ন্যূনতম সহায়ক মূল্যে ধান কেনা নিয়ে রাজ্য জুড়ে বিতর্কের মধ্যেই রাজ্যের কৃষিমন্ত্রী রবীন্দ্রনাথ ভট্টাচার্য মেনে নিলেন, সরকার কৃষকদের কাছ থেকে প্রয়োজন মতো ধান কিনতে পারেনি। রবিবার হুগলির ধনেখালির পোড়াবাজারে দলের পঞ্চায়েতিরাজ সম্মেলনে রবীন্দ্রনাথবাবু বলেন, “প্রয়োজন মতো হয়তো ধান কেনা হয়নি। এ জন্য আমরা কিছুটা সময় চেয়ে নিচ্ছি। আর্থিক সমস্যা রয়েছেই। আছে পরিকাঠামোগত দুর্বলতাও। তবে, রাজ্য সরকার এই সমস্যা দ্রুত মেটাতে বদ্ধপরিকর। এর জন্য একটু ধৈর্য ধরতে হবে।”
|
কৃষিমন্ত্রী
রবীন্দ্রনাথ ভট্টাচার্য |
ওই সম্মেলনেই উপস্থিত ছিলেন যুব তৃণমূল নেতা তথা সাংসদ শুভেন্দু অধিকারী। তাঁর অভিযোগ, “সিপিএম আলু, ধানের প্রকৃত দাম দিতে পারেনি। ভুয়ো বণ্টন তালিকা তৈরি করেছে। ওরা এই রাজ্যকে দেউলিয়া করে গিয়েছে। ২ লক্ষ ৮ হাজার কোটি টাকার দেনা এখন আমাদের মাথায়। সব জায়গা থেকে ওরা ধার নিয়ে বসে আছে।” তাঁর কথায়, “কৃষকের স্বার্থ, মানুষের স্বার্থ আমরা দেখব। আমরা এই কাজে অঙ্গীকারবদ্ধ। ২০১২ সালে পূর্ণাঙ্গ বাজেট তৈরি হবে।” একই সঙ্গে শুভেন্দুবাবুর মন্তব্য, “সিঙ্গুরের মানুষ কষ্টে আছেন, তা আমরা জানি। তবে ওখানে আইনের প্রথম ধাপে জিতেছি। বাকি লড়াইতেও জিতব।”
সারের দাম নিয়ে বিতর্কের দায় বিরোধীদের উপর চাপিয়েছেন কৃষিমন্ত্রী রবীন্দ্রনাথবাবু। তাঁর বক্তব্য, “সারের দাম নিয়ে আমরা বিব্রত। তবে, রাজ্য সরকার এই দাম নির্ধারণ করেনি। করেছে কেন্দ্রীয় সরকার। বিরোধী দল এ নিয়ে অপপ্রচার করছে। আমরা দাম কমানোর আবেদন করেছি কেন্দ্রীয় সরকারের কাছে।” সারে কালোবাজারি হলে চাষিদের কৃষি দফতর অথবা বিডিও, এসডিও-কে জানাতে বলেন কৃষিমন্ত্রীর। প্রশাসন ব্যবস্থা নেবে।
সিপিএমকে কটাক্ষ করে শুভেন্দুবাবু বলেন, “গর্ত খুঁড়লেই কঙ্কাল বেরোচ্ছে। সুশান্ত ঘোষকে ধরে বেনাচাপড়ায় কঙ্কাল পাওয়া গিয়েছে। ওঁর কঠিন শাস্তি হবেই। গোঘাটের সিপিএম নেতা অভয় ঘোষ এখন জেলে। তাঁকে জেরা করলেও গোঘাট-আরামবাগ কিংবা খানাকুলে কঙ্কাল মিলবে।” নন্দীগ্রাম-নিখোঁজ কাণ্ডে অভিযুক্ত ‘ফেরার’ সিপিএম নেতা লক্ষণ শেঠ পশ্চিমবঙ্গের বাইরে পালিয়েছেন বলেও এ দিন দাবি করেন শুভেন্দুবাবু। তাঁর আরও অভিযোগ, “বিরোধী দলনেতা সূর্যকান্ত মিশ্র দুর্নীতিপরায়ন। তাঁর স্ত্রী-ও একাধিক এনজিও চালান।” |