ব্যাঙ্কের ভিতর থেকে উধাও হয়ে গেল টাকা ভর্তি ব্যাগ। অরঙ্গাবাদে একটি রাষ্ট্রায়ত্ত ব্যাঙ্কের শাখায় বুধবার বেলা ১২টা নাগাদ স্থানীয় এক বিড়ি কারখানার কর্মী খুরশেদ আলি ব্যাঙ্ক থেকে ওই টাকা তুলে তা ব্যাগে রেখে একটি ফর্মপূরণ করছিলেন। তাঁর বক্তব্য, “৬ লক্ষ ৬৫ হাজার টাকা তুলেছিলাম। তারপরে তা ব্যাগে ভরে ব্যাগটি টেবিলে রেখেছিলাম। তারপরে একটি ফর্মে আঠা দিয়ে ছবি আটকাচ্ছিলাম। সামান্য অন্যমনস্ক হয়ে পড়েছিলাম কয়েকটা মুহূর্ত। হঠাৎ টেবিলে তাকিয়ে দেখি ব্যাগটা উধাও।” তিনি সঙ্গে সঙ্গে সে কথা সবাইকে বলেন। ঘরের মধ্যে থেকেই ব্যাগটা উধাও হয়ে যাওয়ায় ব্যাঙ্কে শোরগোল পড়ে যায়। শুরু হয়ে যায় খোঁজাখুঁজি। কিন্তু ব্যাগটি পাওয়া যায়নি। তবে ওই ব্যাঙ্কে সিসিটিভি রয়েছে। কিন্তু তা দেখে পরিষ্কার বোঝা যায়নি, ব্যাগটি কে নিয়েছেন। সুতি থানার তদন্তকারী অফিসার প্রদীপ মিশ্র বলেন, “সিসিটিভির ক্যামেরা থেকে ওই সময়ের ঘটনাগুলি কিছুই ধরা পড়েনি। ওই ক্যামেরায় যে দৃশ্য ধরা পড়েছে তা ঘটনার আগের। তারপরেই ওই ক্যামেরা বিকল হয়ে গিয়েছে বলে ব্যাঙ্ক কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে।” ওই ব্যাঙ্কের ম্যানেজার অলক চৌধুরীও বলেন, “সিসিটিভিটি’তে যে দৃশ্য ধরা পড়েছে, তা থেকে বোঝা যাচ্ছে না কে ব্যাগটি নিয়েছে।” তবে প্রদীপবাবু বলেন, “ব্যাঙ্ক কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, বৃহস্পতিবার বহরমপুর থেকে বিশেষজ্ঞদের নিয়ে গিয়ে ওই ক্যামেরা পরীক্ষা করানো হবে। তাতে ওই সময়ের দৃশ্যগুলি উদ্ধার করার চেষ্টা হবে।” পুলিশ জানিয়েছে, সব দিকই খতিয়ে দেখে তদন্ত শুরু হয়েছে। ওই রকম ব্যাগ হাতে কাউকে ওই দিন ব্যাঙ্ক থেকে বেরোতে কেউ দেখেছেন কি না, তা নিয়েও তদন্ত শুরু হয়েছে। যে বিড়ি সংস্থার ওই টাকা খোয়া গিয়েছে, তার মালিক রেজাউল করিম বলেন, “কে চুরি করেছে, সে সম্পর্কে আমাদের কোনও ধারণাই নেই। সিসিটিভি থেকেই কে ব্যাগটি নিয়েছেন, তা সব থেকে ভাল বোঝা যেত। তবে যে কর্মী ওই টাকা ব্যাঙ্ক থেকে তুলতে গিয়েছিলেন, তিনি খুবই বিশ্বস্ত। এর আগে তিনি অনেক বেশি টাকা লেনদেন করেছেন, তাঁকে সন্দেহ করার কোনও প্রশ্নই ওঠে না।” |