পাইপের জল বাঁকুড়ায়, টাকা পাঠাল কেন্দ্র |
দুর্গাপুর ব্যারাজ থেকে এ বার পাইপলাইনের মাধ্যমে বাঁকুড়ার বিস্তীর্ণ এলাকায় পানীয় জল সরবরাহ করা হবে। এই প্রকল্পে বুধবারেই কেন্দ্রীয় সরকারের কাছ থেকে ১১০০ কোটি টাকা পেয়েছে রাজ্য সরকার। জনস্বাস্থ্য কারিগরি মন্ত্রী সুব্রত মুখোপাধ্যায় বলেন, “এই প্রকল্পে ডিভিসি-র জল বাঁকুড়ার ৪০ কিলোমিটার ব্যাসার্ধ এলাকায় সরবরাহ করা হবে।” শিলিগুড়ি, পুরুলিয়া ও দক্ষিণ ২৪ পরগনার জন্য একই ভাবে পাইপলাইনে জল সরবরাহ করার প্রকল্পে টাকা চেয়েছিল রাজ্য। সেই প্রকল্পগুলিরও অনুমোদন পাওয়া গিয়েছে বলে সুব্রতবাবু জানান। শিলিগুড়ির প্রকল্পে তিস্তা থেকে জল তুলে তা শোধন করে শিলিগুড়ি এবং আশপাশের ২৪.৬১ বর্গ কিলোমিটার গ্রামীণ এলাকায় পাইপের মাধ্যমে ঘরে ঘরে পৌঁছে দেওয়ার কথা। পুরুলিয়ার ক্ষেত্রে কংসাবতী নদী থেকে জল তুলে ওই জেলার ২০টি ব্লকে জল সরবরাহের প্রকল্প কেন্দ্রের কাছে জমা দিয়েছে রাজ্য। আর দক্ষিণ ২৪ পরগনার নোদাখালিতে নতুন একটি জল সরবরাহ কেন্দ্র তৈরি করার উদ্যোগ চলছে। সেখান থেকে ভাঙড় পর্যন্ত ১০টি ব্লকে পাইপলাইনের পানীয় জল সরবরাহ করার কথা।
|
সরকারি কর্মীদের অধিকার নিয়ে সরব এসইউসি |
রাজ্য সরকারি কর্মীদের ট্রেড ইউনিয়ন, ধর্মঘট এবং রাজনৈতিক দল করার ‘অধিকারে’র দাবিতে সরব হল এসইউসি-র শ্রমিক সংগঠন এআইইউটিইউসি। রাজ্যের শ্রমমন্ত্রী পূর্ণেন্দু বসু সম্প্রতি সরকারি কর্মীদের স্মরণ করিয়ে দিয়েছেন, তাঁদের ওই সমস্ত অধিকার বামফ্রন্ট সরকারের আমলেও ছিল না। এখনও নেই। সেই প্রেক্ষিতেই এআইইউটিইউসি-র সাধারণ সম্পাদক শঙ্কর সাহা বুধবার বলেন, “বামফ্রন্ট অন্যায় ভাবে ওই অধিকারগুলি থেকে সরকারি কর্মীদের বঞ্চিত রেখেছে বলে বর্তমান সরকারও তা-ই করবে, এ আবার কেমন যুক্তি? তা হলে মানুষ শাসক পরিবর্তন করল কেন?” শঙ্করবাবু জানান, বাম-জমানায় সরকারি কর্মীদের ধর্মঘট করার অধিকার দেওয়া হলেও তা যাতে বাস্তবায়িত হতে না পারে, তার জন্য কিছু ব্যবহারিক বাধা রাখা হয়েছিল। তৃণমূল-কংগ্রেস জোট সরকারের কাছে তাঁদের দাবি, তারা ওই বাধাগুলি তুলে নিয়ে সরকারি কর্মীদের ধর্মঘট
করার সুযোগ দিক।
|
ক্ষুদ্র চাষিদের ঋণ মকুবের আর্জি মমতার |
ক্ষুদ্র ও প্রান্তিক কৃষকদের ঋণ মকুব এবং তাঁদের ক্ষেত্রে সারের সহায়ক-মূল্য বেঁধে দেওয়ার জন্য কেন্দ্রের কাছে ফের আর্জি জানালেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। এ নিয়ে প্রধানমন্ত্রীকে চিঠি দিয়েছেন বলে মমতা নিজেই বুধবার মহাকরণে জানান। তিনি বলেন, “আগেও আমি এ ব্যাপারে কেন্দ্রকে অনুরোধ করেছি। বামফ্রন্ট সরকার তো এটা নিয়ে কিছুই করেনি। আমি অনেক দিন লড়াই চালাচ্ছি। ফের প্রধানমন্ত্রীকে চিঠি দিলাম।” মুখ্যমন্ত্রীর দফতর সূত্রের খবর, চিঠিতে তিনি বলেছেন, কেন্দ্র ক্ষুদ্র ও প্রান্তিক চাষিদের জন্য সারের সহায়ক-মূল্য স্থির করে দিক। সেই সঙ্গে প্রধানমন্ত্রীর কাছে তাঁর আর্জি, ক্ষুদ্র ও প্রান্তিক কৃষকদের ঋণ মকুব করা হোক।
|
শনাক্ত হয়নি বস্তাবন্দি দেহ |
কল্যাণী ও শিয়ালদহ স্টেশনে পাওয়া খণ্ডিত দেহাংশগুলি কার, বুধবারেও তা জানতে পারেনি পুলিশ। নিহত যুবকের পরিচয় জানতে রেল পুলিশ ‘নিখোঁজদের’ তালিকা হাতড়াচ্ছে। সোমবার রাতে কল্যাণী স্টেশনের প্ল্যাটফর্ম থেকে তিনটি বস্তায় এবং মঙ্গলবার সকালে শিয়ালদহে ডানকুনি লোকালের কামরায় একটি বস্তায় এক যুবকের দেহের চারটি অংশ পাওয়া যায়। দুই জায়গাতেই দেহাংশগুলি প্লাস্টিকের ব্যাগে রাখা ছিল। পচন বিলম্বিত করার জন্য বস্তায় নুনও ভরে দেওয়া হয়। রেল পুলিশের সন্দেহ, চারটি দেহাংশই ৩০-৩৫ বছরের কোনও যুবকের। |