সিপিএমের জেলা সম্পাদকমণ্ডলীর এক সদস্যকে মারধরের অভিযোগ উঠল তৃণমূলের বিরুদ্ধে। বুধবার বিকেলে দক্ষিণ ২৪ পরগনার কলকাতা লেদার কমপ্লেক্স থানার বেওতা-২ নম্বর গ্রাম পঞ্চায়েত এলাকায় তুষার ঘোষ নামে ওই নেতা তৃণমূল সমর্থকদের হাতে আক্রান্ত হয়েছেন বলে অভিযোগ করেছে সিপিএম। ভাঙড়ের প্রাক্তন তৃণমূল বিধায়ক আরাবুল ইসলাম হামলার কথা স্বীকারও করেছেন।
আরাবুল বলেন, “ওই নেতা এলাকায় এসে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের বিরুদ্ধে মিথ্যা অভিযোগ তুলে প্রচার করছেন। সেই কারণেই আমাদের ছেলেরা তাঁকে মারধর করছে। ফের যদি এলাকায় আসেন, তাহলে আবার হামলা হতে পারে।” উল্লেখ্য, মাসখানেক ধরেই ভাঙড়ের বামনঘাটার বাড়ি ছেড়ে বারুইপুরে জেলা কার্যালয়ে রয়েছেন তুষারবাবু। তাঁর অভিযোগ, মাসখানেক আগে বামনঘাটা এলাকায় সিপিএম প্রভাবিত সমবায় পরিচালিত কিছু মেছো ভেড়ির দখল নেয় তৃণমূল। তারপর থেকেই নানা ভাবে তাঁকে শাসানি দেওয়া হচ্ছে। এমনকী প্রাণনাশের হুমকিও দিচ্ছে তৃণমূল। সেই কারণেই বাড়ি ছেড়ে দলীয় কার্যালয়ে থাকছেন তিনি। আরাবুলের পাল্টা বক্তব্য, “উনি যদি তৃণমূলের শাসানিতে ভাঙড় ছেড়েই থাকেন, তা হলে ফের এসেছিলেন কেন?”তুষারবাবু পুলিশের কাছে মারধর ও গাড়ি ভাঙচুরের অভিযোগ দায়ের করেছেন। সিপিএমের অভিযোগ, এদিন তুষারবাবু ওই এলাকায় এক দলীয় কর্মীর বাড়িতে বৈঠক করতে গিয়েছিলেন। ফেরার পথে জনা পনেরো তৃণমূল সমর্থক তাঁর ঘিরে ধরে আক্রমণ করে। স্থানীয় বাসিন্দারা চলে আসায় হামলাকারীরা চলে যায়। তারপরই থানায় গিয়ে আশ্রয় নেন তুষারবাবু। তুষারবাবুর গাড়ির চালক এবং কয়েকজন সঙ্গীকেও মারধর করা হয় বলে সিপিএমের অভিযোগ।
দক্ষিণ ২৪ পরগনার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (গ্রামীণ) কঙ্করপ্রসাদ বারুই বলেন, “তুষারবাবু মারধরের নির্দিষ্ট অভিযোগ দায়ের করেছেন। আমরা তদন্ত শুরু করেছি।” বুধবার রাত পর্যন্ত এই ঘটনায় কেউ গ্রেফতার হয়নি বলে জেলা পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে। দক্ষিণ ২৪ পরগনার তৃণমূলের চেয়ারম্যান চৌধুরী মোহন জাটুয়া বলেন, “যদি এরকম ঘটনা হয়ে থাকে, তা নিন্দনীয়। পুলিশ তদন্ত করে যথাযুক্ত ব্যবস্থা নিক।” দক্ষিণ ২৪ পরগনা সিপিএমের জেলা সম্পাদক সুজন চক্রবর্তী বলেন, “সন্ত্রাসের বাতাবরণ সৃষ্টি করছে তৃণমূল। কোথাও জোটসঙ্গী কংগ্রেসকে আক্রমণ করছে তো কোথাও বামপন্থীদের। ওরা সন্ত্রাস ছাড়া আর কিছু ভাবতে পারে না।” |