খাল ও লকগেটের রক্ষণাবেক্ষণ জরুরি |
হুগলি জেলার পাণ্ডুয়া, দ্বারবাসিনী ও পোলবায় দামোদর ভ্যালি কর্পোরেশনের তিনটি সেকশন অফিস আছে। এই অফিসগুলির আওতায় ৩০-৩৫টি ক্যানাল আছে, যেগুলি ১৯৬০-এর দশক থেকে শুরু হয়ে দু’দশক ধরে খনন করা হয়েছে। দ্বারবাসিনী ও পোলবা অফিসের নিয়ন্ত্রণাধীন ডিভিসির ক্যানাল ব্রাঞ্চ ১ কাঁটাগড়। বেলুন পঞ্চায়েতের এলাকা হয়ে এটি পাইকারা পর্যন্ত প্রসারিত। এখান থেকে খালটি দু’ভাগ হয়েছে। একটি শাখা ১/৫ কোটালপুর পর্যন্ত এবং কোটালপুরে এটি দু’ভাগ হয়ে ১/৫ ও ১/৫এ নামে যথাক্রমে পাটনা, পোলবার মধ্যে দিয়ে গিয়ে বেলগেড়ে গ্রামে হুগলি সোয়াখালে মিশেছে। অন্যটি সুদর্শন, গোয়ালজোড় অতিক্রম করে পাউনান পর্যন্ত প্রবাহিত। পাইকারা থেকে মূল ক্যানালটি রাজহাটের কাছে সোয়াখালে পতিত হয়।
বন্যা নিয়ন্ত্রণ ছাড়াও এই খালগুলির মাধ্যমে বেলুন, ধামাসিন, আকনা, দ্বারবাসিনী, মহানাদ, পোলবা এবং পাউনান পঞ্চায়েত এলাকার বিস্তীর্ণ অঞ্চল জুড়ে বিপুল পরিমাণ কৃষিজমিতে শুখা ও রবি মরসুমে সেচের জল সরবরাহ হয়। সর্বত্র সেচের জল বণ্টনের সুবিধার জন্য কাঁটাগোড়, বেলুন, পাইকারা, শর্শা, কোটালপুর, পাটনা, পোলবা, সুদর্শন ও গোয়ালজোড়ে লকগেট বসানো হয়। এই সব খালগুলির দেখভাল ও লকগেটগুলির খোলা-বন্ধের কাজ দেখার জন্য ৩০ জন খালাসি নিযুক্ত ছিলেন। ১৯৯০ সালের গোড়ার দিক থেকে সেচের জন্য জলকর নেওয়া শুরু করে রাজ্য সরকার। কিন্তু ২০০০ সাল থেকে ওই কর্মচারীরা অবসর নিতে শুরু করেন। বর্তমানে ওই দু’টি অফিসে মাত্র ৮ জন খালাসি কর্মরত এবং তাঁরাও অবসরের মুখে। কিন্তু শূন্য পদে কোনও রকম নিয়োগ হয়নি। ফলে, খালগুলি নজরদারি ও সার্বিক দেখভালের অভাবে দীর্ঘ দিন ধরেই বর্ষার সময়টুকু বাদ দিলে বছরের বাকি অংশে কচুরিপানা ও জলজ উদ্ভিদে ঢাকা থাকে। সংস্কার ও ওয়েলডিং সময় মতো না হওয়ায় লকগেটগুলি ভেঙেচুরে অকেজো হয়ে পড়েছে। তার অংশ খুলে খুলে নিয়ে গিয়েছে দুষ্কৃতীরা। বিভিন্ন সময়ে ছাড়া জল এখন সর্বত্র পৌঁছয় না। খালে বড় বড় বাঁধ দিয়ে আপারেই জোর করে জল আটকে রাখা হয়। এ নিয়ে চাষিদের মধ্যে ক্ষোভ আছে। প্রয়োজনে সেচের জল না পেয়ে ভূগর্ভস্থ জল তোলা হয় বিপুল পরিমাণে। ফলে ভূগর্ভের জলস্তর নামছে হু হু করে। অচিরেই সেখানেও দেখা দেবে সঙ্কট। অথচ নির্বিকার ডিভিস কর্তৃপক্ষ। ডিভিসি বা রাজ্য সরকারের সেচ দফতর এ দিকে নজর না দিলে সমূহ বিপদ।
মহসীন দরগাই। গ্রাম: সুদর্শন।
|
সুলভ শৌচাগার চাই ডোমজুড়ে |
হাওড়া-আমতা রোডের উপরে একটি গুরুত্বপূর্ণ স্টেশন ডোমজুড়। এই এলাকায় সরকারি-বেসরকারি অনেকগুলি ব্যাঙ্ক, শিক্ষা প্রতিষ্ঠান আছে। গয়না শিল্পের বড় মার্কেটও আছে। প্রচুর মানুষ নানা প্রয়োজনে প্রতি দিন এখানে যাতায়াত করেন। এ কারণেই এলাকায় একটি সুলভ শৌচাগার খুবই দরকার। জমির কিছু অসুবিধা আছে। সে জন্য জেলা পরিষদের কাছে অনুরোধ, নির্মীয়মাণ ডোমজুড় বাসস্ট্যান্ডের কাছে একটি সুলভ শৌচাগার তৈরির ব্যবস্থা করুক।
সোমনাথ চক্রবর্তী। উত্তর ঝাঁপরদহ, ডোমজুড়।
|
চিকিৎসা পরিষেবা উন্নত করা দরকার |
দক্ষিণ দুইল্যা এবং সন্নিহিত গ্রামগুলিতে প্রচুর জনসংখ্যা। অথচ চিকিৎসা পরিষেবা খুবই খারাপ। ডাক্তার পাওয়া মুশকিল। যাতায়াত সমস্যার ফলে বয়স্ক মানুষেরা ভয়ে ভয়ে থাকেন। এই এলাকার চিকিৎসা পরিষেবা উন্নতির খুবই দরকার।
জয়ন্ত মুখোপাধ্যায়। দক্ষিণ দুইল্যা, আন্দুল। হাওড়া।
|
হাওড়া জেলার জগৎবল্লভপুর পঞ্চায়েত সমিতির অন্তর্গত শঙ্করহাটি ২ পঞ্চায়েতের বিভিন্ন গ্রামে বিপিএল কার্ডধারীদের বিদ্যুতের লাইন দেওয়া হলে খুবই উপকৃত হবেন মানুষ।
গোপীকান্ত মেথুর। মুন্সিরহাট।
|
ভদ্রেশ্বর স্টেশন থেকে কেজিআরএস পথ, আরবিএস রোড, জগদ্ধাত্রীতলা রোড, কয়লাডিপো এবং জিটি রোড হয়ে অ্যাঙ্গাস পোস্ট অফিস পর্যন্ত একটি নতুন অটো রুট চালু করা খুবই দরকার। কয়লাডিপো থেকে ভদ্রেশ্বর স্টেশন পর্যন্ত রিকশা ভাড়া ২০ টাকা। ফলে, এই অঞ্চলের বাসিন্দাদের ২০ টাকা ভাড়া দিয়ে ভদ্রেশ্বর স্টেশন পর্যন্ত যেতে হয়। এই রুটে অটো চালু হলে ধর্মতলা স্কুল, কয়লাডিপো, ইএসআই হাসপাতাল, ব্রেথওয়েট কারখানা, অ্যাঙ্গাস জুটমিল এবং গৌরহাটি যাতায়াতে খুবই সুবিধা হবে।
কালীশঙ্কর মিত্র। জগদ্ধাত্রীতলা রোড, ভদ্রেশ্বর, হুগলি।
|
অবিলম্বে রাস্তা সারানো দরকার |
হুগলির পুড়শুড়া থেকে হাওড়ার উদয়নারায়ণপুর পর্যন্ত গ্রামীণ সড়কটি দীর্ঘ দিন ধরে সংস্কার না হওয়ায় চলাচলের অযোগ্য হয়ে পড়েছে। এবড়োখেবড়ো, খানাখন্দময় রাস্তা দিয়ে প্রত্যন্ত গ্রামের মানুষকে যাতায়াত করতে হয়। রোগীদের চিকিৎসা কেন্দ্র পর্যন্ত নিয়ে যাওয়া দুঃসাধ্য। এই রাস্তার উপরেই আছে আল আমিন মিশনের কেন্দ্রীয় কার্যালয়। ছাত্রছাত্রীরা ঝক্কির মধ্যে দিয়ে পৌঁছয় সেখানে। এই রাস্তা সংস্কার হওয়া খুবই দরকার।
শুকুর আলি। চাকুন্দি, হুগলি। |