‘হারিয়ে যাওয়া’ একটি শিশুকে উদ্ধার করেছে পুরুলিয়ার কাশীপুর থানার পুলিশ। তবে বিস্তর খোঁজ করেও বছর তিনেকের শিশুটির বাবা-মায়ের হদিস মেলেনি। বাচ্চা মেয়েটিকে শিশু কল্যাণ সমিতির হাতে তুলে দিয়েছিল পুলিশ। শুক্রবার বিকেলে তাকে পাঠানো হয়েছে বাঁকুড়ার কমলপুরের চামটাগড়া গ্রামের আদিবাসী মহিলা সমিতির হোমে।
পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, বৃহস্পতিবার বিকেলে কাশীপুরে শিশুটিকে একা ঘোরাঘুরি করতে দেখে স্থানীয় বাসিন্দারা পুলিশে খবর দেন। অত্যন্ত সপ্রতিভ মেয়েটি পুলিশকে তার বাবা-মায়ের নাম-ও জানায়। কিন্তু আধো আধো কথায় তা বুঝতে বেগ পেতে হয় পুলিশকে। শেষে জানা যায়, তার নাম বৈষ্ণবী পাত্র। বাবা রঞ্জিত পাত্র ও মা লক্ষ্মীদেবী। মেয়েটি কথার মধ্যে বেশির ভাগ হিন্দি শব্দের ব্যবহার করায় পুলিশ ভেবেছিল, পাশের রেলশহর আদ্রা থেকে সে কোনও ভাবে হারিয়ে গিয়েছে। কারণ আদ্রায় অনেক হিন্দিভাষী মানুষের বাস। সেই অনুযায়ী বৈষ্ণবীকে আদ্রায় নিয়ে গিয়েও খোঁজখবর নেয় পুলিশ।
|
রঘুনাথপুরের এসডিপিও দ্যুতিমান ভট্টাচার্য জানান, ওই শিশুটির ছবি-সহ বিশদ বিবরণ বৃহস্পতিবার সন্ধ্যা থেকেই আদ্রায় প্রচার করেছিল পুলিশ। এমনকী তাকে পুলিশের গাড়িতে নিয়ে এলাকায় এলাকায় ঘোরাও হয়। কিন্তু তার অভিভাবকদের খোঁজ মেলেনি। রাতেই শিশুকল্যাণ সমিতির সঙ্গে আলোচনা বৈষ্ণবীকে রাতে রাখা হয় আদ্রার পাশে মণিপুর গ্রামের একটি হোমে। ততক্ষণ পর্যন্ত ‘পুলিশ আঙ্কল’রা তার সঙ্গ ছাড়েননি। রাতে হোমের আবাসিকদেরও মন জয় করে নেয় ছোট্ট মেয়েটি। শিশুকল্যাণ সমিতির চেয়ারম্যান অনিতা মিশ্র বলেন, “বাবা-মা কোথায় জানতে চাইলে মেয়েটা বলছে, ‘বাবা-মা ট্রেনে আছে’। ফলে মনে হচ্ছে, ট্রেন থেকেই কোনও ভাবে নিখোঁজ হয়েছে শিশুটি। কিন্তু কিছুই নিশ্চিত করে বলা যাচ্ছে না।” পুরুলিয়ায় অন্য থানা ও লাগোয়া জেলার থানাতেও পুলিশ খোঁজ করেছে। এখনও কোনও সূত্র মেলেনি। আপাতত তাই মেয়েটির ঠাঁই হয়েছে বাঁকুড়ার হোমে। |