টুকরো খবর
‘সব নে’ বলে ২ লাখ টাকা ছুড়ে ফেললেন ফলবিক্রেতা
কড়কড়ে নোটের বান্ডিলগুলো ছুড়তে ছুড়তে একটাই কথা বলছিলেন নুর বেগম, “আমাকে ওরা মেরে ফেলবে। তোরা সব নিয়ে নে।” ‘পরিচিত’ ফলবিক্রেতাকে আচমকা এমন কাণ্ড করতে দেখে স্বভাবতই হকচকিয়ে উঠেছিলেন আশপাশের অন্য দোকানিরা। বান্ডিলগুলি কুড়িয়ে মহিলার হাতে তুলে দেওয়ার চেষ্টা করেও ব্যর্থ হন তাঁরা। শেষে বান্ডিলগুলি তাঁরা জমা দেন গোলাবাড়ি থানায়। গুনে চমকে ওঠেন সকলেই। দু’লক্ষ টাকা! পাঁচশোর ৩টি ও একশোর ৫টি বান্ডিল। শনিবার বিকেলে এই ঘটনাকে কেন্দ্র করে হইচই পড়ে যায় হাওড়া স্টেশন সংলগ্ন বাসস্ট্যান্ডে। পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রের খবর, বছর চল্লিশের নুর অনেক দিন ধরেই ফল বিক্রি করছেন সাবওয়েতে। বাড়ি পিলখানা বস্তিতে। এ দিন বিকেলে আচমকাই অন্য দোকানিদের উপর খেপে ওঠেন ওই মহিলা। কথা-কাটাকাটির মাঝেই সঙ্গে থাকা প্লাস্টিকের ব্যাগটি নিয়ে হন্তদন্ত হয়ে উঠে আসেন বাসস্ট্যান্ডে। রাজেশ সোনকার নামে বাসস্ট্যান্ডের এক ফলবিক্রেতার কথায়, “হঠাৎই দেখি, ব্যাগ খুলে একের পর এক নোটের বান্ডিল ছুড়তে শুরু করেন নুর। আর সঙ্গে সেই একই কথা। নোট কুড়িয়ে তাঁকে দিতে গেলে আমাদের উপরেই চোটপাট করেন তিনি।” কাছেই ছিল নুরের ছোট ছেলে। তাঁকেও সেগুলো নিতে দেননি নুর। পুলিশকে তিনি জানিয়েছেন, শুক্রবার বড়বাজারের একটি ব্যাঙ্ক থেকে ওই টাকা তুলেছিলেন তিনি। কিন্তু ওই অ্যাকাউন্টটি তারই নাকি অন্য কারও নামে, তা এখনও জানা যায়নি। আগামিকাল, সোমবার ওই ব্যাঙ্ক কর্তৃপক্ষের সঙ্গে যোগাযোগ করবে পুলিশ। কিন্তু কেন আচমকা ‘অস্বাভাবিক’ আচরণ করলেন, কারাই বা তাঁকে ‘মেরে ফেলবে’ বলে আশঙ্কা করছেন নুর, তা নিয়ে এখনও ধোঁয়াশা কাটেনি।

কানে মোবাইল, ট্রেনের ধাক্কায় মৃত্যু ছাত্রের
ফের মোবাইল ফোনে কথা বলতে বলতে রেললাইন ধরে হাঁটার সময়ে ট্রেনের ধাক্কায় প্রাণ হারালেন এক কলেজ-ছাত্র। শুক্রবার বিকেলে দুর্ঘটনাটি ঘটে পূর্ব রেলের বনগাঁ-শিয়ালদহ শাখার বিড়া ও গুমা স্টেশনের মধ্যে। মৃতের নাম প্রবীর দত্ত (১৯)। বাড়ি হাবরার শ্রীপুর এলাকায়। তিনি হাবরার শ্রীচৈতন্য কলেজের বিএ প্রথম বর্ষের ছাত্র ছিলেন। রেল পুলিশের অনুমান, কানে হেডফোন থাকায় সম্ভবত তিনি ট্রেনের শব্দ শুনতে পাননি। রেল পুলিশ ও পরিবার সূত্রে জানা গিয়েছে, শুক্রবার বিকেলে প্রবীর গুমায় গৃহশিক্ষকের কাছে পড়তে যাওয়ার কথা বলে বেরোন। কিন্তু পড়তে যাননি। চশমাও সঙ্গে নেননি। বিকেল ৫টা নাগাদ গুমা থেকে রেললাইন ধরে হেঁটে ফিরছিলেন। দুর্ঘটনার প্রত্যক্ষদর্শীরা রেল পুলিশকে জানিয়েছেন, কানে হেডফোন লাগিয়ে তিনি কথা বলতে বলতে হাঁটছিলেন রেললাইন ধরে। সেই সময়ে বনগাঁমুখী একটি ট্রেন পিছন থেকে তাঁকে ধাক্কা মারে। ঘটনাস্থলেই তাঁর মৃত্যু হয়। বিড়ার স্টেশন ম্যানেজারের কাছ থেকে দুর্ঘটনার কথা জানতে পেরে রেল পুলিশ দেহটি উদ্ধার করে ময়না-তদন্তে পাঠায়। শনিবার শ্রীচৈতন্য কলেজে মৃত ছাত্রের স্মরণসভার আয়োজন করা হয়। অধ্যক্ষ ইন্দ্রমোহন মণ্ডল সভায় ছাত্রছাত্রীদের পথ চলার সময়ে মোবাইলে কথা না বলার পরামর্শ দেন। বারাসতের মহকুমাশাসক মৃণাল রানো বলেন, “প্রশাসনের পক্ষ থেকে শীঘ্রই মোবাইল কানে পথচলা বন্ধ করতে প্রচার করা হবে।”

কটূক্তি রুখতে গিয়ে আক্রান্ত মামি, দুই ভাগ্নি
দুষ্কৃতীদের কটূক্তির প্রতিবাদ করায় দুই কিশোরী-সহ তিন মহিলার উপরে সশস্ত্র হামলা হল হাওড়ার সালকিয়া স্কুল রোডে। মঙ্গলবার রাতের ওই ঘটনায় চার যুবককে খুঁজছে পুলিশ। দুই ভাগ্নিকে নিয়ে সালকিয়ায় একটি ধর্মীয় অনুষ্ঠানে গিয়েছিলেন পূজা সাউ নামে এক মহিলা। অভিযোগ, চার যুবক তাঁর এক ভাগ্নিকে উত্ত্যক্ত করতে থাকে। পূজাদেবী প্রতিবাদ করায় যুবকদের সরিয়ে দেন স্বেচ্ছাসেবকেরা। পুলিশ জানায়, অনুষ্ঠান থেকে ফেরার পথে ওই চার দুষ্কৃতী লাঠি, ক্ষুর প্রভৃতি অস্ত্র নিয়ে সালকিয়া স্কুল রোডে পূজাদেবী-সহ তিন জনকে ঘিরে ধরে। পূজাদেবীরা আতঙ্কে চিৎকার করতে করতে পালানোর চেষ্টা করতেই হামলা চালায় তারা। পূজাদেবী ও দুই কিশোরীর হাতে-পায়ে আঘাত লাগে। চিৎকার শুনে লোকজন ছুটে আসায় দুষ্কৃতীরা পালায়। পূজাদেবীর অভিযোগ, ওই চার যুবক মাঝেমধ্যেই তাঁর ভাগ্নিদের উত্ত্যক্ত করত। হাসপাতালে প্রাথমিক চিকিৎসার পরে আহতদের ছেড়ে দেওয়া হয়।

হাওড়ায় চুরি গয়না, টাকা
বাড়ির সদর দরজা ভেঙে চুরি হয়ে গেল প্রায় ১০ ভরি সোনার গয়না ও নগদ লক্ষাধিক টাকা। পুলিশ সূত্রের খবর, শুক্রবার গভীর রাতে হাওড়ার নাজিরগঞ্জ এলাকার দক্ষিণ দুইলায় সত্যজিৎ পর্বত নামে এক ব্যক্তির দোতলা বাড়ি থেকে ওই চুরি হয়েছে। সত্যজিৎবাবু পেশায় ইলেকট্রিক্যাল ঠিকাদার। ব্যবসার কাজে ওই পরিমাণ টাকা সব সময়ই তাঁর বাড়িতে থাকত। পুলিশ জানিয়েছে, চোরেরা বাড়ির সদর দরজা ভেঙে ভিতরে ঢোকে। একতলার একটি ঘরে লুটপাট চালাবার পর দোতলায় হানা দেয়। সেখানে একটি ঘরে স্ত্রী-পুত্রের সঙ্গে সত্যজিৎবাবু ঘুমোচ্ছিলেন। চোরেরা ওই ঘরে ঢুকে আলমারি ভেঙে নগদ টাকা ও সোনার গয়না নিয়ে চম্পট দেয়। কিন্তু কারও ঘুম কেন ভাঙেনি, তা নিয়ে প্রশ্ন রয়েছে। যাওয়ার সময় চোরেরা সদর দরজা বাইরে থেকে বন্ধ করে দিয়ে যায়। এখনও পর্যন্ত কেউ গ্রেফতার হয়নি।

ভুয়ো টিকিট পরীক্ষক ধৃত
ভুয়ো টিকিট পরীক্ষক সেজে রেলযাত্রীদের থেকে টাকা তোলার চেষ্টার অভিযোগে এক যুবককে গ্রেফতার করল রেল পুলিশ। শনিবার ভোরে পূর্ব রেলের বনগাঁ-শিয়ালদহ শাখার গোবরডাঙা স্টেশন থেকে ধৃত ওই যুবকের নাম মধুকুমার ঘোষ। তার বাড়ি হাবরার হাটথুবা এলাকায়। রেল পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, এ দিন ভোর সাড়ে ৫টা নাগাদ খাকি জ্যাকেট ও প্যান্ট পড়ে হাতে রেলের টিকিট পরীক্ষা করার নির্দিষ্ট ‘পাঞ্চ মেশিন’ নিয়ে প্ল্যাটফর্মে দাঁড়িয়েছিল মধু। কয়েক জনের টিকিট ‘পাঞ্চ’ও করে। কিন্তু বিনা টিকিটের এক যাত্রীর কাছ থেকে সে টাকা চায়। তখনই আরও কয়েক জন যাত্রী সেখানে জড়ো হয়ে যান। তাঁদের সন্দেহ হওয়ায় মধুকে স্টেশন ম্যানেজারের কাছে নিয়ে যাওয়া হয়। তখনই প্রমাণ হয়ে যায়, সে আদৌ রেলের টিকিট পরীক্ষক নয়। এর পরে স্টেশন ম্যানেজারের লিখিত অভিযোগের ভিত্তিতে মধুকে গ্রেফতার করা হয়।

শোভনের নেতৃত্বে মিছিল ভাঙড়ে
রাজ্যে কৃষক-মৃত্যুর প্রতিবাদে দিন কয়েক আগে দক্ষিণ ২৪ পরগনার ভাঙড়ে দলীয় বিধায়ক আব্দুর রেজ্জাক মোল্লার নেতৃত্বে মিছিল করেছিল সিপিএম। শনিবার ভাঙড়েই দলের জেলা সভাপতি শোভন চট্টোপাধ্যায় এবং সুন্দরবন উন্নয়ন মন্ত্রী শ্যামল মণ্ডলের নেতৃত্বে পাল্টা মিছিল করল তৃণমূল। মিছিলে ছিলেন হাজার খানেক তৃণমূল কর্মী-সমর্থক। মিছিলটি ঘটকপুকুর মোড় থেকে প্রায় এক কিলোমিটার দূরের একটি পেট্রল পাম্পের কাছে গিয়ে শেষ হয়। ঘটকপুকুরে একটি ছোট সভা করে শোভনবাবু দাবি করেন, “কৃষক-মৃত্যু নিয়ে সিপিএম রাজনীতি করছে। রাজ্যে এক জন কৃষকও আত্মহত্যা করেননি। রেজ্জাক মোল্লা নাটক করছেন।”

গাড়ির ধাক্কায় মৃত্যু
গাড়ির ধাক্কায় শনিবার খড়দহের ঈশ্বরীপুরে মৃত্যু হল এক ব্যক্তির। মৃতের নাম সুনীল রাজবংশী (৫৫)। বাড়ি খড়দহের বন্দিপুর আনন্দপল্লিতে। পুলিশ গাড়িটি আটক করলেও চালক পলাতক।



First Page| Calcutta| State| Uttarbanga| Dakshinbanga| Bardhaman| Purulia | Murshidabad| Medinipur
National | Foreign| Business | Sports | Health| Environment | Editorial| Today
Crossword| Comics | Feedback | Archives | About Us | Advertisement Rates | Font Problem

অনুমতি ছাড়া এই ওয়েবসাইটের কোনও অংশ লেখা বা ছবি নকল করা বা অন্য কোথাও প্রকাশ করা বেআইনি
No part or content of this website may be copied or reproduced without permission.