহমান জানান, পড়ুয়াদের কাছ থেকে খবর পেয়ে বিষয়টি জরুরি পরিষেবা ও দমকল এবং রেল পুলিশে খবর দেওয়া হয়। পরে রেল পুলিশ গুরুতর জখম ওই যুবককে উদ্ধার করে হাসপাতালে ভর্তি করে। রেল পুলিশ জানিয়েছে, ওই যুবকের পকেট থেকে একটি ফোন নম্বর লেখা কাগজ পাওয়া গিয়েছে। ওই ফোন নম্বরটি অসম রাজ্যের। আহত ওই যুবকের মাথায়, পায়ে ছাড়াও শরীরের বিভিন্ন জায়গায় চোট রয়েছে। পুলিশের অনুমান, সম্ভবত কোনও দূরপাল্লার ট্রেন থেকে পড়ে গিয়ে ওই যুবক চোট পেয়ে থাকতে পারেন। ফোন নম্বরটিতে যোগাযোগ করে যুবকের পরিচয় জানার চেষ্টা করছে পুলিশ। বোলপুর মহকুমা হাসপাতাল সুপার সুদীপ মণ্ডল বলেন, “ওই যুবকের চিকিৎসা আমরা শুরু করেছি। আভ্যন্তরীণ চোট থাকার সম্ভাবনা রয়েছে। তাঁকে পর্যবেক্ষণে রাখা হয়েছে।”

‘পাচার’ হওয়া তরুণী উদ্ধার
কাজ পাইয়ে দেবে বলে গ্রামেরই এক যুবক তাকে ২০০৭ সালে হরিয়ানায় নিয়ে যায়। অভিযোগ, তারপর থেকে তার আর কোনও খোঁজ মিলছিল না। বীরভূম জেলা পুলিশ হরিয়ানা থেকে ‘পাচার’ হয়ে যাওয়া সেই তরুণীকে তার এক শিশুপুত্র-সহ উদ্ধার করল। ঘটনাটি লাভপুর থানার লাঘোঁষা গ্রামের। দীর্ঘদিন ওই তরুণীর কোনও খোঁজখবর না পেয়ে তার মা ২০০৯ সালে লাভপুর থানায় অভিযোগ জানান। সেই অভিযোগের ভিত্তিতে, গ্রামের ওই যুবক চন্দন মেটেকে পুলিশ তখন গ্রেফতারও করে। পরে সে জামিনে ছাড়া পায়। মামলাটি এখন আদালতে বিচারাধীন। ওই তরুণীকে উদ্ধার না করতে পারার ব্যাপারটি সম্প্রতি ডিআইজি (বর্ধমান রেঞ্জ) বাসব তালুকদারের নজরে আসে। তিনি ওই তরুণীকে উদ্ধারের নির্দেশ দেন। সেই মত বীরভূম জেলা পুলিশের একটি দল হরিয়ানার খেঁড়া এলাকা থেকে ওই তরুণীকে উদ্ধার করে। চন্দন মেটে অবশ্য পাচারের অভিযোগকে ভিত্তিহীন বলে জানিয়েছে। তরুণীর পরিবারের সম্মতিক্রমেই তার বিয়ের ব্যবস্থা করা হয় বলে ওই যুবক দাবি করেছেন। এ দিকে পুলিশ জানিয়েছে, তরুণীকে জিজ্ঞাসাবাদ করে প্রকৃত ঘটনা জানার চেষ্টা চলছে। আজ, মঙ্গলবার তরুণী ও তার শিশুকে আদালতে হাজির করানো হবে।

নানুরে থেকে অস্ত্র উদ্ধার
পুলিশ সুপারের অফিসে উদ্ধার হওয়া অস্ত্র। ছবি: তাপস বন্দ্যোপাধ্যায়।
ফের নানুরের গ্রাম থেকে উদ্ধার হল আগ্নেয়াস্ত্র। রবিবার রাতে স্থানীয় সেহেলা গ্রামের পুকুর পাড় থেকে ২১৯টি কার্তুজ এবং ১টি কার্বাইন, ৪টি দোনলা বন্দুক, ৩টি মাস্কেট, ১টি পিস্তল-সহ ১১টি আগ্নেয়াস্ত্র উদ্ধার করেছে পুলিশ। এর আগে নানুর এলাকায় বিভিন্ন সময় প্রচুর বোমা, আগ্নেয়াস্ত্র উদ্ধার হয়েছে। পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, গত নভেম্বর মাসে নানুর এলাকায় ডাকাতির ঘটনায় জড়িত থাকার অভিযোগে সম্প্রতি ৬ দুষ্কৃতীকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। তাদের জেরা করে সেহালা গ্রামে অস্ত্রের সন্ধান মিলেছে বলে দাবি পুলিশের। সেই সঙ্গে উদ্ধার হয় ৫টি মোবাইল। জেলা পুলিশ সুপার হৃষিকেশ মিনা বলেন, “মোবাইলগুলি বাস ডাকাতির সময়ে খোওয়া যাওয়া কি না তা খতিয়ে দেখে হচ্ছে। আর আগ্নেয়াস্ত্র কারা কী কারণে মজুত করেছিল তদন্ত করে দেখা হচ্ছে।”

অগ্নিদগ্ধ বধূর মৃত্যু
পৃথক ঘটনায় অগ্নিদগ্ধ হয়ে মৃত্যু হল দুই বধূর। পুলিশ জানায়, এ দিন সকালে রামপুরহাট মহকুমা হাসপাতালে মৃত্যু হয় নলহাটি পুরসভার ১২ নম্বর ওয়ার্ডের মণ্ডল পাড়ার নুরসেনা বিবি (৩৪) নামে এক গৃহবধূর। বধূটির শ্বশুরবাড়ির দাবি, পারিবারিক অশান্তির জেরে ওই বধূ নিজেই গতকাল রাতে গায়ে কেরোসিন ঢেলে অগ্নিদগ্ধ হয়। অন্যদিকে ময়ূরেশ্বর থানার গৌরবাজার এলাকার বাসিন্দা দুলুবা বিবি (২৪) নামে এক বধূ ৩০ জানুয়ারি বাড়িতে রান্না করার সময় অসতর্কতাবশত অগ্নিদগ্ধ হন। পরে মল্লারপুর ব্লক স্বাস্থ্যকেন্দ্রে ভর্তি থাকার পর গতকাল গভীর রাতে সেখানেই তাঁর মৃত্যু হয়।

দুর্ঘটনায় মৃত্যু
ট্রাকের ধাক্কায় মৃত্যু হল এক সাইকেল আরোহীর। সোমবার সকালে ঘটনাটি ঘটেছে দুবরাজপুর থানা এলাকার তরুলিয়া মোড়ে, পানাগড়-দুবরাজপুর ১৪ নম্বর রাজ্য সড়কে। মৃতের নাম শেখ জাকির (৩৬)। বাড়ি দুবরাজপুরের দোবান্দা গ্রামে। পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, এ দিন সকালে সাইকেলে করে ইলামবাজারের দিকে যাচ্ছিলেন শেখ জাকির। সেই সময় উল্টোদিক থেকে আসা একটি ট্রাক তাঁকে চাপা দিয়ে পালিয়ে যায়। ঘটনাস্থলেই তাঁর মৃত্যু হয়।

কিশোরীর অপমৃত্যু
কীটনাশক খেয়ে মৃত্যু হল এক কিশোরীর। পুলিশ জানায়, মৃতার নাম মুন্নি খাতুন (১৫)। বাড়ি রামপুরহাট থানার শ্রীকৃষ্ণপুর গ্রামে। পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, রবিবার পারিবারিক অশান্তির জেরে ওই কিশোরী কীটনাশক খেয়েছিল। রবিবার বিকেলেই রামপুরহাট মহকুমা হাসপাতালে মুন্নি মারা যায়।



First Page| Calcutta| State| Uttarbanga| Dakshinbanga| Bardhaman| Purulia | Murshidabad| Medinipur
National | Foreign| Business | Sports | Health| Environment | Editorial| Today
Crossword| Comics | Feedback | Archives | About Us | Advertisement Rates | Font Problem

অনুমতি ছাড়া এই ওয়েবসাইটের কোনও অংশ লেখা বা ছবি নকল করা বা অন্য কোথাও প্রকাশ করা বেআইনি
No part or content of this website may be copied or reproduced without permission.