|
|
|
|
যৎকিঞ্চিৎ... |
তৃণমূল কংগ্রেস যদি একটি পরিবার হয়, তবে মুখ্যমন্ত্রী পরিবারের বড়, কলিকাতার মেয়র ছোট। পরিবারে অর্থাভাব বড়ই তীব্র, পাওনাদারের আনাগোনা লাগিয়াই থাকে। মাঝেমধ্যেই কাছারিবাড়ি, অর্থাৎ কেন্দ্রের নিকট বকেয়া আদায়ের দাবি পেশ হয়, কিন্তু বাংলা গল্প-উপন্যাসের পাঠকমাত্রেই জানিবেন, সেই দাবি সহজে পূরণ হইলে গল্প জমে না। বাহিরের পাওনাদারের গঞ্জনা তবুও এক প্রকার সহ্য হয়। কিন্তু সম্প্রতি যাহা ঘটিল, তাহা চলচ্চিত্রের অধিক। ছোট তরফ হইতে বড় তরফকে পাওনার লিখিত ফিরিস্তি পাঠাইয়া দেওয়া হইল। মুখ্যমন্ত্রীর টেবিলে সেই ফিরিস্তি এখনও পড়িয়া আছে সরকারের নিকট পুরসভার পাওনা ৩০৯ কোটি টাকা। হায়! দুঃসময়ে কি আপনজন এই ভাবেই পর হইয়া যায়? ছোট হিসাবে যাঁহার কর্তব্য ছিল পরিবারের বড়র পার্শ্বে যথাসাধ্য দাঁড়ানো, তিনিই কি না উত্তমর্ণের ন্যায় তাগাদা করিতেছেন? উপন্যাস হইলে তাহার পৃষ্ঠা অলস দুপুরের পাঠিকার চোখের জলে ভিজিয়া যাইত। কিন্তু ইহা কঠোর বাস্তব। টাকা আজ নাই, কাল আছে। মহাকরণের শূন্য ভাণ্ডার কাল ভরিয়া উঠিতে পারে। পুরসভারও, কাল না হউক, পরশু। কিন্তু দুঃসময়ে এই মহাজনসুলভ তাগাদার স্মৃতি কি পরিবারে চিরস্থায়ী হইয়া থাকিবে না? কোনও কোনও দাগ মিলায় না। |
|
|
|
|
|