খেয়াল রাখুন
তথ্য সংকলন: কৌলিক ঘোষ

ম্যানেজমেন্টের স্নাতকোত্তর পাঠ্যক্রম
সাধারণ এমবিএ-র পাশাপাশি এ বার ‘আই-এমবিএ’ নামে দু’বছরের আর একটি পূর্ণ সময়ের পাঠ্যক্রম চালু করল বেঙ্গল ইনস্টিটিউট অফ বিজনেস স্টাডিজ (বিআইবিএস)। প্রতিষ্ঠানটির দাবি, ম্যানেজমেন্টে দু’বছরের স্নাতকোত্তর এই পাঠ্যক্রমে মূলত জোর দেওয়া হবে হাতে-কলমে প্রশিক্ষণের উপর। তাই প্রথম ছ’মাস ক্লাসে বসে ম্যানেজমেন্টের প্রাথমিক পাঠ রপ্ত করার পর ১৫-১৮ মাস একেকটি সংস্থায় পুরোদস্তুর কাজ করবেন প্রত্যেক পড়ুয়া। তার জন্য মাসে বেতনও মিলবে। ফলে এক দিকে ডিগ্রি পাওয়ার আগেই কর্পোরেট দুনিয়ায় বছর দেড়েক কাজের অভিজ্ঞতা যেমন ঝুলিতে আসবে, তেমনই সহজ হবে পাঠ্যক্রমের খরচ জোগাড় করা। তবে সিলেবাসের বাকি অংশ আয়ত্ত করতে প্রতি রবিবার বাধ্যতামূলক ভাবে ক্লাস করতে হবে।
এই পাঠ্যক্রমে ভর্তি হতে অন্তত স্নাতক হওয়া জরুরি। আবেদন করতে পারেন ফাইনাল ইয়ারের পড়ুয়ারাও। ভর্তির জন্য ক্যাট/ ম্যাট/ প্রতিষ্ঠানের নিজস্ব প্রবেশিকা পরীক্ষায় বসতে হবে। মূলত তার ভিত্তিতেই ডাক মিলবে ইন্টারভিউ ও গ্রুপ ডিসকাশনে।
এ ছাড়া, আর্থিক অস্বচ্ছলতার কারণে স্কুলের গণ্ডি পেরনোর আগেই পড়া থমকে গিয়েছে, এমন ছেলে-মেয়েদের জন্যও ‘চেতনা’ নামে একটি প্রশিক্ষণ পাঠ্যক্রম চালু করেছে বিআইবিএস। এখানে বাছাই করা পড়ুয়াদের (বয়সসীমা ৩০ বছর) কিছু নির্দিষ্ট বিষয়ে প্রশিক্ষণ দিয়ে তাঁদের চাকরি পাওয়ার বিষয়ে সহায়তা করবে বিআইবিএস। বিশদে জানতে ফোন করুন ২৪৬৬-৯২৩৬/৩৭ নম্বরে। বা মেল করুন ঠিকানায়।

জুয়েলারি ডিজাইনিং নিয়ে
অ্যাডভান্সড জুয়েলারি ডিজাইনিং-এ এক বছরের ডিপ্লোমা পাঠ্যক্রম শুরু করতে চলেছে স্বামী প্রণবানন্দ জেমস অ্যান্ড জুয়েলারি অ্যাকাডেমি। সপ্তাহে তিন দিন ক্লাস হবে। মাধ্যমিক বা উচ্চমাধ্যমিক পাশ হলেই ভর্তি হওয়া যাবে। ফোন নম্বর: ০৩৩- ২৬৫২৭৫২২।

পলিটেকনিক প্রবেশিকার প্রশিক্ষণ
এ বছর রাজ্যের বিভিন্ন পলিটেকনিক কলেজে ডিপ্লোমা পড়ার জন্য যাঁরা ‘জেক্সপো’ পরীক্ষায় বসার প্রস্তুত নিচ্ছেন, তাঁদের জন্য কলকাতার মাস্টারজি প্রশিক্ষণ কেন্দ্র শুরু করছে একটি স্বল্পমেয়াদি পাঠ্যক্রম। মাধ্যমিক পাশ করেছেন বা এ বছরই বসছেন যাঁরা, তাঁরাই যোগ দিতে পারবেন। প্রসঙ্গত, এ বছর থেকে এই পরীক্ষায় বসার জন্য বয়সের ঊর্ধ্বসীমা উঠে যাচ্ছে। ফোন করে নিন ৯৯০৩১-৩০২৮৮ নম্বরে।

আপনার প্রশ্ন
বিশেষজ্ঞের উত্তর
প্রশ্ন: বিজ্ঞান নিয়ে দ্বাদশ পড়ছি। বিষয় হিসেবে অঙ্ক, পদার্থ বিজ্ঞান, রসায়ন আছে। ভারতীয় সেনাবাহিনীতে যোগ দিতে চাই। দ্বাদশের পর আধিকারিক হিসেবে যোগ দিতে গেলে কী করতে হবে? যদি দ্বাদশের পর না-পারি, তা হলে কি গ্র্যাজুয়েশনের পর সেনাবাহিনীতে আধিকারিক হিসেবে যোগ দেওয়ার কোনও সুযোগ রয়েছে? বিস্তারিত তথ্যের অপেক্ষায় থাকলাম।

উত্তর:
দ্বাদশে বিজ্ঞান নিয়ে পড়াশোনা করার পর ভারতীয় সেনাবাহিনীর তিনটি বিভাগেই অর্থাৎ আর্মি, নেভি এবং এয়ারফোর্স-এ যোগ দেওয়ার সুযোগ রয়েছে। এর জন্য ইউনিয়ন পাবলিক সার্ভিস কমিশন (ইউপিএসসি) বছরে দু’বার পরীক্ষা নেয়। যার নাম ‘ন্যাশনাল ডিফেন্স অ্যাকাডেমি অ্যান্ড নাভাল অ্যাকাডেমি এগজামিনেশন’। আগামী ১৫ এপ্রিল ৩৩৫টি শূন্যপদ পূরণের জন্য এই পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হবে। এর মধ্যে আর্মিতে ১৯৫ জনকে, নেভিতে ৩৯ জনকে, এয়ারফোর্সে ৬৬ জনকে ও ইন্ডিয়ান নাভাল অ্যাকাডেমিতে ৩৫ জনকে নেওয়া হবে।
পরীক্ষার দুটি ধাপ। প্রথমটি হল লিখিত। সফল হলে ডাকা হয় ‘এসএসবি’ ইন্টারভিউ-এর জন্য। ৯০০ নম্বরের লিখিত পরীক্ষার মধ্যে ৩০০ নম্বরের অঙ্ক এবং ৬০০ নম্বরের জেনারেল এবিলিটি টেস্ট থাকে। প্রশ্ন করা হয় অবজেকটিভ ধরনের এবং প্রতিটির জন্য বরাদ্দ আড়াই ঘন্টা। ইন্টারভিউ হয় ৯০০ নম্বরের।
লিখিত পরীক্ষায় অঙ্কের পাঠ্যসূচি মোটামুটি ভাবে দ্বাদশের পাঠ্যক্রম অনুযায়ী তৈরি করা হয়। আর ৬০০ নম্বরের জেনারেল এবিলিটি টেস্ট-টিতে ২০০ নম্বরের ইংরেজি, ৪০০ নম্বরের পদার্থবিজ্ঞান, রসায়ন, সাধারণ বিজ্ঞান, ভারতের স্বাধীনতা সংগ্রাম, ইতিহাস, ভূগোল, সাম্প্রতিক বিষয়াবলীর উপর সাধারণ জ্ঞানের প্রশ্ন থাকে।
লিখিত পরীক্ষা এবং এসএসবি ইন্টারভিউ-এর মাধ্যমে নির্বাচিত প্রার্থীদের তিন বছরের প্রশিক্ষণ হয় ন্যাশনাল ডিফেন্স অ্যাকাডেমিতে। আর্মি, নেভি, এয়ারফোর্স তিনটি শাখার পড়ুয়াদেরই তিন বছরের পাঠ্যক্রম শেষে জওহরলাল নেহরু বিশ্ববিদ্যালয় থেকে ডিগ্রি দেওয়া হয়। এর পর আর্মিতে যোগ দিতে হলে পাঠানো হয় আইএমএ অর্থাৎ ইন্ডিয়ান মিলিটারি অ্যাকাডেমিতে। এয়ারফোর্সে গেলে এক বছরের প্রশিক্ষণের জন্য যেতে হয় হায়দরাবাদের এয়ারফোর্স অ্যাকাডেমিতে। প্রশিক্ষণ শেষে প্রার্থীরা পান লেফটেন্যান্ট পদমর্যাদা।
একই ভাবে বিজ্ঞানে বা ইঞ্জিনিয়ারিং-এ স্নাতক হওয়ার পর বসা যায় কম্বাইন্ড ডিফেন্স সার্ভিস এগজামিনেশন বা সিডিএসই পরীক্ষায়। আর্মি এবং অফিসার্স ট্রেনিং অ্যাকাডেমির জন্য যে কোনও বিষয়ে স্নাতক হলেই চলে। এয়ারফোর্সে যোগ দিতে অবশ্য যে কোনও বিষয়ে স্নাতক হওয়ার পাশাপাশি ১০+২-এ অঙ্ক এবং পদার্থবিজ্ঞান থাকা জরুরি। এই পরীক্ষা দিতে পারেন ইঞ্জিনিয়ারিং স্নাতকরাও। পরীক্ষা হয় এপ্রিল ও সেপ্টেম্বরে।
কম্বাইন্ড ডিফেন্স অ্যাকাডেমির সঙ্গে এনডিএ পরীক্ষার পদ্ধতিগত ফারাক আছে। ইন্ডিয়ান মিলিটারি অ্যাকাডেমি, ইন্ডিয়ান নাভাল অ্যাকাডেমি, এয়ারফোর্স অ্যাকাডেমিতে ভর্তির জন্য ইংরেজি, জেনারেল নলেজ ও এলিমেন্টরি ম্যাথ-এর পরীক্ষা হয়। প্রতিটির জন্য বরাদ্দ দু’ঘণ্টা। নম্বর থাকে ১০০ করে। তবে অফিসার্স ট্রেনিং অ্যাকাডেমিতে এলিমেন্টরি ম্যাথমেটিক্স-এর প্রশ্ন থাকে না। নম্বর ২০০।

প্রশ্ন: নেট পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হওয়ার পর কলেজে শিক্ষকতার জন্য ছাত্রছাত্রীদের করণীয় কী? অন্যান্য রাজ্যে চাকরির জন্য কী ভাবে আবেদন করতে হবে?

উত্তর:
রাজ্যের কলেজ সার্ভিস কমিশনের বিজ্ঞপ্তির দিকে নজর রাখুন। কারণ, কলেজগুলিতে শূন্য পদের তালিকা যায় কলেজ সার্ভিস কমিশনে। তার পরে কমিশন প্রকাশিত বিজ্ঞপ্তির ভিত্তিতে আবেদন করেন প্রার্থীরা। সংশ্লিষ্ট বিষয়ের বিশেষজ্ঞ বা শিক্ষকদের নিয়ে গড়ে তোলা বোর্ড ইন্টারভিউ নেয়। এর পর প্রার্থীদের প্যানেলভুক্ত করা হয়। প্যানেলে স্থান অনুযায়ী শিক্ষকতার সুযোগ মেলে। অন্যান্য রাজ্যের ক্ষেত্রেও নিয়ম প্রায় একই। সংশ্লিষ্ট রাজ্যের কলেজ সার্ভিস কমিশনে নেট উত্তীর্ণদের আবেদন করতে হয়। এর পর ইন্টারভিউ, প্যানেলভুক্তি এবং চাকরির সুযোগ। বিজ্ঞপ্তির ভিত্তিতে সরাসরি বিশ্ববিদ্যালয়ে শিক্ষকতার জন্যও আবেদন করা যায়।



First Page| Calcutta| State| Uttarbanga| Dakshinbanga| Bardhaman| Purulia | Murshidabad| Medinipur
National | Foreign| Business | Sports | Health| Environment | Editorial| Today
Crossword| Comics | Feedback | Archives | About Us | Advertisement Rates | Font Problem

অনুমতি ছাড়া এই ওয়েবসাইটের কোনও অংশ লেখা বা ছবি নকল করা বা অন্য কোথাও প্রকাশ করা বেআইনি
No part or content of this website may be copied or reproduced without permission.