টুকরো খবর
আবার গন্ডার হত্যা, ধৃত ১১ চোরাশিকারি
গন্ডার মেরে খড়্গ কেটে নিয়ে পালাল শিকারিরা। আর শিকারিদের ঘাঁটি খুঁজতে গিয়ে বন দফতরের জিপের চাকার তলায় পড়ে জখম হলেন এক রক্ষী। শেষ পর্যন্ত খড়্গ উদ্ধার না হলেও ‘স্নিফার’ কুকুরের সাহায্যে ঘটনায় জড়িত ১১ জনকে আটক করা হয়েছে। ঘটনাটি ঘটেছে কাজিরাঙার বাগরি রেঞ্জে। এই নিয়ে চলতি বছরে চোরাশিকারিদের হাতে তিনটি গন্ডার প্রাণ হারাল। বন দফতর সূত্রে খবর, গত কাল রাত সাড়ে ন’টা নাগাদ বাগরি রেঞ্জের কাওইমারি শিবিরের কাছে শিকারিরা একটি স্ত্রী-গন্ডারকে হত্যা করে। গুলির শব্দ পেয়ে বনরক্ষী ও হোমগার্ডরা শিকারিদের ধাওয়া করেন। দু’পক্ষে গুলির লড়াইয়ের পর শিকারিরা অন্ধকারে গা ঢাকা দেয়। আজ সকালে বনরক্ষী ও অরণ্য সুরক্ষা বাহিনী শিকারিদের ঘাঁটির সন্ধানে অভিযান শুরু করেন। পথে শাবক-সহ একটি স্ত্রী-গন্ডারের সামনে পড়ে বন দফতরের একটি জিপ। জিপ থেকে নেমে অনিল রাজবংশী নামে এক রক্ষী গন্ডার তাড়ানোর চেষ্টা করছিলেন। তখনই গন্ডারটি তেড়ে আসে। চালক জিপ পিছনে চালিয়ে দেন। পিছনে দাঁড়ানো অনিলবাবুর উপর দিয়ে জিপের চাকা চলে যায়। তাঁকে নগাঁও সিভিল হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। এরপর ‘স্নিফার’ কুকুর নিয়ে শিকারিদের সন্ধানে জঙ্গলে তল্লাশি চালানো হয়। তার সাহায্যে রক্তমাখা কুড়ুল খুঁজে পাওয়া যায়। জঙ্গলের মধ্যে অস্থায়ী কিছু কুটিরের সন্ধানও মেলে। ডিএফও দিব্যধর গগৈ জানান, জোরবা নামের কুকুরটি গন্ধ শুঁকে ১১ জন গ্রামবাসীকে সন্দেহ করায় তাদের আটক করা হয়। এদের জেরা করে, ৫ জনের সঙ্গে শিকারিদের যোগাযোগ থাকার প্রমাণ মিলেছে। শিকারিদের ধরতে তল্লাশি চলছে।

চা বাগানে হাতি বাড়ি ভাঙলে টাকা
হাতি বা চিতাবাঘের আক্রমণে চা-শ্রমিকের মৃত্যু হলে এক লক্ষ টাকা পর্যন্ত ক্ষতিপূরণ দেওয়ার নিয়ম রয়েছে। এ বার থেকে হাতির আক্রমণে চা বাগানের শ্রমিক-বস্তির বাড়িঘরের ক্ষতি হলেও ক্ষতিপূরণ দেবে রাজ্য সরকার। শুক্রবার এ কথা জানিয়ে বনমন্ত্রী হিতেন বর্মন দাবি করেন, এর আগে কখনওই চা-শ্রমিকদের এই ক্ষতিপূরণ দেওয়া হয়নি। মন্ত্রীর কথায়, “জঙ্গলের লাগোয়া গ্রামে হাতির হানায় বাড়িঘরের ক্ষতি হলে যদি টাকা দেওয়া হয়, তা হলে চা-শ্রমিকদেরও বঞ্চিত করা উচিত নয়।” চা বাগানের মালিকদের তিনটি সংগঠনের প্রতিনিধিদের নিয়ে এ দিন মহাকরণে বৈঠক করেন বনমন্ত্রী। চা-শ্রমিকেরা বাগান সংলগ্ন জঙ্গলে ঢুকে বেআইনি ভাবে জ্বালানির কাঠ সংগ্রহ করছেন বলে বাগানের মালিকদের কাছে অভিযোগ করেছেন বন দফতরের অফিসারেরা। মন্ত্রী বলেন, “এ বিষয়ে চা বাগানের মালিকদের সতর্ক করে দেওয়া হয়েছে। চা-শ্রমিকদের সঙ্গে স্থানীয় বেশ কিছু মানুষও এখন নিয়মিত জঙ্গল থেকে বেআইনি ভাবে জ্বালানির কাঠ সংগ্রহ করছেন বলে আমাদের কাছে খবর এসেছে।” তিনি জানান, চা বাগানের মালিকেরা আগে বন দফতরের নিলাম থেকে চা-শ্রমিকদের জন্য জ্বালানির কাঠ কিনতেন। মাঝখানে সেই ব্যবস্থা বন্ধ করে দেওয়া হয়েছিল। আবার সেটা শুরু করতে হবে। বনমন্ত্রী জানান, চা বাগানের ফাঁকা জমিতে নিয়মিত ধান চাষ হয় এবং সেই ধানের লোভেই হাতির দল চলে আসে চা বাগানের ভিতরে। ক্ষতি হয় শ্রমিক-বস্তির। ধানের পরিবর্তে তাই এ বার হাতিদের আকর্ষণ করে না, এমন ফসলের চাষ করার জন্য সেখানকার চাষিদের উৎসাহিত করা হবে। হিতেনবাবু জানান, হাতি ও চিতাবাঘের আক্রমণ থেকে বাঁচতে শ্রমিকদের কী কী করা উচিত, সেই বিষয়ে উত্তরবঙ্গের বিভিন্ন চা বাগান ঘুরে কর্মশালা করবে বন দফতর।

মন্দারমণিতে হোটেল তৈরি রুখল রাজ্য
বিদ্যুৎ নেই। হোটেলে হোটেলে জেনারেটর চলায় মন্দারমণির পরিবেশ ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে। এই অবস্থায় বিদ্যুৎ-সংযোগের ব্যবস্থা না-হওয়া পর্যন্ত সেখানে আর কোনও নতুন হোটেল তৈরি করা যাবে না। ওই পর্যটন কেন্দ্রে এই মুহূর্তে যে-সব হোটেল তৈরির কাজ চলছে, সেগুলির নির্মাণও বন্ধ রাখা হবে বলে শুক্রবার সরকারি নির্দেশে জানানো হয়েছে। এ দিন মহাকরণে পরিবেশমন্ত্রী সুদর্শন ঘোষদস্তিদার এবং আইনমন্ত্রী মলয় ঘটকের সঙ্গে এ ব্যাপারে বৈঠক করেন পুর ও নগরোন্নয়ন মন্ত্রী ফিরহাদ হাকিম। পরে ফিরহাদ জানান, গত ১২ জানুয়ারি মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় মন্দারমণি পরিদর্শনে যান। তখনই তিনি তাঁর এই সিদ্ধান্তের কথা জানিয়ে দিয়েছিলেন। শুক্রবার তা সরকারি ভাবে ঘোষণা করা হল। মন্ত্রী জানান, বামফ্রন্টের আমলে ৬৩টি হোটেল চালু হয় মন্দারমণিতে। কিন্তু এখনও ওই এলাকায় বিদ্যুৎ-সংযোগ নেই। তাই হোটেল চলে জেনারেটরে। এতে মন্দারমণির পরিবেশের ক্ষতি হচ্ছে। তাই বিদ্যুতের ব্যবস্থা না-হওয়া পর্যন্ত সেখানে হোটেল নির্মাণ স্থগিত রাখার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।

বাঘিনির দেহ মিলল জঙ্গলে
পূর্ণবয়স্ক এক বাঘিনির দেহ মিলল অসমের জঙ্গলে। ঘটনাটি ঘটেছে কাজিরাঙার লাগোয়া কার্বি আংলং-এর জঙ্গলে। বনবিভাগ সূত্রে খবর, আজ বিকেলে জঙ্গল থেকে পচা গন্ধ বের হওয়ায় রক্ষীরা তার উৎস সন্ধান করতে গিয়ে দেখেন বনের মধ্যে পড়ে রয়েছে বাঘিনির দেহ। সম্ভবত, দিন কয়েক আগেই জঙ্গলেরই পশুর মৃত্যু হয়েছে। বাঘিনির দেহটি উদ্ধার করে ময়না তদন্তের ব্যবস্থা করা হয়। স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, এই এলাকায় গত কয়েকদিন ধরেই বাঘিনিটি গবাদি পশু মারছিল। প্রাথমিক তদন্তে অনুমান, বিষ দিয়ে এই বাঘিনিকে মারা হয়েছে। ময়না তদন্তের পরে বাঘিনির যকৃৎ, পাকস্থলি ভিসেরা পরীক্ষায় পাঠানো হয়।

কাজিরাঙায় ব্ল্যাক প্যান্থার
কাজিরাঙা এলাকায় ব্ল্যাক প্যান্থারের সন্ধান মিলল। ডব্লিউডব্লিউএফ-এর ক্যামেরা ট্র্যাপিং-এ ব্ল্যাক প্যান্থার বা কালো চিতাবাঘের ছবি উঠেছে। এর আগে মানস জাতীয় উদ্যানে ক্যামেরা ট্র্যাপিং-এ কালো চিতাবাঘের ছবি উঠেছিল। ডব্লিউডব্লিউএফ পানবাড়ি, হলদিবাড়ি, কাঞ্চনজুরি, আমগুড়ি এলাকায় ক্যামেরা পেতেছে। কাজিরাঙা থেকে কার্বি আংলং-এ প্রাণী গতিবিধির উপরে নজর রাখতেই এই ব্যবস্থা। কাঞ্চনজুরি করিডর পার হওয়ার সময় কালো চিতাবাঘের ছবিটি ক্যামেরাবন্দি হয়েছে।

প্রধানের বিরুদ্ধে গাছ কাটার নালিশ
রাস্তার ধারে বনসৃজন প্রকল্পে রোপণ করা গাছ ‘বেআইনি’ ভাবে কাটার অভিযোগ উঠেছে সন্দেশখালি-২ ব্লকের দুর্গামণ্ডপ পঞ্চায়েতের সিপিএম প্রধানের মদতে। প্রধান অভিযোগ মানেননি। পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, সম্প্রতি ওই পঞ্চায়েতের দাউদপুর গ্রামে রাস্তার ধারে লাগানো বেশ কয়েকটি ইউক্যালিপটাস গাছ কাটা হয়। স্থানীয় তৃণমূল নেতা প্রকাশ মণ্ডলের অভিযোগ, “১৪০ নম্বর বুথ এলাকা থেকে প্রায় ৫০টি গাছ বেআইনি ভাবে কাটা হয়েছে। এর সঙ্গে জড়িত পঞ্চায়েত প্রধানের নামে থানা এবং বিডিও-র কাছে অভিযোগ জানানো হয়েছে।” পুলিশ জানিয়েছে, ঘটনার তদন্ত শুরু হয়েছে। অভিযোগ উড়িয়ে দিয়ে প্রধান রামকৃষ্ণ মণ্ডলের দাবি, “বালিয়া নদীর উপরে সাঁকো মেরামতির জন্য জরুরি প্রয়োজনে সংশ্লিষ্ট বিভাগের কাছ থেকে প্রয়োজনীয় অনুমতি নিয়ে ৫-৬টি গাছ কাটা হয়েছিল। সামান্য ঘটনা নিয়ে অযথা রাজনীতি করা হচ্ছে।”


First Page| Calcutta| State| Uttarbanga| Dakshinbanga| Bardhaman| Purulia | Murshidabad| Medinipur
National | Foreign| Business | Sports | Health| Environment | Editorial| Today
Crossword| Comics | Feedback | Archives | About Us | Advertisement Rates | Font Problem

অনুমতি ছাড়া এই ওয়েবসাইটের কোনও অংশ লেখা বা ছবি নকল করা বা অন্য কোথাও প্রকাশ করা বেআইনি
No part or content of this website may be copied or reproduced without permission.