টুকরো খবর
কন্ডাক্টর খুনে গ্রেফতার যুবক
রিষড়ায় বাস কন্ডাক্টরকে পিটিয়ে খুনের ঘটনায় জড়িত অভিযোগে শনিবার এক যুবককে গ্রেফতার করল পুলিশ। ধৃতের নাম উমর কুরেশি ওরফে ছোটু। বাড়ি রিষড়ার পি সি দাঁ বাজার এলাকায়। অলোক আঢ্য নামে ওই কন্ডাক্টরকে খুনের প্রতিবাদে শনিবার সকাল থেকে চুঁচুড়া এবং শ্রীরামপুরে কোনও বাস যাতায়াত করেনি। ফলে বিস্তীর্ণ এলাকায় মানুষ দুর্ভোগে পড়েন। প্রতিবাদে সামিল হন অটোচালকরাও। দুপুরের পর থেকে অবশ্য চুঁচুড়ায় বিক্ষিপ্ত ভাবে কিছু বাস-অটো চলে। শ্রীরামপুরেও দুপুর থেকে কিছু অটো চলে। ভাড়া নিয়ে বচসার জেরে বৃহস্পতিবার রাতে কয়েক জন ‘মদ্যপ’ যুবক রিষড়ার সন্ধ্যাবাজারের কাছে অলোকবাবুকে বেধড়ক মারধর করে বলে অভিযোগ। পরের দিন তাঁর মৃত্যু হয়। শনিবার শ্রীরামপুর ওয়ালশ হাসপাতালে মৃতদেহের ময়না-তদন্ত হয়। সেখানে ছিলেন দুই বিধায়ক তপন দাশগুপ্ত, তপন মজুমদার। আইএনটিটিইউসি এবং সিটু নেতারাও ছিলেন। তপন দাশগুপ্ত বলেন, “সরকার ওই শ্রমিকের পাশে থাকবে।” নিহতের ভাই রঞ্জন আঢ্য বলেন, “যারা এমন অমানবিক কাজ করল, তাঁদের উপযুক্ত শাস্তি দিক প্রশাসন।” জেলা পুলিশ সূত্রে জানানো হয়েছে, ধৃতকে জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে। ওই ঘটনায় জড়িত বাকিদের খোঁজে তল্লাশি চলছে।

ছেলের বাড়ির বিরুদ্ধে নালিশ মেয়ের বাবার
নিউ ব্যারাকপুরের সাজিরহাটে কিশোরীর আত্মহত্যার ঘটনা নতুন মোড় নিল। শনিবার সন্ধ্যায় মৃত কিশোরী দীপশিখা দামের বাবা দীপক দাম ঘোলা থানায় তাঁর মেয়েকে আত্মহত্যায় প্ররোচনার অভিযোগ দায়ের করেছেন মেয়ের সহপাঠী সুদীপ্ত চাকী এবং তার পরিবারের লোকেদের বিরুদ্ধে। ব্যারাকপুর কমিশনারেটের গোয়েন্দা প্রধান দীপনারায়ণ গোস্বামী বলেন, “দীপকবাবুর অভিযোগটি খতিয়ে দেখা হচ্ছে।” গত বুধবার সন্ধ্যায় নিউ ব্যারাকপুরের সাজিরহাটে একটি বহুতল আবাসনের ছাদ থেকে দীপশিখা এবং সুদীপ্ত ঝাঁপ দেয়। দীপশিখার মৃত্যু হয় এবং গুরুতর আহত অবস্থায় সুদীপ্তকে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। শনিবার রাত পর্যন্ত সুদীপ্ত সঙ্কটজনক অবস্থায় হাসপাতালে চিকিৎসাধীন। পুলিশ ঘটনাস্থল থেকে দু’টি সুইসাইড নোট উদ্ধার করে। প্রাথমিক তদন্তের পর পুলিশ জানিয়েছে, সুইসাইড নোটে ইংরেজি হরফে বাংলা ভাষায় দুই পড়ুয়াই যা লিখেছে, তার সারমর্ম, মা-বাবার প্রত্যাশা পূরণে ব্যর্থ হয়েই তারা আত্মহত্যার সিদ্ধান্ত নিয়েছে।

ক্ষতবিক্ষত দেহ উদ্ধার
রাস্তার পাশ থেকে পলিথিন চাপা দেওয়া ক্ষতবিক্ষত মৃতদেহ উদ্ধার করল পুলিশ। মৃতদেহের মাথায়, কপালে, হাতে-পায়ে ক্ষতচিহ্ন রয়েছে। শনিবার সকালে লিলুয়ার বিড়াডিঙি এলাকার বেনারস রোডে পড়েছিল দেহটি। পুলিশ জানিয়েছে, মৃতের নাম গোপীনাথ কাঁড়ার (৪০)। বাড়ি কোনা পূর্বপাড়ায়। তিনি লিলুয়ার একটি কারখানায় চাকরি করতেন। শুক্রবার সকালে কাজে বেরিয়ে রাতে বাড়ি ফেরেননি গোপীনাথবাবু। পরিবারের লোকজন ভেবেছিলেন কারখানায় কাজের চাপ থাকার জন্য রাতে বাড়ি আসতে পারেননি তিনি। শনিবার সকালে তাঁরা দুঃসংবাদ পান। পুলিশের অনুমান, কোনও গাড়ির ধাক্কায় মৃত্যু হয়েছে গোপীনাথবাবুর। শুক্রবার রাতে কারখানা থেকে ফেরার পথে দুর্ঘটনাটি ঘটে। যে গাড়ির ধাক্কায় গোপীনাথবাবুর মৃত্যু হয়েছে, সম্ভবত সেই গাড়ির চালক বা অরোহীরাই রাস্তার পাশে মৃতদেহ সরিয়ে রেখে পলিথিন চাপা দিয়ে চলে যায়।

দুষ্কৃতীদের ইটে জখম বিএসএফ জওয়ান
অনুপ্রবেশে বাধা দিতে গিয়ে দুষ্কৃতীদের ছোড়া ইটের ঘায়ে গুরুতর জখম হলেন দুই বিএসএফ জওয়ান। শনিবার ভোরে উত্তর ২৪ পরগনার স্বরূপনগর সীমান্তের গাবর্ডা গ্রামের ঘটনা। বিএসএফের কৈজুরি চৌকির ১৫২ নম্বর ব্যাটালিয়নের জিননাথ পাল সিংহ এবং সরফরাজ সিংহ নামে ওই দুই জওয়ানকে আশঙ্কাজনক অবস্থায় প্রথমে বসিরহাট হাসপাতালে ভর্তি করানো হয়। পরে কলকাতার হাসপাতালে স্থানান্তরিত করানো হয়। এসডিপিও (বসিরহাট) আনন্দ সরকার জানান, চার বিএসএফ জওয়ান পাহারা দেওয়ার সময় দেখেন, কয়েক জন দুষ্কৃতী সীমান্ত পেরিয়ে বাংলাদেশ থেকে এ পারে আসার চেষ্টা করছে। জওয়ানরা অনুপ্রবেশকারীদের ধরতে গেলে তারা ইট-পাটকেল ছোড়ে। তাতেই দু’জন জখম হন। তার পরে কুয়াশা ও অন্ধকারের সুযোগ নিয়ে গা ঢাকা দেয় অনুপ্রবেশকারীরা।

দেহ উদ্ধার কামারহাটিতে
নিখোঁজ কামারহাটির যুবক মহম্মদ মুস্তাকের (২৮) মৃতদেহ শনিবার উদ্ধার করল পুলিশ। ২৪ জানুয়ারি থেকে তিনি নিখোঁজ ছিলেন। ওই দিন তাঁকে শেষ দেখা গিয়েছিল যে তিন বন্ধুর সঙ্গে, এ দিন বেলঘরিয়া থানার পুলিশ তাদের গ্রেফতার করে। ধৃত মহম্মদ রাজ, আফতার আলি এবং মহম্মদ আজাদকে জেরা করে পুলিশ। তার পর কামারহাটির ইএসআই হাসপাতালের পিছনে একটি মসজিদ নাগোয়া পরিত্যক্ত কুয়ো থেকে মুস্তাকের দেহ উদ্ধার হয়। পুলিশের অনুমান, জুয়ার আড্ডায় গণ্ডগোলের জেরেই মুস্তাককে খুন করা হয়েছে।



First Page| Calcutta| State| Uttarbanga| Dakshinbanga| Bardhaman| Purulia | Murshidabad| Medinipur
National | Foreign| Business | Sports | Health| Environment | Editorial| Today
Crossword| Comics | Feedback | Archives | About Us | Advertisement Rates | Font Problem

অনুমতি ছাড়া এই ওয়েবসাইটের কোনও অংশ লেখা বা ছবি নকল করা বা অন্য কোথাও প্রকাশ করা বেআইনি
No part or content of this website may be copied or reproduced without permission.