লক্ষ্য পঞ্চায়েত ভোট: এআইসিসি-র ‘নির্দেশে’ কমিটির সদস্য সংখ্যা বৃদ্ধি |
গ্রামীণ উন্নয়নে কেন্দ্রীয় সরকারের বিভিন্ন জনমুখী প্রকল্পের কাজ কতটা কার্যকর হয়েছে তা খতিয়ে দেখতে দলীয় ‘মনিটরিং কমিটি’র সদস্য সংখ্যা বৃদ্ধি করার জন্য প্রদেশ নেতৃত্বকে ‘নির্দেশ’ দিয়েছে এআইসিসি। সেই নির্দেশ মেনেই আরও ৯ জনকে সদস্য করা হয়েছে বলে মনিটরিং কমিটির চেয়ারম্যান ও বিধায়ক অজয় দে বুধবার জানিয়েছেন। এবার যে ন’জনকে সদস্য করা হয়েছে তাঁদের মধ্যে রয়েছেন রাজ্য মন্ত্রিত্বে সদ্য ইস্তফা দেওয়া বহরমপুরের বিধায়ক মনোজ চক্রবর্তী, প্রাক্তন কেন্দ্রীয় মন্ত্রী দেবী পাল, রাজ্যের বর্তমান মন্ত্রী সাবিনা ইয়াসমিন প্রমুখ। বস্তুত, পঞ্চায়েত ভোটে গ্রামের দরিদ্র মানুষের কল্যাণে কেন্দ্রের কংগ্রেস জোট সরকারের প্রকল্পগুলিকেই ‘হাতিয়ার’ করতে চান দলীয় নেতৃত্ব। পাশাপাশি সেই সমস্ত প্রকল্প রূপায়নে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সরকার কতটা কী করছে তা ‘গুরুত্ব’ দিয়ে ‘পর্যবেক্ষণ’ করার জন্য মনিটারিং কমিটিকে ‘মজবুত’ করা হচ্ছে। প্রদেশ কংগ্রেসের এক শীর্ষ নেতার কথায়, “দেশের সর্বত্রই কেন্দ্রের জনমুখী প্রকল্প যা ‘ফ্ল্যাগসিপ প্রোগ্রাম’ বলে পরিচিত তা কতটা কার্যকর হচ্ছে তা দেখার জন্য রাজ্যে রাজ্যে দলের পক্ষ থেকে মনিটারিং কমিটি করা হয়েছে। কিন্তু এখানে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের নেতৃত্বে যে সরকার চলছে সেখানে কাজ কেমন হচ্ছে তা দেখতে বিশেষ গুরুত্ব দেওয়া হয়েছে।” এই প্রসঙ্গে অজয়বাবু বলেন, “রাজ্য স্তরে কমিটির সদস্য সংখ্যা ১৬ থেকে বাড়িয়ে ২৫ জন করা হয়েছে। সেইসঙ্গে জেলা স্তরের কমিটিগুলির চেয়ারম্যানও করা হয়েছে। এ মাসের মধ্যেই প্রতিটি ব্লকে কমিটি গঠন করে কাজ শুরু করার নির্দেশও এআইসিসি দিয়েছে।” প্রদেশ কংগ্রেস নেতাদের একাংশের ব্যাখ্যায়, পঞ্চায়েত ভোটে কেন্দ্রীয় সরকার এ রাজ্যের গ্রামীণ উন্নয়নে কী প্রকল্প করেছে, বিপরীতে সেই প্রকল্পগুলির কাজে রাজ্য সরকার কতটা ‘সফল’ তা তুলে ধরার চেষ্টাও হবে। সেই লক্ষ্যেই কমিটির কাজে কংগ্রেস নেতৃত্ব গুরুত্ব দিচ্ছেন।
|
সুব্রতর সঙ্গে বৈঠকে আজ দরাজ রমেশ |
রাজ্যে জোটের জল যতই ঘোলা হোক, মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় সরকারকে ফের সৌহার্দ্যেরই বার্তা দিচ্ছে কেন্দ্রীয় সরকার। আগামিকাল দিল্লির কৃষি ভবনে রাজ্যের পঞ্চায়েতমন্ত্রী সুব্রত মুখোপাধ্যায়ের সঙ্গে বৈঠকে বসবেন কেন্দ্রীয় গ্রামোন্নয়নমন্ত্রী জয়রাম রমেশ। রাজ্যের তিন জেলার জল প্রকল্প-সহ গ্রামাঞ্চলের পরিকাঠামোগত বেশ কিছু প্রকল্পে কেন্দ্র চূড়ান্ত অনুমোদন দিতে পারে ওই বৈঠকেই। সম্প্রতি রাজ্য সফরে এসে মমতার সঙ্গে দেখা না হলেও রমেশ জানিয়ে গিয়েছিলেন, পশ্চিমবঙ্গের জল প্রকল্পের কাজের অগ্রগতিতে দিল্লি খুশি। আজ দিল্লিতে পশ্চিমবঙ্গেরই ‘স্বার্থে’ কেন্দ্রীয় অর্থমন্ত্রী প্রণব মুখোপাধ্যায়ের কাছে দরবার করেন রমেশ। আসন্ন বাজেটে দক্ষিণ ২৪ পরগনা, পুরুলিয়া এবং বাঁকুড়ায় মোট তিন হাজার কোটিরও বেশি টাকা ব্যয়ের চারটি জল প্রকল্পে অনুমোদন দেওয়ার জন্য প্রণববাবুর কাছে আর্জি জানিয়েছেন রমেশ। পশ্চিমবঙ্গের দিকে তাঁর যে বিশেষ নজর রয়েছে, সেই বার্তা মমতাকে একাধিক বার দিয়েছেন জয়রাম। মমতাও অনেক সময়ে জয়রামের পরামর্শ গুরুত্ব দিয়ে বিবেচনা করেছেন। বস্তুত, গত ডিসেম্বরে মমতা যখন রাজ্যের তৎকালীন পঞ্চায়েতমন্ত্রী চন্দ্রনাথ সিংহকে সরিয়ে সুব্রতবাবুকে আনেন, তখন সেই দফতর বদলের পিছনে জয়রামের একটি চিঠির বিশেষ ভূমিকা ছিল। জয়রাম আজ যে প্রকল্পগুলির দিকে প্রণববাবুর দৃষ্টি আকর্ষণ করেছেন, সেগুলির মধ্যে দক্ষিণ ২৪ পরগনার প্রকল্পটিতে বিশ্বব্যাঙ্কের টাকা দেওয়ার কথা, পুরুলিয়া ও বাঁকুড়ার দু’টি প্রকল্পে সহায়তা করবে জাপানের জেআইসিএ। বাঁকুড়ার অন্য প্রকল্পটি পিছিয়ে পড়া এলাকার জন্য মঞ্জুরি তহবিলের আওতাভুক্ত।
|
উচ্চ মাধ্যমিকে অ্যাডমিট কার্ডে থাকবে রুটিনও |
পরীক্ষার দিন-বিভ্রাট ঠেকাতে উচ্চ মাধ্যমিকের অ্যাডমিট কার্ডেই ছাপা থাকবে পরীক্ষার্থীর রুটিন। উচ্চ মাধ্যমিক শিক্ষা সংসদ চলতি বছর থেকেই এই ব্যবস্থা চালু করছে। সংসদের সভাপতি মুক্তিনাথ চট্টোপাধ্যায় বুধবার বলেন, “কোনও ছাত্র বা ছাত্রী যাতে কোনও ভাবেই পরীক্ষার দিন গোলমাল করে না-ফেলে, সেই জন্যই এই ব্যবস্থা।” কারও যদি সংশয় থাকে, অ্যাডমিট কার্ড থেকেই পরীক্ষার্থীরা রোজকার পরীক্ষার কথা জেনে নিতে পারবেন। উচ্চ মাধ্যমিকের প্র্যাক্টিক্যাল পরীক্ষার সময়সীমা বাড়ানো হচ্ছে বলেও জানিয়েছেন সভাপতি। এ দিন তিনি বলেন, “জানুয়ারির ৪ থেকে ২০ তারিখের মধ্যে স্কুলগুলির প্র্যাক্টিক্যাল পরীক্ষা নেওয়ার কথা ছিল। কিন্তু ৬৭টি স্কুল সময়মতো পরীক্ষা নিতে পারেনি। তারা পরীক্ষার দিন বাড়ানোর জন্য আবেদন জানিয়েছে।” পদার্থবিদ্যা, রসায়ন, প্রাণিবিদ্যা ও ভূগোলের প্র্যাক্টিক্যাল পরীক্ষায় সব থেকে বেশি সমস্যা হয়েছে বলে জানান সংসদ-সভাপতি। তিনি বলেন, “প্র্যাক্টিক্যাল পরীক্ষা নেওয়ার সময়সীমা ১০ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত বাড়ানো হয়েছে।” আজ, বৃহস্পতিবার থেকে সংসদের অফিসে প্র্যাক্টিক্যালের পুরনো প্রশ্ন জমা দিয়ে নতুন প্রশ্নপত্র সংগ্রহ করা যাবে।
|
রাজ্যে যুব আবাসের নতুন সাজ |
রাজ্যের জীর্ণ ও অব্যবহৃত যুব আবাসগুলির ভোল বদলাতে চায় সরকার। ওই সব আবাসে বিভিন্ন স্তরের পড়ুয়াদের অল্প টাকায় সাময়িক ভাবে থাকার ব্যবস্থা হবে। সম্প্রতি এ কথা জানান যুবকল্যাণ মন্ত্রী অরূপ বিশ্বাস। যুব আবাসগুলি ফের চালু করতে কত খরচ হবে, তার সমীক্ষা চলছে। অরূপবাবু বলেন, “এই ধরনের আবাস আছে ২২টি। তার অর্ধেকের বেশি বন্ধ হয়ে আছে। শিলিগুড়িতে একটি যুব আবাস চালু করা হবে।” তিনি আরও জানান, শিক্ষামূলক আলোচনা এবং ভ্রমণে আগের চেয়ে অনেক বেশি পড়ুয়া বিভিন্ন জায়গায় যাচ্ছেন। মেরামতির পরে ওয়েবসাইটে এবং বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে যুব আবাসের ঠিকানা ও ফোন নম্বর দিয়ে দিলে ওঁরা উপকৃত হবেন। |