বাসের যাত্রাপথ বাড়ানো হোক
হাওড়া জেলার ১৩-এ রুটের (জুজারসাহা-রাজাবাজার) মিনিবাসের সংখ্যা প্রায় ৪০টি। মিনিবাসগুলির গায়ে বড় হরফে লেখা রাজাবাজার-পোস্তা-মালাপাড়া-মানিকতলা-গিরিশ পার্ক-গণেশ টকিজ-হাওড়া ইত্যাদি জায়গার নাম। অথচ, বাসগুলি মাস দুয়েক ধরে হাওড়া স্টেশন পর্যন্ত গিয়ে থেমে যাচ্ছে। ফলে, এই রুটে যাতায়াতকারী ধুলাগড়ি, দেউলপুর, গঙ্গাধরপুর, গোন্ডলপাড়া, জুজারসাহা, একব্বরপুর প্রভৃতি এলাকার বহু যাত্রী অসুবিধায় পড়ছেন। কলকাতা যাতায়াত করতে হলে দু’তিনটি বাস পাল্টাতে হচ্ছে। এতে পথ খরচ বাবদ বাড়তি টাকা খরচ হচ্ছে। সাধারণ যাত্রী হিসেবে জেলা পরিবহণ দফতর এবং পরিবহণমন্ত্রীর কাছে আর্জি, বাসগুলি যাতে ফের জুজারসাহা থেকে রাজাবাজার (ভায়া হাওড়া স্টেশন) যাতায়াত করে তার ব্যবস্থা করা হোক।
সাবওয়ে, ওভারব্রিজ চাই সাঁতরাগাছিতে
হাওড়া-খড়্গপুর শাখার সাঁতরাগাছি একটি ব্যস্ত স্টেশন। শহরতলির লোকাল ট্রেন ছাড়াও মেল, এক্সপ্রেস, প্যাসেঞ্জার ট্রেন এখানে দাঁড়ায়। সাঁতরাগাছি কলকাতার প্রবেশদ্বার। প্ল্যাটফর্মের এক প্রান্তে স্টেশন থেকে বেরনোর পথ। ওভারব্রিজে ওঠানামার জন্য একটি মাত্র সিঁড়ি রয়েছে। অগত্যা, রেল লাইন টপকে ৬ নম্বর প্ল্যাটফর্মের একটি গেট দিয়ে যাতায়াত করতে হয়। দুর্ঘটনা এড়াতে সাঁতরাগাছি স্টেশনে একটি সাবওয়ে এবং একটি অতিরিক্ত ওভারব্রিজ প্রয়োজন। এ বিষয়ে কর্তৃপক্ষের দৃষ্টি আকর্ষণ করছি।
রাস্তা সংস্কার হোক
হুগলি জেলা পরিষদের অধীন রিষড়ার বামুনআড়ি রোড বর্তমানে একেবারেই চলাচলের অযোগ্য হয়ে পড়েছে। দিল্লি রোড থেকে পঞ্চাননতলা পর্যন্ত ৩ কিলোমিটার রাস্তাটি রিষড়া শহর ও গ্রামের মানুষের কাছে খুবই গুরুত্বপূর্ণ। রাস্তাটির একদিকে ডানকুনি শিল্পাঞ্চল, অন্যদিকে রিষড়া শিল্পাঞ্চল। তার ফলে, এই রাস্তা দিয়ে দৈনিক অসংখ্য মানুষ যাতায়াত করেন। বেশ কয়েক বছর আগে হুগলি জেলা পরিষদ ১০ টনের গাড়ি যাতায়াতের জন্য রাস্তাটি সংস্কার করেছিল। কিন্তু এই রাস্তা দিয়ে ৪০ টনেরও বেশি মাল নিয়ে ট্রাক যাতায়াত করছে। তার ফলে, রাস্তাটি দ্রুত খারাপ হয়ে যাচ্ছে। রাস্তাটির দিকে দীর্ঘদিন নজর পড়েনি প্রশাসনের। ফলে, রাস্তাটি ভেঙেচুরে নষ্ট হয়ে গিয়েছে। যান চলাচল তো দূরের কথা, হেঁটে চলাচল করাও কষ্টসাধ্য। রিষড়া পঞ্চায়েত প্রধান এবং রিষড়ার পুরপ্রধানের কাছে অনুরোধ, আপনারা উদ্যোগী হয়ে জেলা পরিষদের মাধ্যমে রাস্তাটি অবিলম্বে সংস্কারের ব্যবস্থা করুন।
সেতুর সংস্কার চাই
হুগলির আদিসপ্তগ্রামের কাছে সরস্বতী নদীর উপরে জি টি রোডের ‘নতুন পুল’টির অবস্থা বর্তমানে জরাজীর্ণ। অথচ, এই সেতু দিয়ে যাত্রীবাহী বাস-সহ ভারী মাল বোঝাই ট্রাকও যাতায়াত করে। উপরন্তু, সেতুর মতো জি টি রোডের অবস্থাও খারাপ। দুর্ঘটনার হাত থেকে রেহাই পেতে অবিলম্বে সেতুটির সংস্কার করা হোক। একই সঙ্গে জি টি রোডের খানাখন্দ সারানো হোক। এ ব্যাপারে স্থানীয় প্রশাসন ও জাতীয় সড়ক কর্তৃপক্ষের দৃষ্টি আকর্ষণ করছি।
এটিএম চালু হোক
ভদ্রেশ্বরের কয়লাডিপোতে স্টেট ব্যাঙ্ক অব ইন্ডিয়ার চাঁপদানি শাখা রয়েছে। কিন্তু এই অঞ্চলে ওই ব্যাঙ্কের কোনও এটিএম কাউন্টার নেই। ফলে, ওই শাখার গ্রাহকদের খুবই অসুবিধায় পড়তে হয়। অথচ, দেড় কিলোমিটার দূরে ভদ্রেশ্বর স্টেশনে ১০০ মিটারের ব্যবধানে এই ব্যাঙ্কের দু’টি এটিএম কাউন্টার রয়েছে। স্টেট ব্যাঙ্ক অব ইন্ডিয়া কর্তৃপক্ষের কাছে আবেদন, আপনাদের ব্যাঙ্কের চাঁপদানি শাখার কাছাকাছি কোথাও অন্তত একটি এটিএম কাউন্টার খোলার ব্যবস্থা করুন।
হিমঘর চাই
হাওড়ার আমতা কৃষিপ্রধান অঞ্চল। এখানে আলু, বেগুন, টোম্যাটো, কচু, শশা, মুলো, ফুলকপি, বাঁধাকপি ইত্যাদি সব্জি ব্যাপক ভাবে চাষ হয়। কিন্তু এই সব ফসল সংরক্ষণ করতে না পেরে চাষিরা ক্ষতিগ্রস্ত হন। তার প্রধান কারণ, আমতায় কোনও হিমঘর নেই। এখানে অবশ্যই একটি হিমঘর দরকার। এ বিষয়ে উলুবেড়িয়ার সাংসদ তথা কেন্দ্রীয় পর্যটনমন্ত্রী সুলতান আহমেদের দৃষ্টি আকর্ষণ করতে চাই।
চিঠি পাঠানোর ঠিকানা:



First Page| Calcutta| State| Uttarbanga| Dakshinbanga| Bardhaman| Purulia | Murshidabad| Medinipur
National | Foreign| Business | Sports | Health| Environment | Editorial| Today
Crossword| Comics | Feedback | Archives | About Us | Advertisement Rates | Font Problem

অনুমতি ছাড়া এই ওয়েবসাইটের কোনও অংশ লেখা বা ছবি নকল করা বা অন্য কোথাও প্রকাশ করা বেআইনি
No part or content of this website may be copied or reproduced without permission.