মাছ ধরতে গিয়ে বাঘের হানায় জখম |
সুন্দরবনের নদীতে মাছ ধরতে গিয়ে বাঘের হানায় গুরুতর জখম হলেন এক মৎস্যজীবী। রবিবার বিকেলে গোসাবার আড়াভাঙ্গা নদীতে ওই ঘটনা ঘটলেও জগন্নাথ মণ্ডল নামে আহত ওই মৎস্যজীবীকে বুধবার গোসাবা ব্লক হাসপাতালে ভর্তি করানো হয়। বন দফতর ও স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, জগন্নাথবাবু বালি-১ পঞ্চায়েতের সত্যনারায়ণপুর গ্রামের বাসিন্দা। গত শুক্রবার গ্রামের ৪ জনের সঙ্গে ডিঙি নৌকা নিয়ে তিনি সুন্দরবনের নদীতে মাছ ধরতে যান। রবিবার আড়াভাঙা জঙ্গলের ধার ঘেঁষে সকলে ডিঙি নৌকায় বসেই মাছ ধরছিলেন। সেই সময়ে একটি বাঘ পিছন থেকে জগন্নাথবাবুর উপরে হামলা চালায়। তাঁর ঘাড়ের কাছে আঁচড়ে-কামড়ে দেয়। সঙ্গীরা বৈঠা দিয়ে মারধর করলে বাঘটি পালায়। ওই এলাকা থেকে বালি-১ পঞ্চায়েতে ফিরতে প্রায় দু’দিন সময় লাগে। জগন্নাথবাবুকে আড়াভাঙার কাছেই স্থানীয় ভআবে চিকিৎসা করিয়ে বুধবার ফিরিয়ে নিয়ে আসা হয়। সুন্দরবন ব্যাঘ্র প্রকল্পের ফিল্ড ডিরেক্টর সুব্রত মুখোপাধ্যায় বলেন, “মাছ ধরতে গিয়ে গোসাবার এক মৎস্যজীবী বাঘের হানায় জখম হয়েছেন। তিনি কোর এরিয়ায় মাছ ধরছিলেন বলে জানা গিয়েছে।”
|
গরুমারায় বনকর্মীদের গুলিতে মৃত দুষ্কৃতী গোবিন মুণ্ডা বন সুরক্ষা কমিটির সদস্য ছিলেন। বুধবার ঘটনাটি প্রকাশ্যে আসার পরে অস্বস্তিতে পড়ে গিয়েছেন বনকর্তারা। মঙ্গলবার বনকর্মীরা টহলদারির সময়ে দুষ্কৃতীদের গরুমারার কোর এরিয়ায় কাঠ কাটতে দেখে বাধা দেন। অভিযোগ, দুষ্কৃতীরা হামলার চেষ্টা করে। এই পরিস্থিতি প্রাণ বাঁচাতে বনকর্মীরা ছর্রা চালালে বামনি বনবস্তির গোবিন মুণ্ডা জখম হন। মালবাজার হাসপাতালে নিয়ে আসার পথে তাঁর মৃত্যু হয়। জলপাইগুড়ির ডিএফও কল্যাণ দাস বলেন, “মৃতের বাড়ি বনবস্তিতে। তাই বন সুরক্ষা কমিটিতে তাঁর নাম থাকতেই পারে। বনবস্তিগুলোতে দু’একজন অবৈধ কাঠ ব্যবসার সঙ্গে জড়িত থাকলে তাতে সামগ্রিক বন সুরক্ষায় প্রভাব পড়ে না।” মঙ্গলবার ওই দুষ্কৃতীর মৃত্যুর পরে এ দিন বন দফতরের পক্ষ থেকে ঘটনার তদন্ত হয়। তাতে গুলি চালানো ছাড়া বনকর্মীদের উপায় ছিল না বলে রিপোর্ট জমা পড়েছে। ওই রিপোর্টের কপি জেলাশাসকের কাছেও বন দফতরের পক্ষ থেকে পাঠানো হয়েছে। জলপাইগুড়ির ডিএফও বলেন, “দফতরের আধিকারিকেরাই এদিন তদন্ত করেন। তাতে জানা গিয়েছে, বনকর্মীদের গুলি চালানো ছাড়া উপায় ছিল না।” এ দিন সিটুর জেলা যুগ্ম সম্পাদক সমীর ঘোষ বলেন, “গুলি চালনার ঘটনার তদন্ত করার পাশাপাশি মৃতের পরিবারকে ৫ লক্ষ টাকা ক্ষতিপূরণ, মৃতের স্ত্রীর চাকরি ও আমার বাড়ি প্রকল্পের বাড়ি অনুমোদনের দাবি করা হয়েছে।”
|
পুরনো গাড়ি বাতিলে নির্দেশ |
পনেরো বছরের পুরনো সব বাণিজ্যিক গাড়ি বাতিলের নির্দেশ দিল কলকাতা হাইকোর্ট। বুধবার বিচারপতি পিনাকীচন্দ্র ঘোষ ও বিচারপতি মৃণালকান্তি চৌধুরীর ডিভিশন বেঞ্চ রাজ্যের মুখ্যসচিবকে ওই নির্দেশ দেয়। দু’মাসের মধ্যে নির্দেশ কার্যকর করে তা আদালতে হলফনামা দিয়ে জানাতে হবে মুখ্যসচিবকে। যানদূষণ কমাতে ২০০৮-এর ১৮ জুলাই হাইকোর্ট রাজ্যকে নির্দেশ দেয়, ১৫ বছরের পুরনো বাণিজ্যিক যান আর চালানো যাবে না। রাজ্যের উদ্যোগে কিছু গাড়ি চলাচল বন্ধ হলেও তা সম্পূর্ণ কার্যকর হয়নি। মামলার আবেদনকারী, পরিবেশকর্মী সুভাষ দত্ত জানান, গত দু’বছর পুরনো গাড়ি বাতিল বন্ধ। তিনি বলেন, “মোটরচালিত ভ্যানরিকশায় নিষেধাজ্ঞা না থাকায় দূষণ ছড়াচ্ছে। আদালতের দৃষ্টি আকর্ষণ করা হয়েছে।”
|
গাছের ডাল ছাঁটার প্রতিবাদ |
ভিক্টোরিয়ার পশ্চিম দিকে রাস্তার দু’পাশে বড় বড় গাছের ডাল ছাঁটার প্রতিবাদ করলেন পরিবেশকর্মী সুভাষ দত্ত। সুভাষবাবুর বক্তব্য, আদালত যেখানে ভিক্টোরিয়ার আশপাশে ত্রিস্তর সবুজায়নের নির্দেশ দিয়েছে, সেখানে এ ভাবে ডাল কাটার অর্থ আদালতের নির্দেশের অবমাননা করা। ডাল ছাঁটার নামে প্রচুর গাছের মোটা ডাল কাটা হয়েছে। অন্য দিকে, পুরসভার মেয়র পারিষদ (উদ্যান) দেবাশিস কুমার জানান, ওই রাস্তার সৌন্দর্যায়নে বিশেষ ধরনের আলোর স্তম্ভ লাগানোর জন্য রাস্তার দুই ধারে গাছের ডাল ছাঁটা হয়েছে। ভিক্টোরিয়ার ত্রিস্তর সবুজায়নে কোনও ব্যাঘাত ঘটেনি। গাছের ডাল ছাঁটলে বরং গাছের বৃদ্ধি ভাল হয়। |