নিজস্ব সংবাদদাতা • মেদিনীপুর |
পথ-দুর্ঘটনায় এক স্কুলছাত্রীর মৃত্যুকে কেন্দ্র করে বুধবার সকালে উত্তেজনা ছড়াল মেদিনীপুর শহরের রাঙামাটি এলাকায়। মৃতার নাম মিনতি চৌধুরি (১৫)। সে রাঙামাটি হাইস্কুলের নবম শ্রেণির ছাত্রী। তার বাড়ি মেদিনীপুর সদর-ব্লকের নেপুরায়। সাইকেলে স্কুলে আসার পথে একটি লরি তাকে ধাক্কা মারে। দুর্ঘটনার পরে উত্তেজিত জনতা পথ অবরোধ করে। পাশের উড়ালপুলেও অবরোধ হয়। খবর পেয়ে পুলিশ পৌঁছে স্থানীয়দের সঙ্গে কথা বলে অবরোধ তোলে। ইতিমধ্যে উত্তেজিত জনতা লরি-চালক অশোক সিংহকেও ব্যাপক মারধর করে। গুরুতর আহত অবস্থায় তাঁকে মেদিনীপুর মেডিক্যাল কলেজ এবং পরে কলকাতায় স্থানান্তরিত করা হয়। |
উত্তেজিত জনতার অবরোধ। রাঙামাটিতে। ছবি: রামপ্রসাদ সাউ |
এ দিনের দুর্ঘটনা মেদিনীপুর শহরের ‘বেহাল’ ট্রাফিক ব্যবস্থারই পরিণতি বলে স্থানীয় মানুষের অভিযোগ। ব্যস্ত সময়েও শহরের মধ্যে দ্রুত গতিতে গাড়ি চলাচল করে। ছোট-বড় লরি ঢোকে। এর আগেও সিপাইবাজার এলাকায় পথ-দুর্ঘটনায় স্কুলছাত্রীর মৃত্যু হয়েছে। এ দিন সকাল সাড়ে দশটা নাগাদ রাঙামাটি আইটিআইয়ের সামনেই দুর্ঘটনাটি ঘটে। স্থানীয় সূত্রের খবর, মিনতি সাইকেলে স্কুলে আসছিল। সেই সময়ে গোপগড়গামী একটি লরি তাকে মুখোমুখি ধাক্কা মারে। রাস্তায় পড়ে গেলে ছাত্রীটির দেহের উপর দিয়ে লরির চাকা চলে যায়। সঙ্গে সঙ্গেই মৃত্যু হয় ওই কিশোরীর। দুর্ঘটনার পরেই এলাকায় উত্তেজনা ছড়ায়। ক্ষুব্ধ মানুষজন পথ অবরোধ করেন।
প্রাথমিক ভাবে পুলিশ মনে করছে, লরিটি নিয়ন্ত্রণ হারিয়েই ছাত্রীটিকে ধাক্কা মারে। এমন দুর্ঘটনা এড়াতে গোপগড়-রাঙামাটি রাস্তায় হাম্প তৈরির দাবি জানিয়েছেন স্থানীয় বাসিন্দারা। তাঁদের বক্তব্য, এখান দিয়ে দ্রুত গতিতে বাস-লরি চলাচল করে। হাম্প তৈরি হলে গাড়ির গতি নিয়ন্ত্রণে থাকবে। দুর্ঘটনার আশঙ্কাও কমবে। দাবি খতিয়ে দেখে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ করার পাশাপাশি শহরে গাড়ি চলাচলের গতি নিয়ন্ত্রণে নজরদারি বাড়ানোর আশ্বাস দিয়েছে পুলিশ। |