আগামী ২৮ ফেব্রুয়ারি সাধারণ ধর্মঘটে এ রাজ্যের সরকারি কর্মী এবং সাধারণ মানুষ যাতে যোগ না-দেন, তার জন্য পাল্টা প্রচার শুরু করল তৃণমূল। রাজ্যের প্রধান শাসক দল প্রভাবিত স্টেট গভর্নমেন্ট এমপ্লয়িজ ফেডারেশনের কলকাতা জেলা সম্মেলনে রবিবার তৃণমূলের সাংসদ শুভেন্দু অধিকারী বলেছেন, “গত ৩৪ বছরে বন্ধ-অবরোধে রাজ্যের মানুষ ক্লান্ত। আর বন্ধ, অবরোধ কর্মনাশা দিন পালন করে পশ্চিমবঙ্গকে পিছিয়ে দেবেন না। এমনিতেই রাজ্য পিছিয়ে গিয়েছে। রাজ্যের মানুষকে বলছি, আগামী ২৮ ফেব্রুয়ারির সাধারণ ধর্মঘট আপনারা উপেক্ষা করুন।”
মূলত কেন্দ্রের নীতির প্রতিবাদে আগামী ২৮ তারিখ দেশ জুড়ে সাধারণ ধর্মঘট ডেকেছে কংগ্রেস, বিজেপি এবং বামেদের শ্রমিক সংগঠন। রাজ্যে ক্ষমতায় আসার আগেই বন্ধ-অবরোধের রাজনীতিতে ‘না’ বলেছেন তৃণমূল নেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। ক্ষমতায় আসার পরেও একই অবস্থান বজায় রেখেছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা। সরকারি কর্মচারীদের যাতে কর্মসংস্কৃতি উন্নত হয় এবং কাজ বন্ধ করে ধর্মঘটের পথে তাঁরা না-যান, তার জন্য সরকারি স্তরে ইতিমধ্যেই চেষ্টা শুরু হয়েছে। এ বার রাজনৈতিক ভাবেও প্রচারে নামল তৃণমূল।
মৌলানা আজাদ কলেজ অডিটোরিয়ামে এ দিন তৃণমূল-প্রভাবিত সরকারি কর্মচারী সংগঠনের সম্মেলনে শুভেন্দুর বক্তব্য, রাজ্যবাসী শুধু রাজনৈতিক দলের পরিবর্তন নয়, বাম-আমলে যে ব্যবস্থা তৈরি হয়েছিল, তারও পরিবর্তন চান। সরকার নীতি নির্ধারণ করে, বিধানসভা বা লোকসভায় সেই নীতিতেই আইন তৈরি হয়। সরকারি কর্মী ও আধিকারিকেরা তা কার্যকর করেন। বাম-আমলে কাজের যোগ্যতা নয়, কর্মচারীদের ‘দলীয় আনুগত্য’ই তাঁদের যোগ্যতার মাপকাঠি ছিল। শুভেন্দুর কথায়, “কিন্তু এখন মনে রাখবেন, রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় নিজে সোম থেকে শনিবার মহাকরণে সরকারের কাজ করেন। এবং সরকারি কর্মীরাও রাজ্যের উন্নয়নে একই ভাবে কাজ করবেন, এটা মানুষ আশা করেন।” ওই সংগঠনের রাজ্য সভাপতি মনোজ চক্রবর্তীও ২৮ তারিখের ধর্মঘটের বিরোধিতা করার আবেদন জানিয়েছেন। তাঁর মতে, রাজ্য সরকারি কর্মীদের ধর্মঘটের অধিকার কোনও দিনই ছিল না।
তৃণমূল-প্রভাবিত সংগঠনের আহ্বানের প্রেক্ষিতে সিটুর রাজ্য সভাপতি শ্যামল চক্রবর্তী বলেছেন, “কেন্দ্রীয় সরকারের মূল শরিক কংগ্রেসের শ্রমিক সংগঠন এই ধর্মঘটে আছে। কেন্দ্রের শরিক ডিএমকে-র ট্রেড ইউনিয়নও ধর্মঘটে সামিল। ধর্মঘটের দাবিগুলি মূলত কেন্দ্রের বিরুদ্ধেই। আশা করব, তৃণমূলের শ্রমিক সংগঠনও ধর্মঘটকে সমর্থন করবে।” শ্যামলবাবুর বক্তব্য, অন্যথায় বুঝতে হবে, শ্রমিকদের স্বার্থে দাবিগুলিকেই সমর্থন করছে না তৃণমূল। সরকারি কর্মচারীদের ইউনিয়ন বা ধর্মঘট না-করার বিষয়ে শাসক দল যা বলছে, তার জবাবে শ্যামলবাবু ফের বলেছেন, “যে মন্ত্রী এ সব বলছেন, শ্রমিক আইন সম্পর্কে তিনি কিছুই জানেন না! জোর করে শ্রমিকদের অধিকার যিনিই কাড়তে যাবেন, সংগ্রামের তোড়ে তিনি ভেসে যাবেন!” |
নরেন্দ্রপুর রামকৃষ্ণ মিশন লোকশিক্ষা পরিষদ ও শিবরামপুর লোক-জাগরণ সংস্থার উদ্যোগে জোনাল শিশু-কিশোর সমাবেশ হয়েছে নন্দীগ্রামের রেয়াপাড়ার বিদ্যুৎ পর্ষদ ময়দানে। রবিবার এই অনুষ্ঠানে পূর্ব মেদিনীপুর, হাওড়া ও পশ্চিম মেদিনীপুরের সাড়ে তিন হাজার শিশু-কিশোর যোগ দেয়। কুচকাওয়াজ, ক্রীড়া ও সাংস্কৃতিক প্রতিযোগিতার আয়োজন করা হয়। |