ডাম্পিং গ্রাউন্ড নিয়ে পুরসভা এবং আন্দোলনকারীদের সংঘাত চরমে পৌঁছল। একাংশ বাসিন্দার বাধায় জলপাইগুড়ি শহর লাগোয়া পাঙ্গা এলাকায় ডাম্পিং গ্রাউন্ডে বেশ কিছুদিন জলপাইগুড়ি পুরসভা ময়লা ফেলতে পারছে না। ২ ফেব্রুয়ারি পাঙ্গা এলাকার কিছু বাসিন্দার তাড়া খেয়ে পুরসভার ময়লা ফেলার ট্রাক ফিরে আসে। ঘটনার পরে পাঙ্গা দূষণ প্রতিরোধ কমিটির সভাপতি শুকদেব সরকার-সহ আন্দোলনকারী চার নেতার বিরুদ্ধে ওই দিন রাতেই অভিযোগ দায়ের করেন পুর কর্তৃপক্ষ। ডাম্পিং গ্রাউন্ড নিয়ে গত ৬ জানুয়ারি সদর মহকুমাশাসকের দফতরে পুরসভা ও আন্দোলনকারীদের ত্রিপাক্ষিক বৈঠকে ওই চারজনই উপস্থিত ছিলেন। বৈঠকে সিদ্ধান্ত হয়, বিকল্প ডাম্পিং গ্রাউন্ড তৈরির জন্য পুরসভাকে জমি দেবে প্রশাসন। সেই প্রক্রিয়া সম্পন্ন হতে চার মাস প্রয়োজন। ততদিন পাঙ্গার ডাম্পিং গ্রাউন্ডে পুরসভা ময়লা ফেলতে পারবে। চার মাস পরে পাঙ্গায় ময়লা ফেলা হবে না বলে বৈঠকে ঐক্যমত হয়। যদিও বৈঠকের কিছুদিন পরে পাঙ্গার আন্দোলনকারীরা চিঠি পাঠিয়ে জানিয়ে দেন তাঁরা এই সিদ্ধান্ত মানবেন না। পুরসভার ময়লা ফেলার কাজে বাধা দেওয়া অব্যাহত থাকে। আন্দোলনকারীদের বিরুদ্ধে কোতোয়ালি থানায় যে অভিযোগ দায়ের করা হয়েছে, সেখানে অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে সরকারি সিদ্ধান্ত মেনে নেওয়ার পরেও সরকারি কাজে বাধা দান এবং বৈঠকের সিদ্ধান্তে সহমত হয়েও পরে তা ভঙ্গ করে প্রতারণার অভিযোগ করা হয়েছে। এ দিন জলপাইগুড়ি সদর মহকুমাশাসক সাগর চক্রবর্ত্তী বলেন, “আমি বিশ্বাস করি আলোচনায় বিষয়টি মেটানো যাবে। পুরসভা বিকল্প ডাম্পিং গ্রাউন্ড তৈরির জমির বিষয়ে খোঁজখবর নিয়েছে। কয়েকদিনের মধ্যেই পুরসভাকে সেই জমি হস্তান্তর করা যাবে।” পাঙ্গা দূষণ প্রতিরোধ কমিটির সভাপতি বলেন, “আমরা সিদ্ধান্তে অনড়। পুরসভার ময়লায় পাঙ্গা এলাকাকে আর দূষিত করতে দেব না। সকলের সঙ্গে আলাচনা করে পরবর্তী পদক্ষেপ করা হবে।” অন্য দিকে, দু’দিন পর পর পুরসভা ময়লা ফেলতে না পারায়, শহরের ভ্যাটে ময়লা জমছে। বেশির ভাগ ভ্যাট ময়লায় উপচে পড়ছে। পুরসভার ভাইস চেয়ারম্যান পিনাকী সেনগুপ্ত বলেন, “পুরসভা নতুন জমি না পাওয়া পর্যন্ত কোথায় ময়লা ফেলবে তা প্রশাসন ঠিক করে দিক। প্রশাসনের উদ্যোগে মীমাংসা হয়েছিল। আন্দোলনকারীরা সেই সিদ্ধান্ত মানছেন না। আমরা প্রশাসনকে সব জানিয়েছি। আইনের দারস্থ হয়েছি।” |