টুকরো খবর
মিশরে রক্তক্ষয়ী ফুটবল দাঙ্গায় মৃত অন্তত ৭৩
মিশরে বুধবার এক রক্তক্ষয়ী ফুটবল দাঙ্গায় কমপক্ষে ৭৩ জনের মৃত্যু হয়েছে। মর্মান্তিক এই ঘটনাটি ঘটেছে সে দেশের পোর্ট সৈয়দ শহরে। বুধবার স্থানীয় লিগে আল মাসরির সঙ্গে খেলা ছিল আল আহালির। ম্যাচ শেষ হতেই দু’দলের সমর্থকেরা মাঠে নেমে মারাত্মক মারামারি শুরু করে। সে দেশের টেলিভিশনের খবর অনুযায়ী, মৃতের সংখ্যা আরও অনেক বাড়তে পারে। ঘটনায় আহত হয়েছে অসংখ্য মানুষ। মৃতদের অনেকেই নিরাপত্তাকর্মী বলেও খবর।
অগ্নিগর্ভ স্টেডিয়াম। পোর্ট সৈয়দে। ছবি: এএফপি
বিবিসি-র প্রতিবেদক কায়রো থেকে জানাচ্ছেন, খেলা দেখতে আসা দর্শকদের অনেকেই নাকি ধারাল সব অস্ত্র নিয়ে মাঠে ঢুকে ছিল। নিরাপত্তার গলদেই এত প্রাণহানি বলে অনুমান। টিভিতে ঘটনার ফুটেজে দেখা গিয়েছে, দু’দলের সমর্থকেরা মাঠে নেমে একে অন্যকে তাড়া করছে। এমনকি ফুটবলাররাও এই আক্রমণের হাত থেকে রেহাই পাননি। অনেকে মাঠের এক ধারে কোণঠাসা অবস্থায় মার খেয়েছেন। স্টেডিয়ামের একটি অংশে আগুনও ধরিয়ে দেওয়া হয়। মিশরের ফুটবল ভক্তদের এমনিতেই দাঙ্গাবাজ বলে বদনাম আছে। বিশেষ করে আল আহালির সমর্থকরা তো যে কোনও সময় ঝামেলা বাধিয়ে দেয়। এমনকি রাজনৈতিক দাঙ্গাতেও এই ক্লাবের সমর্থকরা সিদ্ধহস্ত । বুধবারের ম্যাচে আন্ডারডগ পোর্ট সৈয়দের ক্লাব আল মাসরি ৩-১ গোলে জেতে। তারপরই ক্ষিপ্ত হয়ে ওঠে আল আহালির সমর্থকেরা। মাঠে নেমে পড়ে তারা কার্যত খুনির চেহারা নেয়। মিশরের ফুটবল ইতিহাসে এত বড় দাঙ্গা আর কখনও হয়নি। মারা যায়নি এত মানুষও। ঘটনার পরিপ্রেক্ষিতে মিশরের প্রিমিয়ার লিগের সব খেলা বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে। সে দেশের সংসদও জরুরি অধিবেশন ডেকেছে।

ছাড়া পেলেন আমের
শাস্তির নির্ধারিত সময়সীমা শেষ হওয়ার আগেই জেল থেকে ছাড়া পেয়ে গেলেন মহম্মদ আমের। স্পট-ফিক্সিং কাণ্ডে অভিযুক্ত পাক পেসারকে পোর্টল্যান্ড ইয়ং অফেন্ডার্স ইনস্টিটিউশনে ছ’মাস থাকার শাস্তি দেওয়া হয়েছিল ২০১১ নভেম্বরে। একটি সূত্রের খবর, জেলে থাকাকালীন ভাল ব্যবহারের জন্য আমেরের শাস্তির মেয়াদ কমে যায়। তাই তিন মাস পরেই আজ ছাড়া পেয়ে গেলেন তিনি। আমের দেশে ফেরার আগে লন্ডনে কয়েক সপ্তাহ কাটাবেন বলে খবর। সেখানে তাঁর আইনজীবীদের সঙ্গে আলোচনা করে আইসিসি-র দেওয়া পাঁচ বছরের নির্বাসনের বিরুদ্ধে আদালতে আবেদন করার পদ্ধতি ঠিক করবেন আমের। ২০১০ সালে ইংল্যান্ডের বিরুদ্ধে লর্ডসে একটি টেস্ট ম্যাচে ইচ্ছাকৃত নো-বল করার অভিযোগে আদালতে নিয়ে যাওয়া হয়েছিল আমের এবং তাঁর দুই সতীর্থ সলমন বাট ও মহম্মদ আসিফ-কে। বাটের আড়াই বছর এবং আসিফের এক বছরের জেল হয়।

মেহতাব-দীপক বঞ্চিত রইলেন জাতীয় দলে
নেপালে এএফসি চ্যালেঞ্জ কাপের জন্য ভারতীয় শিবিরে ডাক পেলেন বাংলার এগারো জন ফুটবলার। ধারাবাহিকতা দেখিয়েও স্যাভিও মিডেইরার মন পাননি দীপক মণ্ডল, মেহতাব হোসেন, ডেনসন দেবদাস। দলে ঢুকে গেলেন অনেক চোট পাওয়া ফুটবলারও। স্যাভিও এখন কল্যাণীতে এসেছেন। থাকবেন চার তারিখ পর্যন্ত। সেখানে চলছে অনূর্ধ্ব ১৪ শিবির। কেন দীপক, মেহতাবরা বাদ? দীপক দুর্দান্ত খেলছেন। তিনি জানিয়ে দিয়েছেন, অবসর নিচ্ছেন না। জাতীয় দলে ডাক পেলে খেলবেন। স্যাভিও বললেন, “আমার পরিকল্পনার মধ্যে দীপক বা মেহতাব পড়ছে না। ওদের পরে মনে করলে নিশ্চয়ই ডাকা হবে।” ক্লাইম্যাক্স লরেন্স ক্ষোভে অবসর নিলেও তাঁর সম্পর্কে একই কথা স্যাভিওর। স্যাভিওর ডাক পেলেন মোহনবাগানের সুনীল ছেত্রী, রহিম নবি, জুয়েল রাজা, কিংশুক দেবনাথ, আনোয়ার আলি, মনীশ মৈথানি। শিবিরে আছেন ইস্টবেঙ্গলের গুরপ্রীত সিংহ, নির্মল ছেত্রী, রাজু গায়কোয়াড ও ভাসুম। প্রয়াগ ইউনাইটেড থেকে অর্ণব মন্ডল। নামীদের মধ্যে বাদ রাকেশ মাসি।

সাউথ ক্লাবে তারকাহীন জাতীয় টেনিস
জাতীয় গ্রাসকোর্ট টেনিস সাউথ ক্লাবে বসছে আগামী সোমবার। সব বিভাগের ফাইনাল ১১ ফেব্রুয়ারি। ডেভিসকাপাররা তো বটেই, পুরুষ এবং মেয়েদের বড় নাম কাউকেই দেখা যাবে না কলকাতায়। সানিয়া মির্জা-ভামব্রি বোনেরা, গত বারের জাতীয় চ্যাম্পিয়ন কাইরা শ্রফের অনুপস্থিতিতে মেয়েদের শীর্ষ বাছাই স্থানীয় প্লেয়ার শিবিকা বর্মন। ঘরোয়া র্যাঙ্কিংয়ে শিবিকা দেশের ৯ নম্বর। এ ছাড়া পরিচিত নাম অঙ্কিতা রায়না ও বর্ষীয়ান রুশ্মি চক্রবর্তী। পুুরষ সিঙ্গলসে গত বারের চ্যাম্পিয়ন সুরেশ কৃষ্ণ ঘরোয়া র্যাঙ্কিংয়েও এতটাই নেমে গিয়েছেন যে, তাঁকে এ বার ওয়াইল্ড কার্ড দিয়ে খেলানো হচ্ছে। শীর্ষ বাছাই সাকেত মিনেনি। তবে নীতেন কীর্তনে বাদে পুরুষ বিভাগেও পরিচিত নাম নেই। সব মিলিয়ে একদা ঐতিহ্যময় চ্যাম্পিয়নশিপ এ বার নমো নমো করে হবে। গড়পড়তা প্লেয়াররাও পেশাদার সার্কিটে খেলাকে অগ্রাধিকার দেওয়ায়। কারণ সামান্য একটা আইটিএফ টুর্নামেন্টের পুরস্কারমূল্যও জাতীয় চ্যাম্পিয়নশিপের চেয়ে অনেক বেশি।

কেকেআর ঠিক রাস্তায় এগোচ্ছে, বললেন শাহরুখ
আইপিএল ফাইভ নিলামের আগে শাহরুখ খান বলে দিলেন, নতুন ক্রিকেটার কেনার ব্যাপারে ঠিক রাস্তায় যাচ্ছে কলকাতা নাইট রাইডার্স। কেকেআর মালিক জানিয়েছেন, বৃহস্পতিবার নতুন কোচ ট্রেভর বেলিসের সঙ্গে প্রথম দেখা করবেন। “কাল মুম্বইতে ট্রেভরের সঙ্গে দেখা করব। ওরা নিলামের প্রস্তুতি কী ভাবে করছে তার খুঁটিনাটি আমি জানি না। ক্রিকেটীয় সব সিদ্ধান্ত গৌতম গম্ভীর এবং সাপোর্ট স্টাফ নেয়। কাল রাতে সব জানতে পারব,” এ দিন বলেছেন শাহরুখ। প্রসঙ্গত, ৪ ফেব্রুয়ারির নিলামে লক্ষ্মণ, শ্রীসন্থ, রবীন্দ্র জাদেজা-সহ ১৪৪ জন ক্রিকেটারের ভাগ্য নির্ধারণ হবে।

এক আম্পায়ারেই শুরু ম্যাচ
স্থানীয় ক্রিকেটে আম্পায়ারিং-বিতর্ক চলছেই। বুধবারের ঘটনাটি ঘটল ক্রিকেট ক্লাব অব ঢাকুরিয়া বনাম ক্যালকাটা পুলিশ ক্লাবের দ্বিতীয় ডিভিশন ম্যাচে। রবীন্দ্র সরোবর মাঠে খেলা শুরুর পাঁচ-সাত ওভার পরে মাঠে পৌঁছন দ্বিতীয় আম্পায়ার। সিএবি-র পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, ম্যাচের পরে আম্পায়ারদের রিপোর্ট জমা পড়লে এ বিষয়ে এগোনো হবে। এ দিকে, প্রথম ডিভিশন লিগে সেঞ্চুরি করলেন শ্যামবাজারের শমীক কর্মকার (১২১)। স্পোর্টিং ইউনিয়নের বিরুদ্ধে ২৪৭ অলআউট শ্যামবাজার। কালীঘাটের বিরুদ্ধে দক্ষিণ কলিকাতা সংসদ ৩২৮-৮। সেঞ্চুরি করলেন বিক্রম ভরিয়াল (১২২)। ডালহৌসির বিরুদ্ধে কুমোরটুলি ৪৩০-৫। কৌশিক ঘোষ ১৩১, অভিষেক যাদব ১১০। রাজস্থান ক্লাবের বিরুদ্ধে ১৫০ রান করলেন আনন্দবাজার স্পোর্টস ক্লাবের (৩৯৮-৭) শমীক চন্দ্র।

মহমেডানের চার গোল
দ্বিতীয় ডিভিশন আই-লিগ উদ্বোধনী ম্যাচে মহমেডান ৪-১ গোলে উড়িয়ে দিল রামন বিজয়নের কেজিএফ অ্যাকাডেমিকে। প্রতি অর্ধে দুটি করে গোল। প্রথম কয়েক মিনিট ছাড়া বিজয়নের দল প্রতিরোধ গড়তে পারেনি অলোক মুখোপাধ্যায়ের দলের বিরুদ্ধে। মহমেডানের হয়ে গোল করেন স্ট্যানলি, শঙ্কর শীল, সুরাবুদ্দিন ও অ্যালফ্রেড। মহমেডানের পরের প্রতিদ্বন্দ্বী ভাস্কো। এ দিকে, শিলচরে সাদার্ন সমিতি ৩-০ হারাল ঈগল এফসি-কে।

অন্য খেলায়
বেহালা সবেদাবাগান ক্লাবের সর্বভারতীয় ম্যারাথনে রবিবার দৌড়বেন ২৫০ জন। পুরষ্কার দেবেন দোলা বন্দ্যোপাধ্যায়।
রহড়া সঙ্ঘশ্রী অ্যাথলেটিক ক্লাবের পরিচালনায় ১৫তম আমন্ত্রণী ফুটবল টুর্নামেন্ট চলবে ১১ এবং ১২ ফেব্রুয়ারি, ক্লাবের মাঠে।

বৃহস্পতিবারে: আই লিগ
পৈলান অ্যারোজ : সালগাওকর
(যুবভারতী ২-০০)।




First Page| Calcutta| State| Uttarbanga| Dakshinbanga| Bardhaman| Purulia | Murshidabad| Medinipur
National | Foreign| Business | Sports | Health| Environment | Editorial| Today
Crossword| Comics | Feedback | Archives | About Us | Advertisement Rates | Font Problem

অনুমতি ছাড়া এই ওয়েবসাইটের কোনও অংশ লেখা বা ছবি নকল করা বা অন্য কোথাও প্রকাশ করা বেআইনি
No part or content of this website may be copied or reproduced without permission.